নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার নিকট কুল-মাখলুক্বাতের সবকিছুই হাযির ও নাযির
বিখ্যাত তাফসীরগ্রন্থ ‘আহকামুল কুরআন লিল আরাবী’তে উল্লেখ আছে, “নিশ্চয়ই তিনি (আল্লাহ পাক) উনার ইলম ও কুদরতের দ্বারা সমস্ত স্থানে রয়েছেন।”
আক্বাইদের কিতাবে উল্লেখ আছে, আহলে সুন্নত ওয়াল জামায়াতের ফতওয়া হলো, আল্লাহ পাক ইলম ও কুদরতের দ্ব্বারা হাযির-নাযির; জাত হিসেবে নন।
মহান আল্লাহ পাক, উনাকে হাযির ও নাযির জানার এটাই অর্থ যে, মহান আল্লাহ পাক উনার সৃষ্টি জগতের
প্রত্যেক সৃষ্টির কার্যসমূহ পূর্ণরূপেই দেখেন এবং উনার ইলম সর্বত্র বিরাজমান।
মহান আল্লাহ পাক তিনি জিসিম ও ছূরত-এ দুটির
কোনো একটি হিসেবে হাযির ও নাযির নন। বরং তিনি ছিফত অর্থাৎ ইলম ও কুদরত মুবারক উনার দ্বারা এবং ছিফত মিছালী ছূরত মুবারক হিসেবে কায়িনাতের সমস্ত
স্থানে হাযির ও নাযির। আর নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ছিফত অর্থাৎ ইলম ও মু’জিযা শরীফ দ্বারা এবং ছিফত অর্থাৎ নূর ও রহমত হিসেবে কায়িনাতের সমস্ত স্থানে হাযির ও নাযির।
আল্লাহ পাক বলেন ” নিশ্চয় আমি আপনাকে সারা আলমের জন্য রহমত
স্বরুপ পাঠিয়েছি ” পবিত্র সুরা আম্বিয়া ১০৭
পবিত্র হাদিস শরিফে আছে ” আল্লাহ পাক সর্বপ্রথম হুযুর পাক
ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার নুর
মুবারক সৃষ্টি করেন । সে পবিত্র নুর মুবারক হতে সমস্ত কায়িনাত সৃষ্টি করেন “(দায়লামি শরিফ)
অর্থাৎ রহমত ও নুর
হিসেবে হাবিবুল্লাহ হুযুর পাক ছল্লাল্লাহু
আলাইহি ওয়া সাল্লাম সর্বত্র হাযির নাজির। আল্লাহ পাক-এর হাবীব হুযূর পাক
ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম যেহেতু সমস্ত সৃষ্টির মূল ও প্রথমে নবী ও রসূল হিসেবেই সৃষ্টি হয়েছেন সেহেতু তিনি সৃষ্টির শুরু থেকে দুনিয়াতে বাহ্যিকভাবে
তাশরীফ আনা এবং বিছাল শরীফ পর্যন্ত সমস্ত দুনিয়ায় সংঘটিত সমস্ত কিছুই প্রত্যক্ষ করেছেন ও দেখেছেন
মহান আল্লাহ পাক পবিত্র কুরআন শরীফ-এ ইরশাদ
করেন, “(হে হাবিব ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম!) আপনি কি দেখেননি? আপনার রব আদ জাতির সাথে কিরূপ আচরণ করেছেন।” (সূরা ফজর-৬)
মহান আল্লাহ পাক ইরশাদ ফরমান, “আপনি কি লক্ষ্য করেননি, আপনার রব হস্তি বাহিনীর সাথে কিরূপ আচরণ করেছেন?” ( সূরা ফীল-১)
মহান আল্লাহ পাক ইরশাদ ফরমান, “আপনি কি লক্ষ্য করেননি, আপনার রব হস্তি বাহিনীর সাথে কিরূপ আচরণ করেছেন?” ( সূরা ফীল-১)
আদ জাতির ধ্বংসের কাহিনী আল্লাহ পাক-এর
হাবীব হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর সরাসরি যমীনে তাশরীফ আনার হাজার হাজার বছর আগেই সংঘটিত হয়েছে। আবার আবরাহার হস্তি বাহিনীর
ধ্বংসের ঘটনাও আল্লাহ পাক-এর হাবীব হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর যমীনে তাশরীফ আনার কিছুদিন পূর্বের। অথচ উভয় ক্ষেত্রেই আল্লাহ পাক
বললেন, “আপনি কি দেখেননি?” অর্থাৎ অবশ্যই আপনি দেখেছেন।
সুতরাং এ আয়াত শরীফদ্বয় দ্বারা প্রতীয়মান হলো যে, আল্লাহ পাক-এর হাবীব হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আরাইহি ওয়া সাল্লাম বাহ্যিকভাবে যমীনে তাশরীফ আনার পূর্বে আল্লাহ পাক-এর ক্বায়িনাতে সংঘটিত সমস্ত কিছুই আল্লাহ পাক-এর হাবীব ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম দেখেছেন।
