Header Ads

Islamic Quotes Urdu Facebook Cover. QuotesGram

সিবতু রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সাইয়্যিদুনা হযরত ইমাম ইবনে হযরত যুন নূর আছ ছানী আলাইহিস সালাম উনার সংক্ষিপ্ত জীবনী মুবারক




সিবতু রসূলিল্লাহ সাইয়্যিদুনা হযরত ইমাম ইবনে যুন নূর আছ ছানী আলাইহিস সালাম উনার সম্মানিত পরিচিতি মুবারক:

মহাসম্মানিতা আম্মাজান আলাইহাস সালাম: সাইয়্যিদাতুন নিসায়ি ‘আলাল আলামীন, সাইয়্যিদাতু নিসায়ি আহলিল জান্নাহ, উম্মু আবীহা, আন নূরুল ঊলা সাইয়্যিদাতুনা হযরত খইরু ওয়া আফদ্বালু বানাতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম (সাইয়্যিদাতুনা হযরত যাইনাব আলাইহাস সালাম।) সুবহানাল্লাহ!
মহাসম্মানিত আব্বাজান আলাইহিস সালাম: আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সাইয়্যিদুনা হযরত যুন নূর আলাইহিস সালাম (সাইয়্যিদুনা হযরত আবুল আছ ইবনে রবী’ আলাইহিস সালাম)। সুবহানাল্লাহ!

সাইয়্যিদাতুনা হযরত খইরু ওয়া আফদ্বলু বানাতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সম্মানিত হিজরত মুবারক উনার প্রেক্ষাপট:

দ্বিতীয় হিজরী শরীফ উনার সম্মানিত রমাদ্বান শরীফ-এ সম্মানিত বদর জিহাদ মুবারক সংঘটিত হয়। সেই সম্মানিত জিহাদ মুবারক-এ এক হাজার কুরাইশ অংশগ্রহণ করে। তাদের মধ্যে সাইয়্যিদুনা হযরত যুন নূর আলাইহিস সালাম তিনিও ছিলেন। মূলত তিনি উনার অনিচ্ছা সত্ত্বেও কুরাইশদের পিড়াপিড়ির কারণে জিহাদে উপস্থিত হয়েছেন। তিনি কস্মিনকালেও নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার বিরুদ্ধে বা সম্মানিত মুসলমান উনাদের বিরুদ্ধে জিহাদ করার জন্য সেখানে উপস্থিত হননি। কারণ তিনি সাইয়্যিদুনা হযরত খাতিমুল মুহাজিরিন হযরত আব্বাস আলাইহিস সালাম উনার ন্যায় ভিতরে ভিতরে সম্মানিত ও পবিত্র দ্বীন ইসলাম গ্রহণ করেছিলেন। কিন্তু আনুষ্ঠানিকভাবে তখনও তা প্রকাশ করেননি। যা হোক, যুদ্ধে কুরাইশরা পরাজিত হয়। তাদের ৭০ জন নিহত এবং ৭০ জন বা তার চেয়ে বেশি সংখ্যক লোক বন্দি হয়। এ সকল বন্দিদের মধ্যে সাইয়্যিদুনা হযরত যুন নূর আলাইহিস সালাম তিনি এবং সাইয়্যিদুনা হযরত খাতিমুল মুহাজিরিন আলাইহিস সালাম তিনিও ছিলেন। বন্দিদেরকে যখন সম্মানিত ও পবিত্র মদীনা শরীফ-এ নিয়ে যাওয়া হলো, তখন নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহুম উনাদেরকে সম্মানিত নির্দেশ মুবারক দিলেন,
اِسْتَوْصُوْا بِالْاُسَارٰى خَيْرًا.
অর্থ: “আপনারা বন্দিদের সাথে ভালো ব্যবহার করুন।” সুবহানাল্লাহ!

