সুন্নতী খাবার লবণ, খাবার শুরুতে এবং শেষে লবণ খেলে ৩৮০ প্রকার রোগ থেকে বেঁচে থাকা যায়
লবণ আমাদের নিত্য প্রয়োজনীয় খাবার এবং দৈহিক সুস্থতার জন্য এক বহু প্রয়োজনীয় উপাদান।
লবণ শুধু রান্নার কাজেই লাগে তা নয়। এর অন্যান্য ব্যবহারও আছে।
লবণ খাওয়া খাছ সুন্নত। তরকারীর সাইয়্যিদ হলো লবণ। লবণ ছাড়া তরকারী রান্না করলে
অন্যান্য মশলা সব দেওয়া হলেও এ তরকারী খাওয়া যায় না। এজন্য পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার
মধ্যে ইরশাদ মুবারক হয়েছে, হযরত আনাস ইবনে মালিক
রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনার থেকে বর্ণিত,
তিনি বলেন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া
সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, “তোমাদের তরকারীর সাইয়্যিদ
হলো লবণ”। সুবহানাল্লাহ (ইবনে মাজাহ
শরীফ- ৩৩১৫)
লবণের অসংখ্য অগনিত উপকারীতা সম্পর্কে পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে বর্ণিত রয়েছে, সাইয়্যিদুনা হযরত কাররামাল্লাহু ওয়াজহাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম
তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ
হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি আমাকে নির্দেশ মুবারক দিলেন, হে হযরত কাররামাল্লাহু ওয়াজহাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! আপনি যখন
খাদ্য খাবেন তখন শুরুতে লবণ খাবেন এবং খাওয়া শেষ করে লবণ খাবেন। কেননা লবণের মধ্যে
৭০ প্রকার রোগের শিফা (রোগমুক্তি) রয়েছে। তার মধ্যে কিছু হচ্ছে, কুষ্ঠ রোগ, মস্তিষ্ক বিকৃতি বা পাগলামী, শ্বেত কুষ্ঠ, দাঁতের ব্যথা, গলা ব্যথা, চোখ ব্যথা। অন্য বর্ণনায়
এসেছে, পেট ব্যথা। সুবহানাল্লাহ। (বুগইয়াতুল
বাহিছ আন যাওয়ায়িদিল হারিছ- ১/৫২৬)
কিতাবে আরো বর্ণিত আছে, হযরত সা’দ ইবনে মায়াজ
রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু তিনি বর্ণনা করেন,
তোমরা লবণ
দ্বারা খাওয়া শুরু করবে। কেননা, ওই পবিত্র সত্তা মহান
আল্লাহ পাক উনার কসম! যার কুদরতী হাত মুবারকে আমার প্রাণ মুবারক! নিশ্চয়ই লবণ দ্বারা
খাবার শুরু করা ৭৩ প্রকার রোগ দূর করে দেয়। সুবহানাল্লাহ। (তানযিয়াতুশ শরীয়াতিল মারফুয়াহ)
কিতাবে আরো বর্ণিত আছে, হযরত উম্মুল মু’মিনীন
আছ ছালিছা হযরত ছিদ্দীক্বা আলাইহাস সালাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, যে ব্যক্তি সব ধরণের খাবারের শুরুতে এবং শেষে লবণ খাবে মহান
আল্লাহ পাক তিনি তাকে ৩৮০ প্রকার রোগ থেকে শিফা বা মুক্তি দান করবেন। তার ছোট রোগটি
হচ্ছে, কুষ্ঠ রোগ। সুবহানাল্লাহ। (নুযহাতুল
মাজালিস)
উপরোক্ত পবিত্র হাদীছ শরীফ সমূহ থেকে জানা গেল যে, খাদ্যের শুরুতে এবং শেষে লবণ খাওয়া খাছ সুন্ত ও অশেষ ফযীলতের
কারণ। তাই প্রত্যেকের উচিত সুন্নত আদায়ের লক্ষ্যে খাদ্যের শুরুতে ও শেষে লবণ খাওয়া।
No comments