খলিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক উনার হুকুম বা আদেশ-নিষেধ অমান্য করে কেউ মুসলমান হতে পারে না

মুসলমান হতে হলে মহান আল্লাহ পাক উনাকে খলিক্ব মালিক রব হিসেবে উনার প্রতি ঈমান আনতে হবে তথা বিশ্বাস স্থাপন করতে হবে। এবং মহান আল্লাহ পাক উনার যিনি মহাসম্মানিত হাবীব নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে শ্রেষ্ঠতম রসূল হিসেবে উনার প্রতি ঈমান আনতে হবে তথা উনার প্রতি বিশ্বাস স্থাপন করতে হবে। এবং সেই সাথে উনাদের মুবারক হুকুম বা আদেশ-নিষেধ সমূহ বিনা প্রশ্নে মেনে নিয়ে পালন করার কোশেশ করতে হবে। কিন্তু আজ দেখা যাচ্ছে যে, মানুষ নিজেকে মুসলমান হিসেবে পরিচয় দিচ্ছে সত্যিই অথচ তাদের বিশ্বাস মহান আল্লাহ পাক উনার প্রতি নেই এবং উনার মহাসম্মানিত হাবীব নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার প্রতি নেই। নাউযুবিল্লাহ!

উদাহরণস্বরূপ মহান আল্লাহ পাক তিনি উনার নাযিলকৃত কিতাব পবিত্র কুরআন শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক করেন-

لَيْسَ عَلَى الْأَعْمَى حَرَجٌ وَلَا عَلَى الْأَعْرَجِ حَرَجٌ وَلَا عَلَى الْمَرِيْضِ حَرَجٌ....أَنْ تَأْكُلُوْا جَمِيْعًا

অর্থ: “(তোমরা) অন্ধের সাথে, ল্যাংড়া-লুলার সাথে এবং ব্যাধিগ্রস্ত রোগীদের সাথে একত্রে খাবার খেতে পারো, তাতে কোন বাধা-নিষেধ নেই, অসুবিধা নেই, বিপদ নেই, অশুভ নেই।” (পবিত্র সূরা নূর শরীফ: পবিত্র আয়াত শরীফ ৬১)

অর্থাৎ অসুস্থ বা রোগাক্রান্ত ব্যক্তির সাথে থাকা, খাওয়া-দাওয়া, চলাফেরা, দেখাশোনা ইত্যাদি করার মধ্যে কোনরূপ বাধা-নিষেধ বা বিপদাপদ নেই।

অনুরূপ কায়িনাতবাসীর প্রতি প্রেরিত মহাসম্মানিত রসূল নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার ইরশাদ মুবারককৃত পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক হয়েছে-

لَا عَدْوَى

অর্থ: সংক্রামক বা ছোঁয়াচে বলে কোন রোগব্যাধি নেই। (বুখারী শরীফ)

অথচ সম্প্রতি করোনা ভাইরাসকে মুসলমানরা আজ ছোঁয়াচে বলে বিশ্বাস করছে। নাউযবিল্লাহ! এবং রোগাক্রান্ত ব্যক্তিদেরকে বিপদ হিসেবে মনে করছে। নাউযুবিল্লাহ!

মোটকথা, মহান আল্লাহ পাক উনার এবং উনার মহাসম্মানিত হাবীব নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাদের কথা মুবারককে বিশ্বাস না করে তারা কাফির, মুশরিক এবং তাদের অনুসারী মুনাফিক, উলামায়ে সু’ ও মুনাফিক ডাক্তারদের কথাকে বিশ্বাস করছে। নাউযুবিল্লাহ! ফলে তারা দুনিয়া ও আখিরাত উভয় জগতে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে ও হবে। নাউযুবিল্লাহ!