হাদীছ শরীফ-এ আরো ইরশাদ হয়েছে, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু
আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ ফরমান, “নিশ্চয়ই আমি তোমাদের জন্য সুপারিশকারী ও
তোমাদের আমলের সাক্ষী। অবশ্যই তোমাদের সাথে আমার
পরবর্তী সাক্ষাতের স্থান হলো হাউজে কাউছার যা আমি এ স্থানে অবস্থান করেই দেখতে পাচ্ছি।” (বুখারী, মুসলিম, মিশকাত/৫৪৭) আর
যেহেতু তিনি হায়াতুন্ নবী ও হাযির-নাযির। তাই তিনি বিছাল শরীফ-এর পর থেকে ক্বিয়ামত পর্যন্ত সমস্ত উম্মতের সকল আমল ও
সমগ্র ক্বায়িনাতে সংঘটিত সমস্ত কিছু রওযা
মুবারকে অবস্থান করা সত্ত্বেও সরাসরি দেখেন।
যেমন, হাদীছ শরীফ-এ ইরশাদ হয়েছে, “হযরত মিনহাল ইবনে আমর রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু হতে বর্ণিত।
তিনি হযরত সাঈদ ইবনে মুসাইয়্যিব রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুকে বলতে শুনেছেনতিনি বলেছেন, “এমন কোন দিন নেই যার প্রতিদিন সকাল- সন্ধ্যায় হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি
ওয়া সাল্লাম-এর কাছে স্বীয় উম্মতের আমল পেশ করা হয়না
(দেখানো হয়না) তখন তিনি সকলের নাম ও আমলসহ দেখে সকলকে চিনতে পারেন। আর এজন্যই তিনি
সকলের সাক্ষী হবেন।” (মাফাহীম/২৫৮ )
অর্থাৎ বান্দা যত আমলই
করুক না কেন তা যেমন খালিক্ব- মালিক আল্লাহ পাক রব্বুল আলামীন-এর কুদরতী সৃষ্টির অন্তরালে করা সম্ভব নয় তেমনি সমগ্র সৃষ্টির মূল, যাঁর নূর মুবারক দ্বারাই সমস্ত ক্বায়িনাত
সৃষ্টি, রহমতুল্লিল আলামীন হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু
আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এরও নূরানী দৃষ্টি মুবারকের অন্তরালে কোন মাখলুক নেই। সুতরাং উনার নূরানী দৃষ্টি মুবারকের অন্তরালেও কোন কিছু করা সম্ভব
নয়।
মহান আল্লাহ পাক
তিনি পবিত্র সূরা ফাতহ শরীফ উনার ৯ নম্বর
পবিত্র আয়াত শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক করেন, ‘নিশ্চয়ই আমি আপনাকে (হে আমার হাবীব
ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম!) সাক্ষ্যদানকারী
হিসেবে প্রেরণ করেছি।’
যিনি সাক্ষ্য দিবেন উনার জন্য যেরূপ হাযির বা উপস্থিত থাকা শর্ত, তদ্রুপ নাযির বা দেখাও শর্ত।
কাজেই বলার অপেক্ষা রাখেনা যে, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার নিকট কুল-মাখলুক্বাতের সবকিছুই হাযির ও নাযির।
বুখারী শরীফ ও
মুসলিম শরীফ’এ নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ
মুবারক করেন, “মহান আল্লাহ পাক তিনি হাদিয়া করেন আর নিশ্চয়ই আমি হলাম (উক্ত
হাদিয়া) বণ্টনকারী।” অর্থাৎ মহান আল্লাহ পাক তিনি উনার
সর্বপ্রকার নিয়ামত নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু
আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে হাদিয়া করেছেন। আর নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি কুল-মাখলুক্বাতের যাকে যতটুকু
ইচ্ছা তাকে ততটুকু নিয়ামত বণ্টন করে দিয়ে থাকেন। সুবহানাল্লাহ!