উনারা তা করেছিলেন। উনারা নিজেরা খেজুর খেতেন, কিন্তু বন্দিদেরকে রুটি প্রদান করতেন। সম্মানিত ও পবিত্র মদীনা শরীফ-এ অগণিত খেজুর গাছ ছিল। সুতরাং খেজুর ছিল সস্তা। কিন্তু গম ও যবের মতো খাদ্য শস্য অধিক মূল্যে খরিদ করতে হতো। তা সত্ত্বেও নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সম্মানিত নির্দেশ মুবারক হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহুম উনারা যথাযথভাবে পালন করেন ও অপরের জন্য ত্যাগের উদাহরণ প্রদর্শন করেন। সুবহানাল্লাহ!
যুদ্ধবন্দিদের হত্যা করা সে সময়ের রীতি ছিলো। এই জন্য সাইয়্যিদুনা হযরত ফারূক্বে আ’যম আলাইহিস সালাম তিনি সম্মানিত বদর জিহাদ মুবারক উনার যুদ্ধবন্দিদের হত্যা করার কথা ভেবেছিলেন। কিন্তু নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি সম্মানিত ওহী মুবারক অনুযায়ী বন্দিদের মুক্তির বিনিময়ে তাদের নিকট থেকে মুক্তিপণ গ্রহণের সিদ্ধান্ত মুবারক গ্রহণ করেন। এক হাজার থেকে তিন বা চার হাজার দিরহাম প্রত্যেক বন্দি থেকে মুক্তিপণ হিসেবে গ্রহণ করা হয়েছিলো।
যখন মক্কাবাসীরা অবগত হলো বন্দিদের মুক্তিপণের মাধ্যমে মুক্ত করার সুযোগ রয়েছে, তারা অতিসত্বর সে সুযোগ গ্রহণ করলো। লোকেরা তাদের পরিবারের সদস্যদের মুক্তির জন্য প্রয়োজনীয় পরিমাণ অর্থ দ্রুত সংগ্রহ করলো। যদিও সাইয়্যিদুনা হযরত যুন নূর আলাইহিস সালাম তিনি সম্পদশালী ছিলেন, কিন্তু সে সময় উনার সাথে মুক্তিপণের অর্থ ছিলো না। তাই তিনি উম্মু আবীহা, আন নূরুল ঊলা সাইয়্যিদাতুনা হযরত খইরু ওয়া আফদ্বলু বানাতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার নিকট মুক্তিপণের ব্যবস্থা করার জন্য বার্তা মুবারক পাঠালেন। তখন উম্মু আবীহা, আন নূরুল ঊলা সাইয়্যিদাতুনা হযরত খইরু ওয়া আফদ্বলু বানাতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি সম্মানিত নিসবতে ‘আযীম শরীফ উনার সময় উম্মুল মু’মিনীন আল ঊলা সাইয়্যিদাতুনা হযরত কুবরা আলাইহাস সালাম উনার থেকে হাদিয়া মুবারক স¦রূপ যে সমস্ত অলংকার মুবারকসমূহ পেয়েছিলেন সেখান থেকে একখানা সম্মানিত হার মুবারক মুক্তিপণ হিসেবে দেয়ার সিদ্ধান্ত মুবারক গ্রহণ করলেন। সম্মানিত ও পবিত্র মক্কাবাসীরা মুক্তিপণের অর্থ প্রদানের জন্য সম্মানিত ও পবিত্র মদীনা শরীফ গমন করলো। তাদের মাঝে উম্মু আবীহা, আন নূরুল ঊলা সাইয়্যিদাতুনা হযরত খইরু ওয়া আফদ্বলু বানাতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার দূত আমর ইবনে রবী’, যিনি সাইয়্যিদুনা হযরত যুন নূর আলাইহিস সালাম উনার সম্মানিত আপন ভাই তিনিও ছিলেন। এ সম্পর্কে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক হয়েছে,
عَنْ اُمِّ الْمُؤْمِنِيْنَ الثَّالِثَةِ الصِّدِّيْقَةِ سَيِّدَتِنَا حَضْرَتْ عَائِشَةَ عَلَيْهَا السَّلَامُ قَالَتْ لَمَّا بَعَثَ اَهْلُ مَكَّةَ فِـىْ فِدَاءِ اَسْرَاهُمْ بَعَثَتْ حَضْرَتْ زَيْنَبُ عَلَيْهَا السَّلَامُ فِـىْ فِدَاءِ اَبِـى الْعَاصِ عَلَيْهِ السَّلَامُ بِـمَالٍ وَّبَعَثَتْ فِيْهِ بِقِلَادَةٍ لَّـهَا كَانَتْ عِنْدَ خَدِيْـجَةَ عَلَيْهَا السَّلَامُ اَدْخَلَـتْهَا بِـهَا عَلـٰى حَضْرَتْ اَبِـى الْعَاصِ عَلَيْهِ السَّلَامُ. قَالَتْ فَلَمَّا رَاٰهَا رَسُوْلُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ رَقَّ لَـهَا رِقَّةً شَدِيْدَةً وَّقَالَ اِنْ رَاَيْتُمْ اَنْ تُطْلِقُوْا لَـهَا اَسِيْرَهَا وَتَرُدُّوْا عَلَيْهَا الَّذِىْ لَـهَا. فَقَالُوْا نَعَمْ. وَكَانَ رَسُوْلُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ اَخَذَ عَلَيْهِ اَنْ يُّـخَلِّىَ سَبِيْلَ حَضْرَتْ زَيْنَبَ عَلَيْهَا السَّلَامُ اِلَيْهِ وَبَعَثَ رَسُوْلُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ زَيْدَ بْنَ حَارِثَةَ رَضِىَ اللهُ تَعَالـٰى عَنْهُ وَرَجُلًا مِّنَ الْاَنْصَارِ فَقَالَ كُوْنَا بِبَطْنِ يَأْجِجَ حَتّٰى تَـمُرَّ بِكُمَا حَضْرَتْ زَيْنَبُ عَلَيْهَا السَّلَامُ فَتَصْحَبَاهَا حَتّٰى تَاْتِيَا بِـهَا.
অর্থ:“উম্মুল মু’মিনীন আছ ছালিছাহ সাইয়্যিদাতুনা হযরত ছিদ্দীক্বাহ আলাইহাস সালাম উনার থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, যখন মক্কাবাসীরা মুক্তিপণের অর্থ প্রদানের জন্য সম্মানিত ও পবিত্র মদীনা শরীফ গমন করলো। তখন উম্মু আবীহা, আন নূরুল ঊলা সাইয়্যিদাতুনা হযরত খইরু ওয়া আফদ্বলু বানাতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনিও সাইয়্যিদুনা হযরত যুন নূর আলাইহিস সালাম উনার মুক্তিপণ দিয়ে উনার দূত (আমর ইবনে রবী’ উনাকে) প্রেরণ করলেন। মুক্তিপণ হিসেবে উম্মু আবীহা, আন নূরুল ঊলা সাইয়্যিদাতুনা হযরত খইরু ওয়া আফদ্বলু বানাতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি উনার দূতকে কিছু মালসহ সেই সম্মানিত হার মুবারকখানাও দিয়ে প্রেরণ করেছিলেন, যেই সম্মানিত হার মুবারকখানা ছিলো উম্মুল মু’মিনীন আল ঊলা সাইয়্যিদাতুনা হযরত কুবরা আলাইহাস সালাম উনার। সাইয়্যিদুনা হযরত যুন নূর আলাইহিস সালাম উনার সাথে উম্মু আবীহা, আন নূরুল ঊলা সাইয়্যিদাতুনা হযরত খইরু ওয়া আফদ্বলু বানাতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সম্মানিত নিসবতে ‘আযীম শরীফ হওয়ার সময় উম্মুল মু’মিনীন আল ঊলা সাইয়্যিদাতুনা হযরত কুবরা আলাইহাস সালাম তিনি উক্ত সম্মানিত হার মুবারকখানা উম্মু আবীহা, আন নূরুল ঊলা সাইয়্যিদাতুনা হযরত খইরু ওয়া আফদ্বলু বানাতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে হাদিয়া মুবারক করেছিলেন। যখন নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি উম্মুল মু’মিনীন আল ঊলা সাইয়্যিদাতুনা হযরত কুবরা আলাইহাস সালাম উনার সেই সম্মানিত স্মৃতিবাহী হার মুবারকখানা দেখলেন, তখন তিনি অত্যন্ত ভারাক্রান্ত হলেন। তিনি হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহুম উনাদেরকে বললেন,
اِنْ رَاَيْتُمْ اَنْ تُطْلِقُوْا لَـهَا اَسِيْرَهَا وَتَرُدُّوْا عَلَيْهَا الَّذِىْ لَـهَا
 যদি আপনারা যথাযথ মনে করেন, তাহলে উম্মু আবীহা, আন নূরুল ঊলা সাইয়্যিদাতুনা হযরত খইরু ওয়া আফদ্বলু বানাতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার বন্দি তথা সাইয়্যিদুনা হযরত যুন নূর আলাইহিস সালাম উনাকে মুক্ত করে দিন এবং উনার সম্মানিত হার মুবারকখানাও ফেরত দিন।’

তখন হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আহুম উনারা বলেন, ইয়া রসূলাল্লাহ, ইয়া হাবীবাল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! আপনি যা ইরশাদ মুবারক করেছেন, তাই হবে। অর্থাৎ উনারা সাইয়্যিদুনা হযরত যুন নূর আলাইহিস সালাম উনাকেও মুক্ত করে দিলেন এবং সেই সম্মানিত হার মুবারকখানাও ফেরত দিলেন। সুবহানাল্লাহ!
অবশ্য নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি সাইয়্যিদুনা হযরত যুন নূর আলাইহিস সালাম উনাকে সম্মানিত শর্ত মুবারক দিলেন যে, তিনি সম্মানিত ও পবিত্র মক্কা শরীফ প্রত্যাবর্তন করার পর উম্মু আবীহা, আন নূরুল ঊলা সাইয়্যিদাতুনা হযরত খইরু ওয়া আফদ্বলু বানাতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে সম্মানিত ও পবিত্র মদীনা শরীফ পৌঁছে দেয়ার ব্যবস্থা করবেন। আর নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি হযরত যায়িদ ইবনে হারিছ রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহু উনাকে এবং একজন হযরত আনছার ছাহাবী রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহু উনাকে অর্থাৎ উনাদেরকে পাঠালেন এবং উনাদেরকে বলে দিলেন, আপনারা দু’জন সম্মানিত ও পবিত্র মক্কা শরীফ উনার অনতিদূরে ‘বাত্বনে ইয়া’জিজে’ অবস্থান করবেন। যখন উম্মু আবীহা, আন নূরুল ঊলা সাইয়্যিদাতুনা হযরত খইরু ওয়া আফদ্বলু বানাতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি সেখানে উপস্থিত হবেন, তখন সেখান থেকে আপনারা উনার সম্মানিত খিদমত মুবারক উনার আনজাম মুবারক দিয়ে উনাকে সম্মানিত ও পবিত্র মদীনা শরীফ নিয়ে আসবেন।” (আবূ দাঊদ শরীফ, মুসনাদে আহমদ শরীফ, আস সুনানুল কুবরা লিননাসাঈ, আল মু’জামুুল কাবীর, হাকিম, বাইহাক্বী শরীফ, মিশকাত শরীফ ইত্যাদি)


আন নূরুল ঊলা সাইয়্যিদাতুনা হযরত খইরু ওয়া আফদ্বলু বানাতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সম্মানিত হিজরত মুবারক উনার প্রস্তুতি মুবারক:

