Header Ads

Islamic Quotes Urdu Facebook Cover. QuotesGram

সাহরী খাওয়ার সুন্নত মুবারকসমূহ


Image may contain: text and food


═════════ ════════
সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি সাহরী মুবারক খেয়েছেন এবং উম্মতগণকে সাহরী খাওয়ার তারগীব (উৎসাহ) দিয়েছেন।
তিনি ইরশাদ মুবারক করেন-
تَسَحَّرُوْا فَاِنَّ فِى السُّحُوْرِ بَرَكَةٌ
অর্থ: “তোমরা সাহরী খাও। কেননা সাহরীর মধ্যে বরকত রয়েছে।” (বুখারী শরীফ, মুসলিম শরীফ)
তিনি আরো ইরশাদ মুবারক করেন-
عَنْ أَبِي سَعِيدٍ الْخُدْرِيِّ ، قَالَ : قَالَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ : السَّحُورُ أَكْلُهُ بَرَكَةٌ ، فَلاَ تَدَعُوهُ ، وَلَوْ أَنْ يَجْرَعَ أَحَدُكُمْ جُرْعَةً مِنْ مَاءٍ ، فَإِنَّ اللَّهَ عَزَّ وَجَلَّ وَمَلاَئِكَتَهُ يُصَلُّونَ عَلَى الْمُتَسَحِّرِينَ.
অর্থ: “সাহরী হলো একটি বরকতময় খাবার। কাজেই কখনো সাহরী খাওয়া ছেড়ে দিও না। এক ঢোক পানি পান করে হলেও সাহরী খেয়ে নিও। কেননা মহান আল্লাহ পাক তিনি এবং উনার হযরত ফেরেশতা আলাইহিমুস সালামগণ সাহরী গ্রহণকারীর উপর ছলাত (রহমত, বরকত, সাকীনা, মাগফিরাত) বর্ষণ করে থাকেন।’ (মুসনাদে আহমদ-৩/৪৪, তারগীব ও ওয়াত তারহীব-২/১৩৯, ইবনু হিব্বান-৫/১৯৪)s
পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে আরো বর্ণিত আছে-
عَنِ الْعِرْبَاضِ بْنِ سَارِيَةَ ، قَالَ دَعَانِي رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إِلَى السُّحُورِ فِي رَمَضَانَ فَقَالَ " هَلُمَّ إِلَى الْغَدَاءِ الْمُبَارَكِ "
অর্থ: “হযরত ইরবায বিন সারিয়া রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু তিনি বলেন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি একদিন আমাকে সাহরী খেতে ডাকলেন। তিনি ইরশাদ মুবারক করলেন, আসুন এ মুবারক খাবার খান।” (আবূ দাউদ শরীফ, নাসায়ী শরীফ, মিশকাত শরীফ ১৯০০ নং হাদীছ শরীফ)

খেজুর দ্বারা সাহরী করা সুন্নত:
=======================
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি খেজুর দ্বারাও সাহরী করেছেন। পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক হয়েছে-
عَنْ حضرت أَبِي هُرَيْرَةَ رضى الله تعالى عنه، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ نِعْمَ سَحُوُرُ الْمُؤْمِنِيْنَ التَّمَر
অর্থ: “হযরত আবূ হুরায়রা রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু তিনি বর্ণনা করেন। নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, খেজুর মু’মিনগণের জন্য কতই না উত্তম সাহরী।” (আবূ দাউদ শরীফ, মিশকাত শরীফ-১৯০১ নং হাদীছ শরীফ)

উল্লেখ্য যে, খেজুর দ্বারা সাহরী করা অতি উত্তম। কিন্তু যদি কেউ অভ্যস্ত না হন, তাহলে প্রয়োজনীয় অন্যান্য খাবার খেয়ে শেষে ১, , , ৭ ইত্যাদি বিজোড় সংখ্যক খেজুর খেলেও সুন্নত আদায় হবে। এমনকি একটি খেজুর যদি একাধিক ব্যক্তিও খায়, তবুও সুন্নত মুবারক আদায় হবে। সুবহানাল্লাহ!

🔆 সাহরী দেরী করে খাওয়া সুন্নত:
=======================
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি শেষ সময়ে বা দেরি করে সাহরী গ্রহণ করতেন।
হযরত আবু দারদা রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু তিনি বলেন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন-
ثَلَاثَةُ مِنْ اَخْلَاقِ النُّبُوَّةَ تَعْجِيْلُ الْاِفْطَارَ وَتأْخِيْرُ السُّحُوْر وَوَضَعَ الْيَمِينُ عَلَى الشِّمَالِ فِى الصَّلوة
অর্থ: “সম্মানিত নুবুওওয়াতি শান মুবারক উনার তিনটি বিষয়- ১. তাড়াতাড়ি ইফতার করা, ২. দেরি করে সাহরী করা, ৩. নামাযে বাম হাত মুাবরকের উপর ডান হাত মুবারক রাখা।” (মাজমাউয যাওয়ায়িদ-২/১০৫, আল মু’জামুল কবীর লিত তবারানী)

নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি আরো ইরশাদ মুবারক করেন-
عَجِّلُو الَاِفْطَار وَاَخِّرُوا السُّحُوْر
অর্থ: “তোমরা তাড়াতাড়ি ইফতার করো। আর দেরি করে সাহরী করো।” (আল মু’জামুল কবীর লিত তবারানী-২১৫১৩ নং হাদীছ শরীফ)

সাহরী করে ফজরের আযান হওয়ার সাথে সাথে ফজরের নামায আদায় করতেন। সাহরী ও ফজরের নামাযের মাঝে কখনো বিশ্রাম নিতেন না কিংবা ঘুমাতেন না।
উল্লেখ্য যে, মধ্য রাতের পরের খাবারকে সাহরী বলে। কাজেই কেউ যদি কোনো কারণে মধ্য রাতের পর খাবার খান পরে খাবারের সুযোগ না পান তবুও সাহরীর ফযীলত লাভ করবেন।

🌐 অনলাইনে অর্ডার করতে ভিজিট করুন: https://bit.ly/খেজুর

No comments

ডাল একটি বরকতময় পবিত্র খাদ্য।

  ডাল একটি বরকতময় পবিত্র খাদ্য। ডাল খাওয়ার ফলে কলব প্রসারিত হয় এবং চোখের দৃষ্টি শক্তি বৃদ্ধি পায়। পূর্ববর্তী হযরত নবী-রসুল আলাইহিমুস সালাম উ...

Powered by Blogger.