যিনি
কুল-মাখলুক্বাতের জন্য নিয়ামত বণ্টনকারী; তিনি যদি কুল-মাখলূক্বাতের কাছে হাযির বা
উপস্থিত না থাকেন এবং তাদেরকে নাযির বা দেখে না
থাকেন, তাহলে তিনি তাদের মাঝে কিভাবে নিয়ামত বণ্টন করবেন? কাজেই কায়িনাতের সমস্ত সৃষ্টির জন্য তিনি যেহেতু নিয়ামত বণ্টনকারী, সেহেতু বলার অপেক্ষা রাখে না- সবকিছুই
উনার নিকট হাযির ও নাযির।
হযরত ইমাম তবারানী রহমতুল্লাহি আলাইহি এবং হযরত নঈম ইবনে উমর রহমতুল্লাহি আলাইহি উনাদের থেকে একখানা পবিত্র হাদীছ শরীফ বর্ণিত রয়েছে, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, “নিশ্চয়ই মহান আল্লাহ পাক তিনি এই পৃথিবীকে আমার চোখের সামনে এরূপভাবে রেখেছেন যে, আমি এ সমগ্র পৃথিবীকে এবং ক্বিয়ামত পর্যন্ত তার মধ্যে যা কিছু সৃজিত বা সংঘটিত হবে তদসমূহকে ওইরূপভাবে দেখি, যেরূপ আমার হাত মুবারক উনার তালু মুবারক দেখে থাকি।” সুবহানাল্লাহ! (তবারানী শরীফ, মিশকাত শরীফ) মুলত ইহা উম্মতকে বুঝানোর জন্য তিনি বলেছেন।
কারবালার ইতিহাসেও
হুযুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া
সাল্লাম উনার হাজির নাজির থাকার ঘটনা বর্নিত রয়েছে । যখন হযরত যায়নুল আবেদিন আলাইহিস সালাম পবিত্র রওজা
শরিফে কারবালার ঘটনা শুনাচ্ছিলেন তখন নুরে মুজাসসাম হাবিবুল্লাহ হুযুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন ” আমি তো সবই দেখেছি ” ।
ওলিয়াল্লাহ গন
উনারাও সারা কায়িনাতকে দেখে থাকেন । বড়পীর সাহেব রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার কাছে পৃথিবি ছিল শর্ষের দানার মত। তিনি একবার ৭০ জনের
ইফতারের দাওয়াত কবুল করে সবার বাড়িতেই একসাথে ইফতার করেছেন । আবার তিনি বলেছেন ” পৃথিবির অন্য প্রান্তেও যদি আমার মুরিদের লুংগির গিট খুলে যায় তাহলে তিনি
তা ঠিক করে দেন ।” খাজা সাহেব রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার কাছে পৃথিবি ছিল দু আঙ্গুলের মাঝে
যতটুকু ফাক থাকে ততটুকু ।(আনিসুল আরহাহ)।
একজন অলিয়াল্লার
কাছে দুনিয়া এমন হলে হুযুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার কাছে কতটুকু?
সাধারনত হযরত জিবরাইল আলাইহিস সালাম একসাথে
একাধিক জান কবজ করেন । তিনি এত জায়গায় একবারে থাকেন কি করে ? হযরত জিবরাইল আলাইহিস সালাম তিনিও তো
যেকোন সময় যে কোন স্থানে হাইর থাকেন ? ফিরিস্থা উনাদের এই শান হলে নুরে
মুজাসসাম হাবিবুল্লাহ হুযুর পাক ছল্লাল্লাহু
আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার কি শান মুবারক হবে ? হযরত খিজির আলাইহিস সালাম তিনিও তো হাজির
আছেন ।
মানুষ ইন্তেকাল করার পর কবরে ৩ প্রশ্নের একটা
প্রশ্ন ” আপনার নবি কে ? ” এখন একসাথে পৃথিবির নানা জায়গায় হাজার হাজার মানুষ মারা যায় ।
নুরে মুজাসসাম হাবিবুল্লাহ হুযুর
পাক ছল্লাল্লাহু লাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি যদি হাজির নাযির না থাকেন তাহলে মুর্দা দেখবে কি করে ?
মুলত তিনি পর্দার
আড়ালে আছেন । সে পর্দা ভেদ করার মত যার যোগ্যতা অর্জন হয় সে ই দেখতে পারে ।
নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, উনার হাযির-নাযির হওয়া সম্পর্কে হযরত ইমাম গাজ্জালী রহমতুল্লাহি আলাইহিবলেন, “আপনি যখন মসজিদে প্রবেশ করবেন তখন নূরে
মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু
আলাইহি ওয়া সাল্লাম, উনাকে সশ্রদ্ধ সালাম দিবেন। কারণ তিনি মসজিদসমূহে হাযির আছেন।” সুবহানাল্লাহ!
