হাঁচি দেয়া নতুন কোন বিষয় নয়, আদি পিতা হযরত আবুল বাশার ছফীউল্লাহ আলাইহিস সালাম উনার সৃষ্টিলগ্ন থেকেই মানুষের হাঁচি দেয়ার বিষয়টা শুরু হয়েছে

কোন মানুষ হাঁচি-কাশি দিলেই তথাকথিত ডাক্তার এবং কুশিল সমাজের লোকেরা করোনার উপসর্গ
খুজে পায়। নাউযুবিল্লাহ! অথচ এই হাঁচি দেয়ার বিষয়টা মানুষের সৃষ্টিলগ্ন থেকেই শুরু
হয়েছে।
পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে বর্ণিত রয়েছে-
عَنْ حَضْرَتْ
أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ رَضِيَ اللهُ تَعَالَى عَنْهُ أَنَّ رَسُوْلَ اللهِ صَلَّى
اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ لَمَّا نَفَخَ اللهُ فِيْ آدَمَ عَلَيْهِ
وَسَلَّمَ الرُوْحَ فَبَلَغَ الرُّوْحُ رَأْسَهُ عَطَسَ فَقَاَلَ اَلْحَمْدُ
لِلَّهِ رَبِّ الْعَالَمِيْنَ فَقَاَلَ لَهُ تَبَارَكَ وَتَعَالَى يَرْحَمُكَ
اللهُ
অর্থ: “হযরত আনাস ইবনে মালিক রদ্বিয়াল্লাহু তা’য়ালা আনহু উনার থেকে বর্ণিত, নিশ্চয়ই নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম
তিনি ইরশাদ মুবারক করেন- মহান আল্লাহ পাক তিনি যখন আবুল বাশার হযরত ছফিউল্লাহ আলাইহিস
সালাম উনার মধ্যে রূহ মুবারক ফুঁকে দিলেন, অতঃপর রূহ মুবারক যখন
উনার মাথা মুবারকে পৌঁছেন তখন তিনি হাঁচি মুবারক দেন এবং মহান আল্লাহ পাক উনার শুকরিয়া
আদায় করতঃ বলেন اَلْحَمْدُ لِلَّهِ رَبِّ الْعَالَمِيْنَ এর জাওয়াবে মহান আল্লাহ পাক তিনি বলেন يَرْحَمُكَ اللهُ সুবহানাল্লাহ! (ছহীহ ইবনে হিব্বান, আল বিদায়া ওয়ান নিহায়া ১ম খ-)
কাজেই হাঁচি দেয়ার কারণে আতংকিত না হয়ে বরং মহান আল্লাহ পাক উনার শুকরিয়া আদায়
করতে হবে। কেননা মহান আল্লাহ পাক তিনি মানুুষকে হাঁচির মাধ্যমে অনেক বড় বড় রোগ-ব্যাধি
থেকে হিফাজত করে থাকেন। সুবহানাল্লাহ!
মহান আল্লাহ পাক তিনি আমাদেরকে সমস্ত প্রকার কুফরি আক্বীদাহ থেকে হিফাজত করুন।
আমীন!
No comments