সাইয়্যিদুনা হযরত যুন নূর আলাইহিস সালাম তিনি সম্মানিত ও পবিত্র মদীনা শরীফ থেকে সম্মানিত ও পবিত্র মক্কা শরীফ-এ এসে উম্মু আবীহা, আন নূরুল ঊলা সাইয়্যিদাতুনা হযরত খইরু ওয়া আফদ্বলু বানাতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সম্মানিত খিদমত মুবারক-এ নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি উম্মু আবীহা, আন নূরুল ঊলা সাইয়্যিদাতুনা হযরত খইরু ওয়া আফদ্বলু বানাতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সম্মানিত হিজরত মুবারক সম্পর্কে যা বলেছিলেন সেই সংবাদ মুবারক পৌঁছে দেন। তখন উম্মু আবীহা, আন নূরুল ঊলা সাইয়্যিদাতুনা হযরত খইরু ওয়া আফদ্বলু বানাতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি সম্মানিত ও পবিত্র মক্কা শরীফ থেকে সম্মানিত ও পবিত্র মদীনা শরীফ হিজরত মুবারক করার জন্য প্রস্তুতি মুবারক নিতে থাকেন। হযরত হিন্দ রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহা যিনি হযরত আবূ সুফিয়ান রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহু উনার আহলিয়াহ তিনি উনাকে সম্মানিত হিজরত মুবারক করার বিষয়ে সহযোগীতা করেছিলেন, সম্মানিত খিদমত মুবারক উনার আনজাম মুবারক দিয়েছিলেন। সম্মানিত বদর জিহাদ উনার পর মাত্র একমাস অতিবাহিত হয়েছে। সম্মানিত ও পবিত্র মক্কাবাসীরা যুদ্ধে তাদের অতিরিক্ত ক্ষয়ক্ষতির কারণে তখনও দুঃখ-ভারাক্রান্ত। তাদের ক্ববিলাগুলো (গোত্রসমূহ) মৃতদের জন্য শোক প্রকাশ করছিল এবং গোত্রের প্রতি অনুগত মৃতদের প্রতিশোধ নেয়ার ডাক দিয়ে যাচ্ছিলো। এ অবস্থায় সম্মানিত ও পবিত্র মদীনা শরীফ উনার কোনো মুসলমান উনাদের পক্ষে সম্মানিত ও পবিত্র মক্কা শরীফ প্রবেশ করা যেমন অসম্ভব ছিলো তেমনিভাবে একজন মুসলমান উনার জন্য অক্ষত অবস্থায় সম্মানিত ও পবিত্র মক্কা শরীফ ত্যাগ করাও কঠিন ছিলো। এ কারণে নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি হযরত যায়িদ ইবনে হারিছ রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহু উনাকে এবং একজন হযরত আনছার ছাহাবী রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহু উনাদেরকে উম্মু আবীহা, আন নূরুল ঊলা সাইয়্যিদাতুনা হযরত খইরু ওয়া আফদ্বলু বানাতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার জন্য ‘বাত্বনে ইয়া’জিজে’ অপেক্ষা করার সম্মানিত নির্দেশ মুবারক দিয়েছিলেন। স্থানটি ছিলো সম্মানিত ও পবিত্র মক্কা শরীফ থেকে প্রায় ১৩ কিলোমিটার দূরে।

সম্মানিত হিজরত মুবারক উনার উদ্দেশ্যে রওয়ানা এবং সাইয়্যিদুনা হযরত ইমাম ইবনে যুন নূর আছ ছানী আলাইহিস সালাম উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র বরকতময় বিছালী শান মুবারক প্রকাশ করা অবস্থায় মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র বরকতময় বিলাদতী শান মুবারক প্রকাশ:

উম্মু আবীহা, আন নূরুল ঊলা সাইয়্যিদাতুনা হযরত খইরু ওয়া আফদ্বলু বানাতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি যখন সম্মানিত হিজরত মুবারক উনার প্রস্তুতি মুবারক সম্পন্ন করলেন, তখন সাইয়্যিদুনা হযরত যুন নূর আলাইহিস সালাম তিনি উনার সম্মানিত ভাই হযরত কিনানাহ ইবনে রবী রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহু উনাকে উনার সাথে ‘বাত্বনে ইয়া’জিজে’ যেখানে হযরত যায়িদ রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহু তিনি উনার জন্য অপেক্ষা করছেন, সে স্থান পর্যন্ত যেতে বললেন। সে সময় সম্ভ্রান্ত মহিলারা সফরকালে উটের পিঠে একটি হাওদার ভিতরে অবস্থান করতেন, যা উনাদের সম্মান মুবারক উনার বহিঃপ্রকাশ ছিলো। উম্মু আবীহা, আন নূরুল ঊলা সাইয়্যিদাতুনা হযরত খইরু ওয়া আফদ্বলু বানাতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি উনার উটের উপর একটি হাওদার ভিতর অবস্থান মুবারক করলেন। অতঃপর তিনি সম্মানিত হিজরত মুবারক উনার উদ্দেশ্যে রওয়ানা মুবারক হলেন। হযরত আবূ সুফিয়ান রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহু তিনি উম্মু আবীহা, আন নূরুল ঊলা সাইয়্যিদাতুনা হযরত খইরু ওয়া আফদ্বলু বানাতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সম্মানিত খিদমত মুবারক উনার আনজাম মুবারক দেয়ার জন্য একটু দূরত্ব বজায় রেখে উনাদের পিছু পিছু যাচ্ছিলেন। অন্যদিকে কুরাইশদের কিছু সংখ্যক লোক উনাদের পিছু নিলো। তারা উনাদেরকে সম্মানিত ও পবিত্র মক্কা শরীফ উনার বাইরে ‘জী-তুয়া’ নামক স্থানে পেলো। সর্বপ্রথম যে ব্যক্তি উম্মু আবীহা, আন নূরুল ঊলা সাইয়্যিদাতুনা হযরত খইরু ওয়া আফদ্বলু বানাতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার নিকট এগিয়ে যান, তিনি হচ্ছেন হযরত হাব্বার ইবনে আসওয়াদ রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহু তিনি (তখনও ঈমান আনেননি) এবং ফিহরী (নাফি’ ইবনে ‘আবদে ক্বইস অথবা খালিদ ইবনে ‘আবদে ক্বইস)। হযরত হাব্বার ইবনে আসওয়াদ রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহু তিনি উম্মু আবীহা, আন নূরুল ঊলা সাইয়্যিদাতুনা হযরত খইরু ওয়া আফদ্বলু বানাতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সম্মানিত উট মুবারকটির উপর তীর নিক্ষেপ করেন। তীরের আঘাতে উটটি লাফিয়ে উঠে এবং উম্মু আবীহা, আন নূরুল ঊলা সাইয়্যিদাতুনা হযরত খইরু ওয়া আফদ্বলু বানাতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি পাথরের উপর তাশরীফ মুবারক নেন, যার কারণে প্রচ- আঘাত মুবারক গ্রহণ করেন। সে সময় তিনি হামিলা শান মুবারক-এ ছিলেন। এই প্রচ- আঘাতের কারণে উনার একজন মহাসম্মানিত আওলাদ আলাইহিস সালাম তিনি মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র বরকতময় বিছালী শান মুবারক প্রকাশ অবস্থায় মহাসম্মানিত ও মহপবিত্র বরকতময় বিলাদতী শান মুবারক প্রকাশ করেন। সুবহানাল্লাহ! সময়টি ছিলো ২য় হিজরী শরীফ উনার ১৮ই শাওওয়াল শরীফ ইয়াওমুল ইছনাইনিল ‘আযীম শরীফ। সুবহানাল্লাহ!