আল্লামা হযরত
শায়খ আব্দুল হক মুহাদ্দিস দেহলভী রহমতুল্লাহি আলাইহি বলেন, “নামাযে আখিরী নবী, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, উনাকে সম্ব্বোধন করা হয়েছে। এটা যেন এ
কথারই ইঙ্গিতবহ যে, আল্লাহ পাক উনার হাবীব ছল্লাল্লাহু
আলাইহি ওয়া সাল্লাম, উনার উম্মতদের মধ্যে নামাযীদের অবস্থা উনার কাছে এমনভাবে উদ্ভাসিত করেছেন যেন
তিনি তাদের মধ্যে হাযির বা উপস্থিত থেকেই দেখতে পাচ্ছেন, তাদের আমলসমূহ অনুধাবন করছেন। এ
সম্ব্বোধনের আরও একটি কারণ হচ্ছে উনার এ হাযির হওয়ার (উপস্থিতির) ধারণা অন্তরে অতিমাত্রায় বিনয় ও
নম্রতার সৃষ্টি করে।”
আল্লামা হযরত ইমাম
মুল্লা আলী ক্বারী রহমতুল্লাহি আলাইহি,উনার ‘শরহে শিফা’ কিতাবের উল্লেখ করেছেন, “নূরে মুজাস্সাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, উনার পবিত্র রূহ মুবারক মুসলমানদের ঘরে
ঘরে হাযির আছেন।” সুবহানাল্লাহ!
হযরত ইমাম ইবনুল হাজ্জ রহমতুল্লাহি আলাইহি, উনার ‘মাদখাল’গ্রন্থ ও হযরত ইমাম কুসতুলানী রহমতুল্লাহি, উনার ‘মাওয়াহেব’ গ্রন্থে উল্লেখ করেছেন,“আমাদের সুবিখ্যাত উলামায়ে কিরাম, উনারা বলেন যে, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু
আলাইহি ওয়া সাল্লাম, উনার হায়াত ও ওফাত মুবারকের মধ্যে কোন পার্থক্য নেই। তিনি নিজ উম্মতকে দেখেন, তাদের অবস্থা, নিয়ত, ইচ্ছা ও মনের কথা জানেন। এগুলো উনার কাছে
সম্পূর্ণরূপে সুস্পষ্ট; কোনরূপ অস্পষ্টতা বা পুশিদা থাকে না।” সুবহানাল্লাহ।
নুরে মুজাসসাম হাবিবুল্লাহ হুযুর পাক
ছল্লাল্লাহু লাইহি ওয়া সাল্লাম উনার জিসিম ও ছূরত মুবারক রয়েছে, সেহেতু তিনি যে জিসিম মুবারক পবিত্র রওযা শরীফ উনার মধ্যে অবস্থান করছেন উনার ইখতিয়ার ও
ক্ষমতা থাকা সত্ত্বেও তিনি সেই জিসিম মুবারক নিয়ে কোথাও হাযির হবেন না।
আহলে সুন্নত ওয়াল জামায়াত উনাদের ইমাম-মুজতাহিদগণ উনারা এ বিষয়ে একমত যে, তিনি ওই জিসিম মুবারক নিয়ে রওযা শরীফ থেকে উঠলে ক্বিয়ামত হয়ে যাবে। তাই তিনি উক্ত জিসিম মুবারক উনার অনুরূপ জিসিম মুবারক ও ছূরত মুবারক এবং মিছালী ছূরত মুবারক-এ কায়িনাত মাঝে হাযির ও নাযির থাকেন, যে কারণে উনার আশিকগণ উনাকে স্বপ্নে, মুরাক্বাবা-মুশাহাদার হালতে এমনকি জাগ্রত অবস্থার মধ্যেও দেখে থাকেন এবং কথোপকথনও করে থাকেন। সুবহানাল্লাহ!
কাজেই বলার অপেক্ষা রাখে না যে, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার নিকট কুল-মাখলূক্বাতের সবকিছুই হাযির ও নাযির। এটিই হচ্ছে আহলে সুন্নত ওয়াল জামায়াত উনাদের আক্বীদা। এর বিপরীত আক্বীদা পোষণকারীরা ৭২টি বাতিল ও জাহান্নামী ফিরক্বার অন্তর্ভুক্ত।
No comments