Header Ads

Islamic Quotes Urdu Facebook Cover. QuotesGram

সাইয়্যিদুনা হযরত ‘খলীফাতুল উমাম’ বলার তাৎপর্য



 খলীফাতুল উমাম’ এটি মূল নাম হিসেবে ব্যবহৃত হয় না। বরং ছিফত বা গুণবাচক নাম বা উপাধি হিসেবে ব্যবহৃত হয়ে থাকে। অনেক সময় ব্যক্তির মর্যাদার কারণে উনার মূল নাম বা ডাক নাম নিয়ে সম্বোধন না করে উনার বিশেষ কোনো লক্বব বা উপাধি দ্বারা সম্বোধন করা হয়। এ সম্বোধন প্রকৃতপক্ষে খাছ সুন্নতেরই অন্তর্ভুক্ত।
          যেমন কুল-মাখলুকাতের যিনি নবী ও রসূল, সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খাতামুন নাবিইয়ীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মূল নাম মুবারক ‘মুহম্মদ’ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ও ‘আহমদ’ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এবং ডাক নাম মুবারক ‘আবুল ক্বাসিম’ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম থাকার পরও এ নাম মুবারকসমূহ ধরে উনাকে সম্বোধন করা আদবের খিলাফ, সুন্নতের খিলাফ, এমনকি মহাসম্মানিত শরীয়ত উনারও খিলাফ। কেননা মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন-
لا تجعلوا دعاء الرسول بينكم كدعاء بعضكم بعضا.
অর্থ: “তোমরা একে অপরকে যেভাবে সম্বোধন করে থাকো, সেভাবে নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে সম্বোধন করো না।” (মহাপবিত্রতম সূরা নূর শরীফ: মহাপবিত্রতম আয়াত শরীফ ৬৩)
          অর্থাৎ সাধারণ মানুষ পরস্পর পরস্পরকে যেভাবে সম্বোধন করে থাকে, নাম নিয়ে কথা বলে থাকে সেভাবে নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে সম্বোধন করা বা বলা যাবে না। যেমন ‘يا محمد صلى الله عليه وسلم’ অর্থাৎ ‘হে মুহম্মদ’ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম। অথবা
قال محمد صلى الله عليه وسلم
          অর্থাৎ ‘মুহম্মদ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি বলেছেন।’
বরং সম্বোধনের ক্ষেত্রে বলতে হবে-
يا رسول الله صلى الله عليه وسلم
يا نبى الله صلى الله عليه وسلم
يا حبيب الله صلى الله عليه وسلم
অর্থাৎ ইয়া রসূলাল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইয়া নাবিইয়াল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম
ইয়া হাবীবাল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম,
এবং বলার ক্ষেত্রে বলতে হবে-
قال رسول الله صلى الله عليه وسلم
قال النبى صلى الله عليه وسلم
এভাবে বলতে হবে।
          তদ্রপ রাজারবাগ শরীফ উনার সাইয়্যিদুনা হযরত শাহযাদা ক্বিবলা হুযূর আলাইহিস সালাম উনার মূল নাম মুবারক এবং ডাক নাম মুবারক থাকার পরও আদব ও সুন্নতের কারণে ‘খলীফাতুল উমাম’ উপাধি মুবারক দিয়ে সম্বোধন করা ও ব্যবহার করা হয়। এই সুন্নত ও আদবের প্রচলন যেমন অতীতে ছিলো, যেরূপ বর্তমানে রয়েছে, তদ্রপ ভবিষ্যতেও থাকবে।
          হযরত ইমাম যাইনুল আবিদীন আলাইহিস সালাম। যিনি আহলে বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদের চতুর্থ ইমাম। উনার মূল নাম মুবারক হযরত আলী আওসাত আলাইহিস সালাম। কিন্তু তিনি পরিচিতি লাভ করেছেন উনার বিশেষ উপাধি মুবারক ‘যাইনুল আবিদীন’ দ্বারা। সুবহানাল্লাহ!
          হযরত ইমাম আ’যম রহমতুল্লাহি আলাইহি। যিনি হানাফী মাযহাবের প্রতিষ্ঠাতা ও ইমাম। উনার মূল নাম হযরত নু’মান বিন ছাবিত। কিন্তু ইমামে আ’যম বলা হলে সকলের কাছে উনার পরিচয় স্পষ্ট হয়ে উঠে।
          হযরত মুজাদ্দিদে আলফে ছানী রহমতুল্লাহি আলাইহি। তিনি ‘মুজাদ্দিদে আলফে ছানী’ এ উপাধি মুবারকেই পরিচিতি ও প্রসিদ্ধি লাভ করেছেন। আসলে উনার মূল নাম মুবরক হচ্ছে হযরত শায়েখ আহমদ ফারূক্বী রহমতুল্লাহি আলাইহি। একইভাবে মুজাদ্দিদে আ’যম আলাইহিস সালাম বললে সকলেই বুঝে ফেলেন যে, তিনি হচ্ছেন বর্তমান পঞ্চদশ শতাব্দীর মহান মুজাদ্দিদ, ইমাম রাজারবাগ শরীফ উনার মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম। সুবহানাল্লাহ!
          অনুরূপভাবে রাজারবাগ শরীফ উনার সাইয়্যিদুনা হযরত শাহযাদা হুযূর ক্বিবলা আলাইহিস সালাম উনার লক্বব মুবারক খলীফাতুল উমাম আলোচিত হলে সকলেই জেনে যান যে, তিনি অন্য কেউই নন, তিনি হচ্ছেন সাইয়্যিদুনা হযরত মুজাদ্দিদে আ’যম আলাইহিস সালাম উনার একমাত্র শাহযাদা হুযূর ক্বিবলা আলাইহিস সালাম। সুবহানাল্লাহ!

