অসুস্থ ব্যক্তিকে দেখতে যাওয়ার ফযীলত...

পবিত্র হাদীছ শরীফে বর্ণিত রয়েছে-
عَنْ حَضْرَتْ
ثَوبَانَ رَضِيَ اللهُ تَعَالَى عَنْهُ عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ
وَسَلَّمَ قَالَ إِنَّ الْمُسْلِمَ إِذَا عَادَ أخَاهُ الْمُسْلِمَ لَمْ يَزَلْ
فِيْ خُرْفَةِ الْجَنَّةِ حَتَّى يَرْجِعَ قِيلَ يَا رَسُوْلَ اللهِ صَلَّى اللهُ
عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَمَا خُرْفَةُ الجَنَّةِ ؟ قَالَ جَنَاهَا
অর্থ:“হযরত ছাওবান রদ্বিয়াল্লাহু তা’য়ালা আনহু তিনি নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ
হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার থেকে বর্ণনা করেন। নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ
হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন- কোন মুসলমান ব্যক্তি
যখন তার অন্য কোন (অসুস্থ) মুসলমান ভাইয়ের খোঁজ-খবর নিতে যায়, সে না ফিরা পর্যন্ত পবিত্র জান্নাত উনার ‘খুরফার’ মধ্যে সর্বদা
অবস্থান করে। জিজ্ঞাসা করা হল, ইয়া রসূলাল্লাহ ছল্লাল্লাহু
আলাইহি ওয়া সাল্লাম! খুরফাহ কী?’ তিনি বললেন, পবিত্র জান্নাত উনার থেকে সংগৃহিত ফল।’’ সুবহানাল্লাহ! (ছহীহ
মুসলিম শরীফ হা/নং ২৫৬৮, তিরমিযী শরীফ হা/নং ৯৬৭, মুসনাদে আহমাদ শরীফ-হা/নং ২১৮৬৮, ২১৮৮৪, ২১৮৯৮, ২১৯১৬, ২১৯৩৩, ২১৯৩৮, রিয়াদুছ ছলিহীন- হা/নং
৯০৩)
পবিত্র হাদীছ শরীফে আরো বর্ণিত রয়েছে-
عَنْ حَضْرَتْ
عَلِيٍّ كَرَّمَ اللهُ وَجْهَهُ عَلَيْهِ
السَّلَامُ قَالَ سَمِعْتُ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَقُولُ
مَا مِنْ مُسْلِمٍ يَعُودُ مُسْلِماً غُدْوَةً إِلاَّ صَلَّى عَلَيْهِ سَبْعُونَ
أَلْفَ مَلَكٍ حَتَّى يُمْسِي، وَإِنْ عَادَهُ عَشِيَّةً إِلاَّ صَلَّى عَلَيْهِ
سَبْعُونَ أَلْفَ مَلَكٍ حَتَّى يُصْبَحَ، وَكَانَ لَهُ خَرِيفٌ في الْجَنَّةِ
অর্থ: “হযরত কাররামাল্লাহু ওয়াজহাহু আলাইহিস সালাম উনার থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ
হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে বলতে শুনেছি, যে কোন মুসলমান ব্যক্তি অন্য কোন (অসুস্থ) মুসলমান ব্যক্তিকে
সকাল বেলায় তার খোঁজ-খবর নেয়ার জন্য যাবে,
তার জন্য
সন্ধ্যা পর্যন্ত সত্তর হাজার হযরত ফিরিশতা আলাইহিমুস সালাম উনারা কল্যাণ কামনা করবেন।
সুবহানাল্লাহ! আর যদি সে ব্যক্তি সন্ধ্যা বেলা তার খোঁজ-খবর নেয়ার জন্য যায়, তাহলে সকাল পর্যন্ত সত্তর হাজার হযরত ফিরিশতা আলাইহিমুস সালাম
উনারা তার জন্য ভালাই কামনা করেন। আর তার জন্য পবিত্র জান্নাত উনার মধ্যে পাড়া ফল নির্ধারিত
হবে।” সুবহানাল্লাহ!
(ছহীহ মুসলিম শরীফ হা/নং ২৫৬৮, তিরমিযী শরীফ হা/নং ৯৬৭, মুসনাদে আহমাদ শরীফ হা/নং ২১৮৬৮, ২১৮৮৪, ২১৮৯৮,২১৯১৬, ২১৯৩৩, ২১৯৩৮, রিয়াদুছ ছলিহীন- হা/নং ৯০৪)
পবিত্র হাদীছ শরীফে এতো ফযীলত বর্ণিত থাকার পরেও বর্তমানে দেখা যাচ্ছে, ‘করোনার’ নামে মুসলমানগণ তাদের অসুস্থ আত্মীয়-স্বজনদের খোঁজ-খবর
নিচ্ছে না। এমনকি নিজের পিতা-মাতাও যদি অসুস্থ হয় তাদেরকে দেখার জন্যও কোন সন্তান যাচ্ছে
না। নাউযুবিল্লাহ! মূলত ছোঁয়াচে রোগে বিশ্বাস
করার কারণেই এসব ঘটনা ঘটছে। সাধারণভাবেই ছোঁয়াচে বিশ্বাস করা শিরক-এর অন্তর্ভুক্ত।
আর ছোঁয়াচে রোগে বিশ্বাস করার কারণে তারা কাট্টা শিরক ও কুফরি করতেছে। নাউযুবিল্লাহ!
মহান আল্লাহ পাক তিনি সবাইকে এই শিরক ও কুফরী আক্বীদাহ থেকে হিফাজত করুন। আমীন!
No comments