Header Ads

Islamic Quotes Urdu Facebook Cover. QuotesGram

“হযরত ছিদ্দীক্বে আকবর আলাইহিস সালাম তিনি কিভাবে এত ফযীলত-মর্যাদা লাভ করেছেন যে সবার থেকে অগ্রগামী হয়েছেন!”


Abu Bakr As-Siddiq: Supporter of Islam and Model for Muslims ...
সাইয়্যিদাতুন নিসায়িল আলামীন, ফক্বীহাতুন নিসা, সাইয়্যিদাতুন নিসা, রাহনুমায়ে দ্বীন, মুতহ্হারাহ্, মুতহ্হিরাহ্, সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুল উমাম আলাইহাস সালাম উনার মহামূল্যবান নছিহত মুবারক থেকে সংগৃহীত

সাইয়্যিদাতুন নিসা, মুতহ্হিরাহ, মুতহহারা হযরত উম্মুল উমাম আলাইহাস সালাম তিনি সাইয়্যিদুনা হযরত ছিদ্দীক্বে আকবর আলাইহিস সালাম উনার সম্পর্কে বলেন,
মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক হয়েছে,
عَنْ حَضْرَتْ اِبْنِ عَبَّاسٍ رَضِىَ اللهُ تَعاَلىَ عَنْهُ قَالَ ذُكِرَ بَكْرِنِ الصِّدِيْقِ عَلَيْهِ السَّلَام عِنْدَ النَّبِىِّ صلى الله عليه وسلم فَقَالَ النَّبِىُّ صلى الله عليه وسلم مِنْ مِثْلِ اَبِىْ بَكْرٍ عليه السلام كَذَّبَنِىَ النَّاسُ وَ صَدَّقَنِىْ وَ اٰمَنَ بِىْ وَ زَوْجَنِىْ اِبْنَتَهُ وَ اَنْفَقَ عَلَىَّ مَالَه وَ جَاهَدَ مَعِىْ فِىْ جَيْشِ الْعُسْرَةِ اَلَا اِنَّهُ يَأْتِىْ يَوْمَ الْقِيَامَةِ عَلٰى نَاقَةِ مِن النُّوْقِ الْجَنَّةِ قَائِمُهَا مِنَ الْمِسْكِ وَالْاَنْبَرِ وَ رَحْلُهَا مِنَ الذُّمُرُّدِ الْاَخْضَرِ وَ زِمَامُهَا مِنَ اللُّؤْلُؤِ الرَّطَبِ عَلَيْهِ حُلَّتَانِ خَضْرَوَانِ مِنْ سُنْدُسٍ وَاِسْتَبْرَقٍ فَيُحَاقِيْنِيْ فِىْ الْقِيْمَةِ وَ أُحَاقِيْهِ فَيُقَالُ هٰذَا مُحَمَّدٌ رَّسُوْلُ اللهِ صلى الله عليه وسلم وَ هٰذَا اِبُوْ بَكْرِنِ الصِّدِّيْقُ عليه السلام .
অর্থ মুবারক: হযরত ইবনে আব্বাস রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু তিনি বর্ণনা করেন, একদা নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার নিকট হযরত ছিদ্দীক্বে আকবর আলাইহিস সালাম উনার সম্পর্কে আলোচনা করা হচ্ছিল। তিনি বললেন, উনার মেছাল হচ্ছে মানুষ যখন আমাকে অস্বীকার করেছিল তখন তিনি আমাকে সত্য বলে মেনেছেন এবং আমার প্রতি ঈমান এনেছেন। উনার সম্মানিতা বানাত উনাকে আমার যাওজিয়াতে দিয়েছেন, আমার জন্য মাল খরচ করেছেন, তাবুকের জিহাদে আমার সাথে জিহাদ করেছেন। সাবধান! হযরত ছিদ্দীক্বে আকবর আলাইহিস সালাম উনাকে ক্বিয়ামতের দিন জান্নাতী উটনী সমূহের মধ্য থেকে এমন একটি উটনীতে করে আনা হবে, যার পা হবে মেশকে আম্বরের, জ্বিন হবে সবুজ পান্নার এবং লাগাম হবে তাজা মুক্তার। উনাকে কারুকাজ করা দু’খানা রেশমী পোশাক পড়ানো হবে। উনি আমার কাছে আমার মর্যাদা বর্ণনা করবেন। আর আমিও উনার মর্যাদা সম্পর্কে বর্ণনা করব এবং বলা হবে, উনি মহান আল্লাহ পাক উনার রসূল আর উনি হযরত ছিদ্দীক্বে আকবর আলাইহিস সালাম। সুবহানাল্লাহ!