 তখন উম্মু আবীহা, আন নূরুল ঊলা সাইয়্যিদাতুনা হযরত খইরু ওয়া আফদ্বলু বানাতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার অনেক নূরুন নাজাত মুবারক (রক্ত মুবারক) প্রবাহিত হন। (এর ফলে তিনি দীর্ঘ দিন সম্মানিত মারিদ্বী শান মুবারক প্রকাশ করেন এবং এই সম্মানিত মারীদ্বী শান মুবারক প্রকাশ করা অবস্থায় ৮ম হিজরী সনের ৮ই মুহাররমুল হারাম শরীফ মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র বরকতময় বিছালী শান মুবারক প্রকাশ করেন। সুবহানাল্লাহ!)। তখন হযরত কিনানাহ ইবনে রবী’ রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহু তিনি ধনুকে তীর সংযোগ করলেন এবং তিনি আক্রমণকারীদের সতর্ক করলেন যে, ‘যদি তোমাদের কেউ উম্মু আবীহা, আফদ্বলু বানাতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, খইরু ওয়া আফদ্বালু বানাতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সাইয়্যিদাতুনা হযরত আন নূরুল ঊলা আলাইহাস সালাম উনার ক্ষতি করার চেষ্টা করো, তবে তার সীনা হবে আমার তীরের লক্ষ্যস্থল।’ তিনি ছিলেন দক্ষ তীরন্দাজ। উনার নিক্ষিপ্ত কোনো তীর কখনো লক্ষ্যভ্রষ্ট হতো না। ফলে আক্রমণকারীরা থেমে গেল। যেহেতু হযরত আবূ সুফিয়ান রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহু তিনি আফদ্বলু বানাতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম,খইরু ওয়া আফদ্বালু বানাতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সাইয়্যিদাতুনা হযরত আন নূরুল ঊলা আলাইহাস সালাম উনার সম্মানিত খিদমত মুবারক উনার আনজাম মুবারক দেয়ার জন্য, তিনি যেন নিরাপদে সম্মানিত হিজরত মুবারক করতে পারেন সেজন্য সম্মানিত ও পবিত্র বাহন শরীফ থেকে কিছুটা দূরুত্ব বজায় রেখে উনাদের অনুসরণ করে উনাদের পিছনে পিছনে আসতেছিলেন। ফলে তিনি এ সময় উনাদের সম্মুখে আসলেন। তিনি হযরত কিনানাহ রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহু উনাকে শান্ত করলেন এবং তীর নিক্ষেপ না করার জন্য অনুরোধ করলেন। তিনি হযরত কিনানাহ রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহু উনাকে প্রতিশ্রুতি দিলেন যে, কিছুদিন পর যখন লোকেরা স¦াভাবিক হবে, তখন উম্মু আবীহা, আন নূরুল ঊলা সাইয়্যিদাতুনা হযরত খইরু ওয়া আফদ্বলু বানাতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি সম্মানিত ও পবিত্র মক্কা শরীফ ত্যাগ করে সম্মানিত ও পবিত্র মদীনা শরীফ-এ তাশরীফ মুবারক রাখতে পারবেন। তিনি বলেলন, আপনি প্রকাশ্যে দিনে দুপুরে মানুষের সম্মুখ দিয়ে উম্মু আবীহা, আন নূরুল ঊলা সাইয়্যিদাতুনা হযরত খইরু ওয়া আফদ্বলু বানাতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে নিয়ে বের হয়েছেন। গোটা আরববাসী জানে সম্মানিত বদর জিহাদে কুরাইশদের কী করুণ অবস্থা হয়েছিলো এবং উম্মু আবীহা, আন নূরুল ঊলা সাইয়্যিদাতুনা হযরত খইরু ওয়া আফদ্বলু বানাতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাসম্মানিত পিতা নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি কুরাইশদেরকে কী কঠিনভাবে পরাজিত করেছিলেন। আমি আগেই বিষয়টি নিয়ে চিন্তিত ছিলাম যে, আপনি যদি এভাবে প্রকাশ্যে দিনে দুপুরে উনার মহাসম্মানিত বানাত আলাইহাস সালাম উনাকে কুরাইশদের নাকের ডগার উপর দিয়ে নিয়ে যান, তাহলে এ রকম দূর্ঘটনা ঘটতে পারে। আপনি আজ উম্মু আবীহা, আন নূরুল ঊলা সাইয়্যিদাতুনা হযরত খইরু ওয়া আফদ্বলু বানাতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে নিয়ে বাড়ি ফিরে যান। উনার সম্মানিত চিকিৎসা মুবারক উনার ব্যবস্থা করুন। কিছু দিন তিনি সাইয়্যিদুনা হযরত যুন নূর আলাইহিস সালাম উনার সম্মানিত হুজরা শরীফ-এ অবস্থান মুবারক করুন। অতঃপর যখন পরিস্থিতি স্বাভাবিক হবে, তখন আমি নিজেই উম্মু আবীহা, আফদ্বলু বানাতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, খইরু ওয়া আফদ্বালু বানাতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামসাইয়্যিদাতুনা হযরত আন নূরুল ঊলা আলাইহাস সালাম উনাকে উনার মহাসম্মানিত পিতা নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার নিকট পৌঁছে দেয়ার সমস্ত ব্যবস্থা করে দিবো। হযরত কিনানাহ রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহু তিনি ছিলেন খুবই বিচক্ষণ ব্যক্তি। তিনি ফিরে যেতে সম্মত হলেন। উতবা ইবনে রবিয়ার কন্যা এবং হযরত আবূ সুফিয়ান রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহু উনার আহলিয়াহ হযরত হিন্দ রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহা তিনি উম্মু আবীহা, আফদ্বলু বানাতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, খইরু ওয়া আফদ্বালু বানাতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামসাইয়্যিদাতুনা হযরত আন নূরুল ঊলা আলাইহাস সালাম উনার সাথে কুরাইশদের দুর্ব্যবহারে ক্ষুব্ধ হলেন।

যদিও তিনি তখন নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার বড় শত্রুদের মধ্যে গণ্য ছিলেন, তা সত্ত্বেও তিনি আক্রমণকারীদেরকে উদ্দেশ্য করে বললেন, যারা জিহাদের ময়দানে শত্রুদের মোকাবিলায় অসামর্থ্য; কিন্তু কোনো মহিলা যিনি উনার মহাসম্মানিত পিতা উনার সাথে সাক্ষাৎ মুবারক করতে চান, উনাকে হয়রান করে, তারা কাপুরুষ। একটি কবিতায় তিনি তাদেরকে বললেন,
اَفِـى السِّلْـمِ اَعْيَارًا جَفَاءً وَّغِلْظَةً ... وَّفِـى الْـحَرْبِ اَشْبَاهَ الـنِّـسَاءِ الْعَوَارِكِ
 অর্থ: “তারা ছিল বন্য গাধার ন্যায়, যারা শান্তির সময় খুবই কঠোর এবং কর্কশ। কিন্তু যুদ্ধের সময় স¦াভাবিক মাজুরতায় রত নারীদের মতো।” (ইবনে হিশাম ৩/২০৭, বিদায়া নিহায়া ৩/৪০০, আর রওদ্বুল উন্ফ ৩/১০৫)

সিবতু রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, সাইয়্যিদু শাবাবি আহলিল জান্নাহ সাইয়্যিদুনা হযরত ইসিবতু রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সাইয়্যিদুনা হযরত ইমাম ইবনে হযরত যুন নূর আছ ছানী আলাইহিস সালাম উনার সংক্ষিপ্ত জীবনী মুবারক


সিবতু রসূলিল্লাহ সাইয়্যিদুনা হযরত ইমাম ইবনে যুন নূর আছ ছানী আলাইহিস সালাম উনার সম্মানিত পরিচিতি মুবারক:

মহাসম্মানিতা আম্মাজান আলাইহাস সালাম: সাইয়্যিদাতুন নিসায়ি ‘আলাল আলামীন, সাইয়্যিদাতু নিসায়ি আহলিল জান্নাহ, উম্মু আবীহা, আন নূরুল ঊলা সাইয়্যিদাতুনা হযরত খইরু ওয়া আফদ্বালু বানাতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম (সাইয়্যিদাতুনা হযরত যাইনাব আলাইহাস সালাম।) সুবহানাল্লাহ!
মহাসম্মানিত আব্বাজান আলাইহিস সালাম: আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সাইয়্যিদুনা হযরত যুন নূর আলাইহিস সালাম (সাইয়্যিদুনা হযরত আবুল আছ ইবনে রবী’ আলাইহিস সালাম)। সুবহানাল্লাহ!