মুবারক ঊর্ধ্বতন বংশ পরম্পরা, মুবারক বিলাদত শরীফ উনার পটভূমি এবং লক্ষ্যভ্রষ্ট মুসলমানদেরকে হিদায়েত ও নছীহতের অনিবার্যতা প্রমাণ করে যে, তিনিই হযরত খলীফাতুল উমাম আলাইহিস সালাম

প্রাণের আক্বা, ক্বিবলা কা’বা, খলীফাতুল উমাম, ছানীয়ে মুজাদ্দিদে আ’যম, হযরত শাহযাদা হুযূর ক্বিবলা কা’বা আলাইহিস সালাম উনার সুমহান বিলাদত শরীফ মহাপবিত্রতম রমাদ্বান শরীফ উনার ৯ তারিখ রাত ৯টায়। মুবারক দিনটি ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম বা সোমবার শরীফ। সুবহানাল্লাহ! এখানে যা লক্ষ্য করার বিষয় তা হলো, মহাপবিত্রতম রমাদ্বান শরীফ নবম মাস। মহাপবিত্রতম বিলাদত শরীফ উনার সময় রাত ৯টা। ‘৯’ বিজোড় সংখ্যা। বিজোড় সংখ্যা সুন্নত। বিশেষ করে ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম বা সোমবার শরীফ খাছ সুন্নত। এটি উনার মুবারক খুছুছিয়ত, মুবারক মর্যাদা, মর্তবা এবং মুবারক জীবনের প্রথম কারামত শরীফ। তিনি যে মুইহস সুন্নাহ এবং তিনি পুরোপুরিভাবে সুন্নত উনার সঙ্গে সম্পৃক্ত- এসব মুবারক বিষয় তারই ইঙ্গিতবহ। সুবহানাল্লাহ!
উনার সম্মানিতা আম্মাজান, তিনি ওলীয়ে মাদারযাদ, আওলাদে রসূল, তিনি ক্বায়িম-মাক্বামে হযরত উম্মাহাতুল মু’মিনীন আলাইহিন্নাস সালাম। তিনি উম্মুল উমাম সাইয়্যিদাতুনা হযরত আম্মা হুযূর ক্বিবলা আলাইহাস সালাম। বুযুর্গ পিতা-মাতা আলাইহিমাস সালাম উনাদের দিক থেকে মুবারক বংশ উনার ঊর্ধ্বতন ধারায় খলীফাতুল উমাম, ছানীয়ে মুজাদ্দিদে আ’যম সাইয়্যিদুনা হযরত শাহযাদা হুযূর ক্বিবলা কা’বা আলাইহিস সালাম তিনি ইমামুছ ছানী মিন আহলি বাইতি রসূলিল্লাহি ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, সাইয়্যিদুনা হযরত ইমাম হাসান আলাইহিস সালাম এবং ইমামুছ ছালিছ মিন আহলি বাইতি রসূলিল্লাহি ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, সাইয়্যিদুনা হযরত ইমাম হুসাইন আলাইহিস সালাম উনাদের সঙ্গে সম্পৃক্ত। প্রেক্ষিত কারণে রক্ত মুবারক উনার অনুপম ধারাবাহিকতায় উনার মুবারক সম্মিলন ঘটেছে নূরে মুজাসাসম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সঙ্গে। সুবহানাল্লাহ!
উনার সুমহান বিলাদত শরীফ মহান আল্লাহ পাক সুবহানাহু ওয়া তায়ালা উনার মুবারক কুদরত উনার অনুপম বহিঃপ্রকাশ। নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার শ্রেষ্ঠতম মু’জিযা শরীফ। মুজাদ্দিদে আ’যম সাইয়্যিদুনা মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা কা’বা আলাইহিস সালাম এবং নায়িবে মুজাদ্দিদে আ’যম, ক্বায়িম-মাক্বামে হযরত উম্মাহাতুল মু’মিনীন আলাইহিন্নাস সালাম, উম্মুল উমাম, সাইয়্যিদাতুনা হযরত আম্মা হুযূর ক্বিবলা কা’বা আলাইহাস সালাম উনাদের অনন্য কারামত মুবারক উনার অনুপম বিকাশ। যে অতুলনীয়, যোগ্যতা, উৎকর্ষতা ও মহিমায় উনার মুবারক আবির্ভাব ঘটেছে, তাতে বাতিলের ধ্বংস অনিবার্য। সুবহানাল্লাহ!
উনার সীমাহীন মর্যাদা ও মাক্বাম উপলব্ধির জন্য এবং উনার হাক্বীক্বী গোলামী করার জন্য মহান আল্লাহ পাক সুবহানাহু ওয়া তা’য়ালা উনার কাছে আমরা তাওফীক চাই। আমীন।


No comments

ডাল একটি বরকতময় পবিত্র খাদ্য।

  ডাল একটি বরকতময় পবিত্র খাদ্য। ডাল খাওয়ার ফলে কলব প্রসারিত হয় এবং চোখের দৃষ্টি শক্তি বৃদ্ধি পায়। পূর্ববর্তী হযরত নবী-রসুল আলাইহিমুস সালাম উ...

Powered by Blogger.