সাইয়্যিদাতুন নিসা, মুতহ্হারাহ্, মুতহ্হিরাহ্, হযরত উম্মুল উমাম আলাইহাস সালাম তিনি এই মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাদীছ শরীফ উনার ব্যাখ্যায় যা বলেছেন তা থেকে আমরা বুঝতে পেরেছি যে, এই মহাসম্মানিত হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে অল্প কথায় হযরত ছিদ্দীক্বে আকবর আলাইহিস সালাম উনার ফযীলত মুবারক বর্ণনা করা হয়েছে। উনার কোন মেছাল নেই। উনাকে কারো সাথে তুলনা কর যায় না। এজন্য উনাকে বলা হয়, اَفْضَلُ النَّاسِ بَعْدَ الْاَنْبِيَاءِ অর্থাৎ হযরত আম্বিয়া আলাইহিমুস সালাম উনাদের পর সর্বশ্রেষ্ঠ ব্যক্তিত্ব মুবারক। সুবহানাল্লাহ!
হযরত নবী-রসূল আলাইহিমুস সালাম উনাদের পরে তিনি ব্যতীত এমন কোন ব্যক্তি নেই যার উপর সূর্য উদিত হয়েছে এবং অস্ত গিয়েছে। সুবহানাল্লাহ!
সাইয়্যিদাতুন নিসা, মুতহ্হিরাহ, মুতহহারা হযরত উম্মুল উমাম আলাইহাস সালাম তিনি বলেন,
মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে আরো ইরশাদ মুবারক হয়েছে,
عَنْ حَضْرَتْ عَلِىٍّ عليه السلام اَنَّه قَالَ لِاَبِىْ بَكْرٍ عليه السلام بِمَا بَلَغْتَ هٰذِه الْمَنْزِلَةَ حَتّىٰ سَبَبْتَنَا قَالَ بِخَمْسَةِ أَشْيَاءَ اَوَّلُهَا وَجَدْتُ النَّاسَ صُنْفَيْنِ طَالِبُ الدُّنْيَا وَ طَالِبُ الْاٰخِرَةِ فَكُنْتُ اَنَا طَالِبًا لِلْمَوْلىٰ الثَّانِىْ مَا شَبِعْتُ مِنْ طَعَامِ الدُّنْيَا مُنْذُ دَخَلْتُ فِىْ الْاِسْلَامِ لِاَنَّ لَذَّةَ الْمَعْرِفَةِ شَغَلَتْنِىْ عَنْ لَفَقِ الدُّنْيَا الثَّالِثُ مَا رَوَيْتُ مِنْ شَرَابِ الدُّنْيَا مُنْذُ دَخَلْتُ فِىْ الْاِسْلَامِ لِاَنَّ مُحَبَّةَ اللهِ شَغَلَتْنِىْ عَنْ لَذِيْذِ شَرَابِ الدُّنْيَا وَالرَّابِعُ كَلَّمَا اسْتَقْبَلَنِىْ عَمَلَانِ عَمَلُ الدُّنْيَا وَعَمَلُ لِلْاٰخِرَةِ اِخْتَرْتُ عَمَلَ الْاٰخِرَةِ الْخَامِسُ صَحِبْتُ النَّبِىَّ صلى الله عليه وسلم فَاَحْسَنْتُ صُحْبَتَه .
অর্থ: হযরত কাররামাল্লাহু ওয়াজহাহু আলাইহিস সালাম তিনি হযরত ছিদ্দীক্বে আকবর আলাইহিস সালাম উনাকে বললেন, আপনি কিভাবে এত মর্যাদা লাভ করেছেন যে আপনি সবার থেকে অগ্রবর্তী? হযরত ছিদ্দীক্বে আকবর আলাইহিস সালাম তিনি বললেন, পাঁচটি কারণে : ১. আমি মানুষের মাঝে দুইটি অবস্থা বা আমি মানুষকে দু’ভাগে বিভক্ত পেয়েছি। ১. দুনিয়া তালাশী ২. পরকাল তালাশী। আর আমি মাওলা তালাশী হয়ে গেলাম। সুবহানাল্লাহ!
