বাল্যবিবাহের বিরোধিতা করে নিজেকে ঈমানহারা করবেন না
মশহূর বা প্রসিদ্ধ মতে হযরত উম্মাহাতুল মু’মিনীন আলাইহিন্নাস সালাম উনারা ১৩ জন।
উনাদের মধ্যে কেবল হযরত উম্মুল মু’মিনীন আছছালিছাহ ছিদ্দীক্বাহ আলাইহাস সালাম উনার
বাল্যকালে বা বাল্যাবস্থায় নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি
ওয়া সাল্লাম উনার সাথে নিসবতে আযীমাহ (বিবাহের আক্দ্) মুবারক সম্পন্ন হয় আর তখন হযরত
উম্মুল মু’মিনীন আছছালিছাহ ছিদ্দীক্বাহ আলাইহাস সালাম উনার দুনিয়াবী বয়স মুবারক হয়েছিল
৬ বছর ১৭ দিন। আর তিনি যখন নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি
ওয়া সাল্লাম উনার খিদমত মুবারকে তাশরীফ নেন তখন উনার বয়স মুবারক হয়েছিল ৯ বছর ১৭ দিন।
সুবহানাল্লাহ! যেমন এ প্রসঙ্গে পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে বর্ণিত রয়েছে, “হযরত উমরাতা বিনতে আব্দুর রহমান রহমতুল্লাহি আলাইহা উনার থেকে
বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি উম্মুল মু’মিনীন হযরত
ছিদ্দীক্বা আলাইহাস সালাম উনাকে বলতে শুনেছি তিনি বলেন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া
সাল্লাম তিনি আমাকে আক্বদ্ মুবারক করেন,
আনুষ্ঠানিক
নুবুওওয়াত মুবারক প্রকাশ উনার দশম বছরে সম্মানিত হিজরত মুবারক উনার তিন বছর পূর্বে।
তখন আমার দুনিয়াবী বয়স মুবারক ছিল ৬ বছর। নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু
আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি হিজরত মুবারক করে পবিত্র মদীনা শরীফ তাশরীফ মুবারক আনেন পবিত্র
রবীউল আউওয়াল শরীফ মাস উনার ১২ তারিখ ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম শরীফ। সম্মানিত হিজরত উনার
৮ মাসের মাথায় পবিত্র শাওওয়াল শরীফ মাসে নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু
আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার পবিত্র হুজরা শরীফ উনার মাঝে তাশরীফ মুবারক রাখি। আর তখন আমার
দুনিয়াবী বয়স মুবারক ছিল ৯ বছর।”
উক্ত পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে স্পষ্টরূপে বর্ণিত হয়েছে যে, হযরত উম্মুল মু’মিনীন আছ ছালিছাহ ছিদ্দীক্বাহ আলাইহাস সালাম
উনার দুনিয়াবী ৬ বছর বয়স মুবারকে নিসবতে আযীমাহ শরীফ সম্পন্ন হয়েছে আর ৯ বছর বয়স মুবারকে
তিনি নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার খিদমত
মুবারকে তাশরীফ মুবারক নিয়েছেন। সুবহানাল্লাহ!
উক্ত বর্ণনা ছাড়াও এ সম্পর্কে আরো বহু বর্ণনা উল্লেখ রয়েছে।
অতএব, বাল্যবিবাহ সংক্রান্ত বর্ণনা সমূহ
যারা অমান্য করবে এবং বিরোধিতা করবে তারা সম্মানিত ঈমান ও ইসলাম থেকে খারিজ হয়ে চিরজাহান্নামীদের
অন্তর্ভুক্ত হবে। কারণ নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া
সাল্লাম উনার এবং উনার সম্মানিত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদের সাথে সম্পর্কযুক্ত
বিষয়সমূহ অমান্য করা এবং বিরোধিতা করার অর্থই হচ্ছে কুফরী করা, ফলে মুরতাদ, মুনাফিক ও কাফির হয়ে যাওয়া
এবং শেষ পরিণামে চিরজাহান্নামী হয়ে যাওয়া। নাউযুবিল্লাহ!
No comments