সাইয়্যিদাতুনা হযরত খইরু ওয়া আফদ্বলু বানাতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সম্মানিত হিজরত মুবারক উনার প্রেক্ষাপট:

দ্বিতীয় হিজরী শরীফ উনার সম্মানিত রমাদ্বান শরীফ-এ সম্মানিত বদর জিহাদ মুবারক সংঘটিত হয়। সেই সম্মানিত জিহাদ মুবারক-এ এক হাজার কুরাইশ অংশগ্রহণ করে। তাদের মধ্যে সাইয়্যিদুনা হযরত যুন নূর আলাইহিস সালাম তিনিও ছিলেন। মূলত তিনি উনার অনিচ্ছা সত্ত্বেও কুরাইশদের পিড়াপিড়ির কারণে জিহাদে উপস্থিত হয়েছেন। তিনি কস্মিনকালেও নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার বিরুদ্ধে বা সম্মানিত মুসলমান উনাদের বিরুদ্ধে জিহাদ করার জন্য সেখানে উপস্থিত হননি। কারণ তিনি সাইয়্যিদুনা হযরত খাতিমুল মুহাজিরিন হযরত আব্বাস আলাইহিস সালাম উনার ন্যায় ভিতরে ভিতরে সম্মানিত ও পবিত্র দ্বীন ইসলাম গ্রহণ করেছিলেন। কিন্তু আনুষ্ঠানিকভাবে তখনও তা প্রকাশ করেননি। যা হোক, যুদ্ধে কুরাইশরা পরাজিত হয়। তাদের ৭০ জন নিহত এবং ৭০ জন বা তার চেয়ে বেশি সংখ্যক লোক বন্দি হয়। এ সকল বন্দিদের মধ্যে সাইয়্যিদুনা হযরত যুন নূর আলাইহিস সালাম তিনি এবং সাইয়্যিদুনা হযরত খাতিমুল মুহাজিরিন আলাইহিস সালাম তিনিও ছিলেন। বন্দিদেরকে যখন সম্মানিত ও পবিত্র মদীনা শরীফ-এ নিয়ে যাওয়া হলো, তখন নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহুম উনাদেরকে সম্মানিত নির্দেশ মুবারক দিলেন,
اِسْتَوْصُوْا بِالْاُسَارٰى خَيْرًا.
অর্থ: “আপনারা বন্দিদের সাথে ভালো ব্যবহার করুন।” সুবহানাল্লাহ!

উনারা তা করেছিলেন। উনারা নিজেরা খেজুর খেতেন, কিন্তু বন্দিদেরকে রুটি প্রদান করতেন। সম্মানিত ও পবিত্র মদীনা শরীফ-এ অগণিত খেজুর গাছ ছিল। সুতরাং খেজুর ছিল সস্তা। কিন্তু গম ও যবের মতো খাদ্য শস্য অধিক মূল্যে খরিদ করতে হতো। তা সত্ত্বেও নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সম্মানিত নির্দেশ মুবারক হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহুম উনারা যথাযথভাবে পালন করেন ও অপরের জন্য ত্যাগের উদাহরণ প্রদর্শন করেন। সুবহানাল্লাহ!
যুদ্ধবন্দিদের হত্যা করা সে সময়ের রীতি ছিলো। এই জন্য সাইয়্যিদুনা হযরত ফারূক্বে আ’যম আলাইহিস সালাম তিনি সম্মানিত বদর জিহাদ মুবারক উনার যুদ্ধবন্দিদের হত্যা করার কথা ভেবেছিলেন। কিন্তু নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি সম্মানিত ওহী মুবারক অনুযায়ী বন্দিদের মুক্তির বিনিময়ে তাদের নিকট থেকে মুক্তিপণ গ্রহণের সিদ্ধান্ত মুবারক গ্রহণ করেন। এক হাজার থেকে তিন বা চার হাজার দিরহাম প্রত্যেক বন্দি থেকে মুক্তিপণ হিসেবে গ্রহণ করা হয়েছিলো।
যখন মক্কাবাসীরা অবগত হলো বন্দিদের মুক্তিপণের মাধ্যমে মুক্ত করার সুযোগ রয়েছে, তারা অতিসত্বর সে সুযোগ গ্রহণ করলো। লোকেরা তাদের পরিবারের সদস্যদের মুক্তির জন্য প্রয়োজনীয় পরিমাণ অর্থ দ্রুত সংগ্রহ করলো। যদিও সাইয়্যিদুনা হযরত যুন নূর আলাইহিস সালাম তিনি সম্পদশালী ছিলেন, কিন্তু সে সময় উনার সাথে মুক্তিপণের অর্থ ছিলো না। তাই তিনি উম্মু আবীহা, আন নূরুল ঊলা সাইয়্যিদাতুনা হযরত খইরু ওয়া আফদ্বলু বানাতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার নিকট মুক্তিপণের ব্যবস্থা করার জন্য বার্তা মুবারক পাঠালেন। তখন উম্মু আবীহা, আন নূরুল ঊলা সাইয়্যিদাতুনা হযরত খইরু ওয়া আফদ্বলু বানাতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি সম্মানিত নিসবতে ‘আযীম শরীফ উনার সময় উম্মুল মু’মিনীন আল ঊলা সাইয়্যিদাতুনা হযরত কুবরা আলাইহাস সালাম উনার থেকে হাদিয়া মুবারক স¦রূপ যে সমস্ত অলংকার মুবারকসমূহ পেয়েছিলেন সেখান থেকে একখানা সম্মানিত হার মুবারক মুক্তিপণ হিসেবে দেয়ার সিদ্ধান্ত মুবারক গ্রহণ করলেন। সম্মানিত ও পবিত্র মক্কাবাসীরা মুক্তিপণের অর্থ প্রদানের জন্য সম্মানিত ও পবিত্র মদীনা শরীফ গমন করলো। তাদের মাঝে উম্মু আবীহা, আন নূরুল ঊলা সাইয়্যিদাতুনা হযরত খইরু ওয়া আফদ্বলু বানাতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার দূত আমর ইবনে রবী’, যিনি সাইয়্যিদুনা হযরত যুন নূর আলাইহিস সালাম উনার সম্মানিত আপন ভাই তিনিও ছিলেন। এ সম্পর্কে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক হয়েছে,
عَنْ اُمِّ الْمُؤْمِنِيْنَ الثَّالِثَةِ الصِّدِّيْقَةِ سَيِّدَتِنَا حَضْرَتْ عَائِشَةَ عَلَيْهَا السَّلَامُ قَالَتْ لَمَّا بَعَثَ اَهْلُ مَكَّةَ فِـىْ فِدَاءِ اَسْرَاهُمْ بَعَثَتْ حَضْرَتْ زَيْنَبُ عَلَيْهَا السَّلَامُ فِـىْ فِدَاءِ اَبِـى الْعَاصِ عَلَيْهِ السَّلَامُ بِـمَالٍ وَّبَعَثَتْ فِيْهِ بِقِلَادَةٍ لَّـهَا كَانَتْ عِنْدَ خَدِيْـجَةَ عَلَيْهَا السَّلَامُ اَدْخَلَـتْهَا بِـهَا عَلـٰى حَضْرَتْ اَبِـى الْعَاصِ عَلَيْهِ السَّلَامُ. قَالَتْ فَلَمَّا رَاٰهَا رَسُوْلُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ رَقَّ لَـهَا رِقَّةً شَدِيْدَةً وَّقَالَ اِنْ رَاَيْتُمْ اَنْ تُطْلِقُوْا لَـهَا اَسِيْرَهَا وَتَرُدُّوْا عَلَيْهَا الَّذِىْ لَـهَا. فَقَالُوْا نَعَمْ. وَكَانَ رَسُوْلُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ اَخَذَ عَلَيْهِ اَنْ يُّـخَلِّىَ سَبِيْلَ حَضْرَتْ زَيْنَبَ عَلَيْهَا السَّلَامُ اِلَيْهِ وَبَعَثَ رَسُوْلُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ زَيْدَ بْنَ حَارِثَةَ رَضِىَ اللهُ تَعَالـٰى عَنْهُ وَرَجُلًا مِّنَ الْاَنْصَارِ فَقَالَ كُوْنَا بِبَطْنِ يَأْجِجَ حَتّٰى تَـمُرَّ بِكُمَا حَضْرَتْ زَيْنَبُ عَلَيْهَا السَّلَامُ فَتَصْحَبَاهَا حَتّٰى تَاْتِيَا بِـهَا.
অর্থ:“উম্মুল মু’মিনীন আছ ছালিছাহ সাইয়্যিদাতুনা হযরত ছিদ্দীক্বাহ আলাইহাস সালাম উনার থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, যখন মক্কাবাসীরা মুক্তিপণের অর্থ প্রদানের জন্য সম্মানিত ও পবিত্র মদীনা শরীফ গমন করলো। তখন উম্মু আবীহা, আন নূরুল ঊলা সাইয়্যিদাতুনা হযরত খইরু ওয়া আফদ্বলু বানাতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনিও সাইয়্যিদুনা হযরত যুন নূর আলাইহিস সালাম উনার মুক্তিপণ দিয়ে উনার দূত (আমর ইবনে রবী’ উনাকে) প্রেরণ করলেন। মুক্তিপণ হিসেবে উম্মু আবীহা, আন নূরুল ঊলা সাইয়্যিদাতুনা হযরত খইরু ওয়া আফদ্বলু বানাতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি উনার দূতকে কিছু মালসহ সেই সম্মানিত হার মুবারকখানাও দিয়ে প্রেরণ করেছিলেন, যেই সম্মানিত হার মুবারকখানা ছিলো উম্মুল মু’মিনীন আল ঊলা সাইয়্যিদাতুনা হযরত কুবরা আলাইহাস সালাম উনার। সাইয়্যিদুনা হযরত যুন নূর আলাইহিস সালাম উনার সাথে উম্মু আবীহা, আন নূরুল ঊলা সাইয়্যিদাতুনা হযরত খইরু ওয়া আফদ্বলু বানাতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সম্মানিত নিসবতে ‘আযীম শরীফ হওয়ার সময় উম্মুল মু’মিনীন আল ঊলা সাইয়্যিদাতুনা হযরত কুবরা আলাইহাস সালাম তিনি উক্ত সম্মানিত হার মুবারকখানা উম্মু আবীহা, আন নূরুল ঊলা সাইয়্যিদাতুনা হযরত খইরু ওয়া আফদ্বলু বানাতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে হাদিয়া মুবারক করেছিলেন। যখন নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি উম্মুল মু’মিনীন আল ঊলা সাইয়্যিদাতুনা হযরত কুবরা আলাইহাস সালাম উনার সেই সম্মানিত স্মৃতিবাহী হার মুবারকখানা দেখলেন, তখন তিনি অত্যন্ত ভারাক্রান্ত হলেন। তিনি হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহুম উনাদেরকে বললেন,
اِنْ رَاَيْتُمْ اَنْ تُطْلِقُوْا لَـهَا اَسِيْرَهَا وَتَرُدُّوْا عَلَيْهَا الَّذِىْ لَـهَا
 ‘যদি আপনারা যথাযথ মনে করেন, তাহলে উম্মু আবীহা, আন নূরুল ঊলা সাইয়্যিদাতুনা হযরত খইরু ওয়া আফদ্বলু বানাতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার বন্দি তথা সাইয়্যিদুনা হযরত যুন নূর আলাইহিস সালাম উনাকে মুক্ত করে দিন এবং উনার সম্মানিত হার মুবারকখানাও ফেরত দিন।’