২. যে দিন আমি সম্মানিত দ্বীন ইসলাম গ্রহণ করেছি সেদিন থেকে দুনিয়ার খাবার তৃপ্তি সহকারে বা পেট ভরে খাইনি। কেননা মহান আল্লাহ পাক উনার মা’রিফতের স্বাদ আমাকে দুনিয়ার স্বাদ গ্রহণ করা থেকে বিরত রেখেছে। সুবহানাল্লাহ!
 ৩. যেদিন আমি দ্বীন-ইসলাম গ্রহণ করেছি সে দিন থেকে দুনিয়ার পানি তৃপ্তি সহকারে পান করিনি। কেননা মহান আল্লাহ পাক উনার মা’রিফাতের স্বাদ আমাকে তৃপ্তি সহকারে পানি পান করা থেকে বিরত রেখেছে। সুবহানাল্লাহ!
 ৪. যখনই আমার নিকট দু’টি কাজ উপস্থিত হয়েছে (মানুষ দু’টি কাজের মুখোমুখি হয়) দুনিয়াবী ও পরকালীন কাজ, আমি আখিরাতের কাজকেই গ্রহণ করেছি। সুবহানাল্লাহ!
 ৫. আমি নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার ছোহবত মুবারক উনাকে উত্তমভাবে গ্রহণ করেছি। সুবহানাল্লাহ!
সাইয়্যিদাতুন নিসা, মুতহ্হারাহ্, মুতহ্হিরাহ্, হযরত উম্মুল উমাম আলাইহাস সালাম তিনি এই মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাদীছ শরীফ উনার ব্যাখ্যায় যা বলেছেন তা থেকে আমরা যা বুঝতে পেরেছি , হযরত ছিদ্দীক্বে আকবর আলাইহিস সালাম তিনি না দুনিয়া, না গাইরুল্লাহ তালাশী ছিলেন বরং তিনি একমাত্র মাওলা তালাশী অর্থাৎ মহান আল্লাহ পাক উনার তালাশী হয়ে গিয়েছেন। বয়স্ক পুরুষদের মধ্যে হযরত ছিদ্দীক্বে আকবর আলাইহিস সালাম তিনিই সর্বপ্রথম দ্বীন-ইসলাম গ্রহণ করেছেন। যে দিন থেকে তিনি দ্বীন-ইসলাম গ্রহণ করেছেন সেদিন থেকে তিনি পেট ভরে বা তৃপ্তি সহকারে পানাহার করেননি। কেননা মহান আল্লাহ পাক তিনি সম্মানিত সূরা জাছিয়াত শরীফ উনার ৫৬নং আয়াত শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক করেন,
وَمَا خَلَقْتُ الْجِنَّ وَالْاِنْسَ اِلَّا لِيَعْبُدُوْنَ .
অর্থ: “আমি জ্বীন-ইনসানকে একমাত্র আমার ইবাদত-বন্দেগী করার জন্য সৃষ্টি করেছি অর্থাৎ মুহব্বত-মা’রিফত অর্জন করার জন্য।”
আর হযরত ছিদ্দীক্বে আকবর আলাইহিস সালাম তিনি মহান আল্লাহ পাক উনার সেই হাক্বীক্বী মুহব্বত-মারিফত মুবারক অর্জন করেছেন। অথচ এখন দেখা যায়, মানুষ দুনিয়ার স্বাদ গ্রহণে ব্যস্ত, মশগুল।
মূলত, সব সময় যে কোন মানুষের কাছে দু’টি কাজ উপস্থিত হয়। দুনিয়াবী কাজ এবং পরকালীন কাজ। কিন্তু মানুষ দুনিয়াবী কাজে ব্যস্ত থাকার কারণে পরকালের কাজকে ভুলে যায়। নাউযুবিল্লাহ! যেমন: বিশেষ দিনে অজস্র ধারায় মহান আল্লাহ পাক উনার রহমত মুবারক নাযিল হয়। কিন্তু মানুষ চর্ম চক্ষু দ্বারা না দেখার কারণে সেই রহমত মুবারক থেকে বঞ্চিত হয়।
