মুজাদ্দিদে আযম আলাইহিস সালাম তিনি নিয়ামতে কুবরা
মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন-
لَئِنْ
شَكَرْتُمْ لَأَزِيْدَنَّكُمْ ۖ وَلَئِنْ كَفَرْتُمْ إِنَّ عَذَابِيْ لَشَدِيْدٌ
“তোমরা যদি আমার নিয়ামতের শুকরিয়া
আদায় করো, তাহলে তোমাদের উপর আমার নিয়ামত
আরো বহুগুণে বাড়িয়ে দিবো। আর যদি আমার নিয়ামত পাওয়ার পর অস্বীকার করে (সীমালঙ্ঘন করো)
তাহলে জেনে রাখো আমার আযাব অত্যন্ত কঠিন।” (পবিত্র সূরা ইবরাহীম শরীফ: পবিত্র আয়াত
শরীফ-১৪)
বাংলাদেশসহ সমস্ত জগতের সকল মানুষের ভালো করে জেনে রাখা দরকার, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া
সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন,
إِنَّ
اللهَ يَبْعَثُ لِـهٰذِهِ الْأُمَّةِ عَلٰى رَأْسِ كُلِّ مِأَةِ سَنَةٍ مَنْ
يـُّجَدِّدُ لَـهَا دِيْنَهَا
অর্থ: “নিশ্চয়ই মহান আল্লাহ পাক প্রতি হিজরী শতকের শুরুতে মানবজাতির মাঝে একজন
মুজাদ্দিদ প্রেরণ করেন, যিনি দ্বীন ইসলাম উনার
মাঝে হারাম, বিদায়াত, অন্যায়-অশ্লীল কাজগুলো
ধ্বংস করে বাতিল ঘোষণা দিয়ে হালাল এবং সুন্নতসমূহকে ক্বায়িম করবেন।” (আবু
দাউদ শরীফ ও মিশকাত শরীফ)
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার ইরশাদ
মুবাারক অনুযায়ী বর্তমান সময় তথা পনের শতকের মহান মুজাদ্দিদ ও দশম খলীফা হচ্ছেন, খলীফাতুল্লাহ খলীফাতু রসূলিল্লাহ, ইমামুশ শরীয়ত ওয়াত ত্বরীক্বত ইমাম হযরত মুজাদ্দিদ আ’যম আলাইহিস
সালাম তিনি।
যিনি কায়িনাতের মাঝে স্পষ্টভাষায় হারামকে হারাম, বিদয়াতকে বিদয়াত যেমন হরতাল, লংমার্চ, ইসলামের নামে তন্ত্র-মন্ত্র, খেলা-ধুলা, গান-বাাজনা, ছবি তোলা বেপর্দা, সহশিক্ষা ইত্যাদি কাজগুলো হতে বিরত থেকে ছহীহ আহলু সুন্নত ওয়াল
জামায়াত উনার আক্বীদায় বিশ্বাসী হয়ে জান্নাতের দিকে আহবান করছেন। সুবহানাল্লাহ!
যিনি হচ্ছেন আওলাদে রসূল, হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস
সালাম উনার অন্তর্ভুক্ত। উনার মুবাারক উসীলায় কায়েনাতবাসী রিযিক, রহমত, বরকত সাকীনা লাভ করছে।
খলীফাতুল্লাহ, খলীফাতু রসূলিল্লাহ, মুজাদ্দিদে আ’যম হাবীবে আ’যম, ইমাম হযরত মুজাদ্দিদ আ’যম আলাইহিস সালাম তিনি হচ্ছেন,
اَلنِّعْمَةُ
الْكُبْرٰى عَلَى الْعَلَمِ
“পৃথিবীর মাঝে সর্বশ্রেষ্ঠ নিয়ামত।
মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন,
ثُـمَّ
لَتُسْئَلُنَّ يَوْمَئِذٍ عَنِ النَّعِيْمِ
অর্থ: “সেদিন তথা বিচারের দিন মহান আল্লাহ পাক উনার নিয়ামতসমূহ সম্পর্কে অবশ্য
অবশ্যই তোমরা জিজ্ঞাসিত হবে।”
খলীফাতুল্লাহ, খলীফাতুল রসূলিল্লাহ সাইয়্যিদুনা
ইমাম হযরত মুজাদ্দিদে আ’যম আলাইহিস সালাম উনাকে যারা নিয়ামত হিসেবে মেনে নিবে না এবং
উনার মুবারক আদেশ-নিষেধ পালন করবে না,
সেদিন তাদের
উল্লিখিত জিজ্ঞাসার উত্তর দেয়ার কোনো পথ থাকবে না।
No comments