তখন হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আহুম উনারা বলেন, ইয়া রসূলাল্লাহ, ইয়া হাবীবাল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! আপনি যা ইরশাদ মুবারক করেছেন, তাই হবে। অর্থাৎ উনারা সাইয়্যিদুনা হযরত যুন নূর আলাইহিস সালাম উনাকেও মুক্ত করে দিলেন এবং সেই সম্মানিত হার মুবারকখানাও ফেরত দিলেন। সুবহানাল্লাহ!
অবশ্য নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি সাইয়্যিদুনা হযরত যুন নূর আলাইহিস সালাম উনাকে সম্মানিত শর্ত মুবারক দিলেন যে, তিনি সম্মানিত ও পবিত্র মক্কা শরীফ প্রত্যাবর্তন করার পর উম্মু আবীহা, আন নূরুল ঊলা সাইয়্যিদাতুনা হযরত খইরু ওয়া আফদ্বলু বানাতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে সম্মানিত ও পবিত্র মদীনা শরীফ পৌঁছে দেয়ার ব্যবস্থা করবেন। আর নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি হযরত যায়িদ ইবনে হারিছ রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহু উনাকে এবং একজন হযরত আনছার ছাহাবী রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহু উনাকে অর্থাৎ উনাদেরকে পাঠালেন এবং উনাদেরকে বলে দিলেন, আপনারা দু’জন সম্মানিত ও পবিত্র মক্কা শরীফ উনার অনতিদূরে ‘বাত্বনে ইয়া’জিজে’ অবস্থান করবেন। যখন উম্মু আবীহা, আন নূরুল ঊলা সাইয়্যিদাতুনা হযরত খইরু ওয়া আফদ্বলু বানাতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি সেখানে উপস্থিত হবেন, তখন সেখান থেকে আপনারা উনার সম্মানিত খিদমত মুবারক উনার আনজাম মুবারক দিয়ে উনাকে সম্মানিত ও পবিত্র মদীনা শরীফ নিয়ে আসবেন।” (আবূ দাঊদ শরীফ, মুসনাদে আহমদ শরীফ, আস সুনানুল কুবরা লিননাসাঈ, আল মু’জামুুল কাবীর, হাকিম, বাইহাক্বী শরীফ, মিশকাত শরীফ ইত্যাদি)


আন নূরুল ঊলা সাইয়্যিদাতুনা হযরত খইরু ওয়া আফদ্বলু বানাতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সম্মানিত হিজরত মুবারক উনার প্রস্তুতি মুবারক:

সাইয়্যিদুনা হযরত যুন নূর আলাইহিস সালাম তিনি সম্মানিত ও পবিত্র মদীনা শরীফ থেকে সম্মানিত ও পবিত্র মক্কা শরীফ-এ এসে উম্মু আবীহা, আন নূরুল ঊলা সাইয়্যিদাতুনা হযরত খইরু ওয়া আফদ্বলু বানাতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সম্মানিত খিদমত মুবারক-এ নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি উম্মু আবীহা, আন নূরুল ঊলা সাইয়্যিদাতুনা হযরত খইরু ওয়া আফদ্বলু বানাতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সম্মানিত হিজরত মুবারক সম্পর্কে যা বলেছিলেন সেই সংবাদ মুবারক পৌঁছে দেন। তখন উম্মু আবীহা, আন নূরুল ঊলা সাইয়্যিদাতুনা হযরত খইরু ওয়া আফদ্বলু বানাতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি সম্মানিত ও পবিত্র মক্কা শরীফ থেকে সম্মানিত ও পবিত্র মদীনা শরীফ হিজরত মুবারক করার জন্য প্রস্তুতি মুবারক নিতে থাকেন। হযরত হিন্দ রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহা যিনি হযরত আবূ সুফিয়ান রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহু উনার আহলিয়াহ তিনি উনাকে সম্মানিত হিজরত মুবারক করার বিষয়ে সহযোগীতা করেছিলেন, সম্মানিত খিদমত মুবারক উনার আনজাম মুবারক দিয়েছিলেন। সম্মানিত বদর জিহাদ উনার পর মাত্র একমাস অতিবাহিত হয়েছে। সম্মানিত ও পবিত্র মক্কাবাসীরা যুদ্ধে তাদের অতিরিক্ত ক্ষয়ক্ষতির কারণে তখনও দুঃখ-ভারাক্রান্ত। তাদের ক্ববিলাগুলো (গোত্রসমূহ) মৃতদের জন্য শোক প্রকাশ করছিল এবং গোত্রের প্রতি অনুগত মৃতদের প্রতিশোধ নেয়ার ডাক দিয়ে যাচ্ছিলো। এ অবস্থায় সম্মানিত ও পবিত্র মদীনা শরীফ উনার কোনো মুসলমান উনাদের পক্ষে সম্মানিত ও পবিত্র মক্কা শরীফ প্রবেশ করা যেমন অসম্ভব ছিলো তেমনিভাবে একজন মুসলমান উনার জন্য অক্ষত অবস্থায় সম্মানিত ও পবিত্র মক্কা শরীফ ত্যাগ করাও কঠিন ছিলো। এ কারণে নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি হযরত যায়িদ ইবনে হারিছ রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহু উনাকে এবং একজন হযরত আনছার ছাহাবী রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহু উনাদেরকে উম্মু আবীহা, আন নূরুল ঊলা সাইয়্যিদাতুনা হযরত খইরু ওয়া আফদ্বলু বানাতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার জন্য ‘বাত্বনে ইয়া’জিজে’ অপেক্ষা করার সম্মানিত নির্দেশ মুবারক দিয়েছিলেন। স্থানটি ছিলো সম্মানিত ও পবিত্র মক্কা শরীফ থেকে প্রায় ১৩ কিলোমিটার দূরে।