হযরত ছিদ্দীক্বে আকবর আলাইহিস সালাম তিনি উত্তমভাবে নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার ছোহবত মুবারক ইখতিয়ার করতেন। অর্থাৎ যতক্ষণ নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি হুজরা শরীফে অবস্থান মুবারক করতেন ততটুকু সময় ব্যতীত। এমনকি ছোহবত মুবারক গ্রহণ করার জন্য তিনি ব্যবসা-বাণিজ্য কোন কিছুই করেননি, সব কিছুই ছেড়ে দিয়েছেন।
উল্লেখ্য, সমস্ত হযরত সাহাবায়ে কিরাম উনারা সকলেই উত্তমভাবে নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার ছোহবত মুবারক ইখতিয়ার করেছেন। যেমন- উনারা যখন ছোহবত মুবারকে বসতেন তখন এমন নিরবতা অবলম্বন করতেন যে, সামান্য কোন কিছু পড়লেও সেটার আওয়াজ শুনা যেত। গাছ যেহেতু নড়াচড়া করেনা তাই পাখি উনাদেরকে গাছ মনে করত, কেননা উনারা কোন নড়াচড়া করতেন না, একদম স্থিরভাবে বসে থাকতেন। অন্তর, চোখ, কান সবকিছুই নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার দিকে রুজু রাখতেন।
মহান আল্লাহ পাক তিনি হযরত সাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম উনাদের সম্পর্কে সূরা বাক্বারা শরীফ উনার ১৩৭ নং আয়াত শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক করেন,
فَاِنْ اٰمَنُوْا بِمِثْلِ مَا امَنْتُمْ بِه فَقَدِ اهْتَدَوْا .
অর্থ মুবারক: যদি তারা হযরত সাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম উনাদের মত ঈমান আনতে পারে অবশ্যই তারা হিদায়েত লাভ করবে।
সুতরাং আমাদের জন্য ফরয ওয়াজিব হচ্ছে হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম উনাদেরকে অনুসরণ করা। আর উনাদের অনুসরণে যদি আমরা প্রতিটা কাজ করি তাহলে আমাদের পক্ষে উনাদের মত কামিয়াবী হাছিল করা সম্ভব হবে। কাজেই আমাদের সকলের উচিত উনারা যেভাবে নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার ছোহবত মুবারক ইখতিয়ার করেছেন, উনাদের মুবারক অনুসরণে সেভাবেই আমাদের যিনি প্রাণপ্রিয় শায়েখ সাইয়্যিদুনা হযরত ইমামুল উমাম আলাইহিস সালাম এবং খাছ করে মহিলাদের জন্য উনারই যাওজাতুম মুকাররমাহ্ সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুল উমাম আলাইহাস সালাম উনাদের ছোহবত মুবারক ইখতিয়ার করে আদেশ-নিষেধ মুবারক পালন করার কোশেশ করা। তাহলেই আমাদের পক্ষে ইহকালিন ও পরকালীন কামিয়াবি হাছিল করা সহজ এবং সম্ভব হবে।

No comments

ডাল একটি বরকতময় পবিত্র খাদ্য।

  ডাল একটি বরকতময় পবিত্র খাদ্য। ডাল খাওয়ার ফলে কলব প্রসারিত হয় এবং চোখের দৃষ্টি শক্তি বৃদ্ধি পায়। পূর্ববর্তী হযরত নবী-রসুল আলাইহিমুস সালাম উ...

Powered by Blogger.