সম্মানিত হিজরত মুবারক উনার উদ্দেশ্যে রওয়ানা এবং সাইয়্যিদুনা হযরত ইমাম ইবনে যুন নূর আছ ছানী আলাইহিস সালাম উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র বরকতময় বিছালী শান মুবারক প্রকাশ করা অবস্থায় মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র বরকতময় বিলাদতী শান মুবারক প্রকাশ:

উম্মু আবীহা, আন নূরুল ঊলা সাইয়্যিদাতুনা হযরত খইরু ওয়া আফদ্বলু বানাতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি যখন সম্মানিত হিজরত মুবারক উনার প্রস্তুতি মুবারক সম্পন্ন করলেন, তখন সাইয়্যিদুনা হযরত যুন নূর আলাইহিস সালাম তিনি উনার সম্মানিত ভাই হযরত কিনানাহ ইবনে রবী রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহু উনাকে উনার সাথে ‘বাত্বনে ইয়া’জিজে’ যেখানে হযরত যায়িদ রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহু তিনি উনার জন্য অপেক্ষা করছেন, সে স্থান পর্যন্ত যেতে বললেন। সে সময় সম্ভ্রান্ত মহিলারা সফরকালে উটের পিঠে একটি হাওদার ভিতরে অবস্থান করতেন, যা উনাদের সম্মান মুবারক উনার বহিঃপ্রকাশ ছিলো। উম্মু আবীহা, আন নূরুল ঊলা সাইয়্যিদাতুনা হযরত খইরু ওয়া আফদ্বলু বানাতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি উনার উটের উপর একটি হাওদার ভিতর অবস্থান মুবারক করলেন। অতঃপর তিনি সম্মানিত হিজরত মুবারক উনার উদ্দেশ্যে রওয়ানা মুবারক হলেন। হযরত আবূ সুফিয়ান রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহু তিনি উম্মু আবীহা, আন নূরুল ঊলা সাইয়্যিদাতুনা হযরত খইরু ওয়া আফদ্বলু বানাতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সম্মানিত খিদমত মুবারক উনার আনজাম মুবারক দেয়ার জন্য একটু দূরত্ব বজায় রেখে উনাদের পিছু পিছু যাচ্ছিলেন। অন্যদিকে কুরাইশদের কিছু সংখ্যক লোক উনাদের পিছু নিলো। তারা উনাদেরকে সম্মানিত ও পবিত্র মক্কা শরীফ উনার বাইরে ‘জী-তুয়া’ নামক স্থানে পেলো। সর্বপ্রথম যে ব্যক্তি উম্মু আবীহা, আন নূরুল ঊলা সাইয়্যিদাতুনা হযরত খইরু ওয়া আফদ্বলু বানাতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার নিকট এগিয়ে যান, তিনি হচ্ছেন হযরত হাব্বার ইবনে আসওয়াদ রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহু তিনি (তখনও ঈমান আনেননি) এবং ফিহরী (নাফি’ ইবনে ‘আবদে ক্বইস অথবা খালিদ ইবনে ‘আবদে ক্বইস)। হযরত হাব্বার ইবনে আসওয়াদ রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহু তিনি উম্মু আবীহা, আন নূরুল ঊলা সাইয়্যিদাতুনা হযরত খইরু ওয়া আফদ্বলু বানাতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সম্মানিত উট মুবারকটির উপর তীর নিক্ষেপ করেন। তীরের আঘাতে উটটি লাফিয়ে উঠে এবং উম্মু আবীহা, আন নূরুল ঊলা সাইয়্যিদাতুনা হযরত খইরু ওয়া আফদ্বলু বানাতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি পাথরের উপর তাশরীফ মুবারক নেন, যার কারণে প্রচ- আঘাত মুবারক গ্রহণ করেন। সে সময় তিনি হামিলা শান মুবারক-এ ছিলেন। এই প্রচ- আঘাতের কারণে উনার একজন মহাসম্মানিত আওলাদ আলাইহিস সালাম তিনি মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র বরকতময় বিছালী শান মুবারক প্রকাশ অবস্থায় মহাসম্মানিত ও মহপবিত্র বরকতময় বিলাদতী শান মুবারক প্রকাশ করেন। সুবহানাল্লাহ! সময়টি ছিলো ২য় হিজরী শরীফ উনার ১৮ই শাওওয়াল শরীফ ইয়াওমুল ইছনাইনিল ‘আযীম শরীফ। সুবহানাল্লাহ!

 তখন উম্মু আবীহা, আন নূরুল ঊলা সাইয়্যিদাতুনা হযরত খইরু ওয়া আফদ্বলু বানাতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার অনেক নূরুন নাজাত মুবারক (রক্ত মুবারক) প্রবাহিত হন। (এর ফলে তিনি দীর্ঘ দিন সম্মানিত মারিদ্বী শান মুবারক প্রকাশ করেন এবং এই সম্মানিত মারীদ্বী শান মুবারক প্রকাশ করা অবস্থায় ৮ম হিজরী সনের ৮ই মুহাররমুল হারাম শরীফ মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র বরকতময় বিছালী শান মুবারক প্রকাশ করেন। সুবহানাল্লাহ!)। তখন হযরত কিনানাহ ইবনে রবী’ রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহু তিনি ধনুকে তীর সংযোগ করলেন এবং তিনি আক্রমণকারীদের সতর্ক করলেন যে, ‘যদি তোমাদের কেউ উম্মু আবীহা, আফদ্বলু বানাতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, খইরু ওয়া আফদ্বালু বানাতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সাইয়্যিদাতুনা হযরত আন নূরুল ঊলা আলাইহাস সালাম উনার ক্ষতি করার চেষ্টা করো, তবে তার সীনা হবে আমার তীরের লক্ষ্যস্থল।’ তিনি ছিলেন দক্ষ তীরন্দাজ। উনার নিক্ষিপ্ত কোনো তীর কখনো লক্ষ্যভ্রষ্ট হতো না। ফলে আক্রমণকারীরা থেমে গেল। যেহেতু হযরত আবূ সুফিয়ান রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহু তিনি আফদ্বলু বানাতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম,খইরু ওয়া আফদ্বালু বানাতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সাইয়্যিদাতুনা হযরত আন নূরুল ঊলা আলাইহাস সালাম উনার সম্মানিত খিদমত মুবারক উনার আনজাম মুবারক দেয়ার জন্য, তিনি যেন নিরাপদে সম্মানিত হিজরত মুবারক করতে পারেন সেজন্য সম্মানিত ও পবিত্র বাহন শরীফ থেকে কিছুটা দূরুত্ব বজায় রেখে উনাদের অনুসরণ করে উনাদের পিছনে পিছনে আসতেছিলেন। ফলে তিনি এ সময় উনাদের সম্মুখে আসলেন। তিনি হযরত কিনানাহ রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহু উনাকে শান্ত করলেন এবং তীর নিক্ষেপ না করার জন্য অনুরোধ করলেন। তিনি হযরত কিনানাহ রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহু উনাকে প্রতিশ্রুতি দিলেন যে, কিছুদিন পর যখন লোকেরা স¦াভাবিক হবে, তখন উম্মু আবীহা, আন নূরুল ঊলা সাইয়্যিদাতুনা হযরত খইরু ওয়া আফদ্বলু বানাতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি সম্মানিত ও পবিত্র মক্কা শরীফ ত্যাগ করে সম্মানিত ও পবিত্র মদীনা শরীফ-এ তাশরীফ মুবারক রাখতে পারবেন। তিনি বলেলন, আপনি প্রকাশ্যে দিনে দুপুরে মানুষের সম্মুখ দিয়ে উম্মু আবীহা, আন নূরুল ঊলা সাইয়্যিদাতুনা হযরত খইরু ওয়া আফদ্বলু বানাতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে নিয়ে বের হয়েছেন। গোটা আরববাসী জানে সম্মানিত বদর জিহাদে কুরাইশদের কী করুণ অবস্থা হয়েছিলো এবং উম্মু আবীহা, আন নূরুল ঊলা সাইয়্যিদাতুনা হযরত খইরু ওয়া আফদ্বলু বানাতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাসম্মানিত পিতা নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি কুরাইশদেরকে কী কঠিনভাবে পরাজিত করেছিলেন। আমি আগেই বিষয়টি নিয়ে চিন্তিত ছিলাম যে, আপনি যদি এভাবে প্রকাশ্যে দিনে দুপুরে উনার মহাসম্মানিত বানাত আলাইহাস সালাম উনাকে কুরাইশদের নাকের ডগার উপর দিয়ে নিয়ে যান, তাহলে এ রকম দূর্ঘটনা ঘটতে পারে। আপনি আজ উম্মু আবীহা, আন নূরুল ঊলা সাইয়্যিদাতুনা হযরত খইরু ওয়া আফদ্বলু বানাতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে নিয়ে বাড়ি ফিরে যান। উনার সম্মানিত চিকিৎসা মুবারক উনার ব্যবস্থা করুন। কিছু দিন তিনি সাইয়্যিদুনা হযরত যুন নূর আলাইহিস সালাম উনার সম্মানিত হুজরা শরীফ-এ অবস্থান মুবারক করুন। অতঃপর যখন পরিস্থিতি স্বাভাবিক হবে, তখন আমি নিজেই উম্মু আবীহা, আফদ্বলু বানাতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, খইরু ওয়া আফদ্বালু বানাতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামসাইয়্যিদাতুনা হযরত আন নূরুল ঊলা আলাইহাস সালাম উনাকে উনার মহাসম্মানিত পিতা নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার নিকট পৌঁছে দেয়ার সমস্ত ব্যবস্থা করে দিবো। হযরত কিনানাহ রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহু তিনি ছিলেন খুবই বিচক্ষণ ব্যক্তি। তিনি ফিরে যেতে সম্মত হলেন। উতবা ইবনে রবিয়ার কন্যা এবং হযরত আবূ সুফিয়ান রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহু উনার আহলিয়াহ হযরত হিন্দ রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহা তিনি উম্মু আবীহা, আফদ্বলু বানাতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, খইরু ওয়া আফদ্বালু বানাতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামসাইয়্যিদাতুনা হযরত আন নূরুল ঊলা আলাইহাস সালাম উনার সাথে কুরাইশদের দুর্ব্যবহারে ক্ষুব্ধ হলেন।

যদিও তিনি তখন নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার বড় শত্রুদের মধ্যে গণ্য ছিলেন, তা সত্ত্বেও তিনি আক্রমণকারীদেরকে উদ্দেশ্য করে বললেন, যারা জিহাদের ময়দানে শত্রুদের মোকাবিলায় অসামর্থ্য; কিন্তু কোনো মহিলা যিনি উনার মহাসম্মানিত পিতা উনার সাথে সাক্ষাৎ মুবারক করতে চান, উনাকে হয়রান করে, তারা কাপুরুষ। একটি কবিতায় তিনি তাদেরকে বললেন,
اَفِـى السِّلْـمِ اَعْيَارًا جَفَاءً وَّغِلْظَةً ... وَّفِـى الْـحَرْبِ اَشْبَاهَ الـنِّـسَاءِ الْعَوَارِكِ
 অর্থ: “তারা ছিল বন্য গাধার ন্যায়, যারা শান্তির সময় খুবই কঠোর এবং কর্কশ। কিন্তু যুদ্ধের সময় স¦াভাবিক মাজুরতায় রত নারীদের মতো।” (ইবনে হিশাম ৩/২০৭, বিদায়া নিহায়া ৩/৪০০, আর রওদ্বুল উন্ফ ৩/১০৫)

সিবতু রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, সাইয়্যিদু শাবাবি আহলিল জান্নাহ সাইয়্যিদুনা হযরত ইমাম ইবনে যুন নূর আছ ছানী আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি হচ্ছেন মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদের মধ্যে বিশেষ ব্যক্তিত্ব মুবারক। সুবহানাল্লাহ! তাই সমস্ত জিন-ইনসান, তামাম কায়িনাতবাসী সকলের জন্য ফরযে আইন হচ্ছে সিবতু রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, সাইয়্যিদু শাবাবি আহলিল জান্নাহ সাইয়্যিদুনা হযরত ইমাম ইবনে যুন নূর আছ ছানী আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সাথে সম্পৃক্ত এই মহাসম্মানিত তারীখ মুবারক মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ১৮ই শাওওয়াল শরীফ উনাকে অত্যন্ত অদব-শরাফত, তা’যীম-তাকরীম এবং মুহব্বত মুবারক উনার সাথে পালন করা, উদযাপন করা। সুবহানাল্লাহ!


যিনি খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক তিনি আমাদের সবাইকে আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, মুত্বহহার, মুত্বহহির, মুজাদ্দিদে আ’যম মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা সাইয়্যিদুনা ইমাম খলীফাতুল্লাহ হযরত আস সাফফাহ আলাইহিছ ছলাতু ওয়াস সালাম উনার সম্মানার্থে আমাদের সবাইকে সেই তাওফীক্ব দান করুন। আমীন!মাম ইবনে যুন নূর আছ ছানী আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি হচ্ছেন মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদের মধ্যে বিশেষ ব্যক্তিত্ব মুবারক। সুবহানাল্লাহ! তাই সমস্ত জিন-ইনসান, তামাম কায়িনাতবাসী সকলের জন্য ফরযে আইন হচ্ছে সিবতু রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, সাইয়্যিদু শাবাবি আহলিল জান্নাহ সাইয়্যিদুনা হযরত ইমাম ইবনে যুন নূর আছ ছানী আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সাথে সম্পৃক্ত এই মহাসম্মানিত তারীখ মুবারক মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ১৮ই শাওওয়াল শরীফ উনাকে অত্যন্ত অদব-শরাফত, তা’যীম-তাকরীম এবং মুহব্বত মুবারক উনার সাথে পালন করা, উদযাপন করা। সুবহানাল্লাহ!

যিনি খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক তিনি আমাদের সবাইকে আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, মুত্বহহার, মুত্বহহির, মুজাদ্দিদে আ’যম মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা সাইয়্যিদুনা ইমাম খলীফাতুল্লাহ হযরত আস সাফফাহ আলাইহিছ ছলাতু ওয়াস সালাম উনার সম্মানার্থে আমাদের সবাইকে সেই তাওফীক্ব দান করুন। আমীন!

No comments

ডাল একটি বরকতময় পবিত্র খাদ্য।

  ডাল একটি বরকতময় পবিত্র খাদ্য। ডাল খাওয়ার ফলে কলব প্রসারিত হয় এবং চোখের দৃষ্টি শক্তি বৃদ্ধি পায়। পূর্ববর্তী হযরত নবী-রসুল আলাইহিমুস সালাম উ...

Powered by Blogger.