পশুর হাট হ্রাস নয়, বৃদ্ধি করতে হবে
কুরবানীর পশুর হাট বাড়ানো- এটা মুসলমানদের ঈমানের দাবি
২০১৬ সালে কুরবানী হাটের সংখ্যা চাহিদার তুলনায় কম করা হয়েছে। তাছাড়াও হাটগুলো মূল শহর থেকে দূর-দূরান্তে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। নাউযুবিল্লাহ!
এই কুরবানির হাট সরকারের রাজস্ব আয়ের উৎস ও। প্রতিবছর রাজধানীর কোরবানি পশুর হাটের রাজস্ব আয় বাড়ছে।
ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন (ডিএসসিসি) এলাকায় ২০১৬ সালের হাটগুলোর প্রস্তাবিত দর উঠেছে ৫ কোটি ৭৬ লাখ ৫০ হাজার টাকা।
অন্যদিকে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন (ডিএনসিসি) এলাকায় ২০১৬ সালের প্রস্তাবিত দর উঠেছে ৯ কোটি ২৯ লাখ ৬৬ হাজার টাকা।
দেখা যাচ্ছে হাট দিয়ে সরকার আয় করছে কিন্তু হাটের সংখ্যা বাড়াচ্ছেনা! অথচ পবিত্র কুরবানী হলো মুসলমানদের অন্যতম মৌলিক একটি ইবাদত। কুরবানীর পশুর হাট কমানো সম্মানিত দ্বীন ইসলাম ও মুসলমানদের বিরুদ্ধে সুস্পষ্ট একটি ষড়যন্ত্র। সুতরাং মুসলমানদের উচিত কুরবানীর পশুর হাট কমানোর প্রতিবাদ করা ও হাটের সংখ্যা বাড়িয়ে কমপক্ষে ৫০টি করার জন্য সরকারের নিকট জোর দাবি জানানো।
পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক হয়েছে, “তোমাদের মধ্যে যে ব্যক্তি কোনো অন্যায় বা হারাম কাজ সংঘটিত হতে দেখে, সে যেন হাত দ্বারা বাধা দেয়। যদি সে হাত দ্বারা বাধা দিতে না পারে, তাহলে সে যেন যবান দ্বারা বাধা দেয়। যদি যবানের দ্বারাও বাধা দিতে না পারে, তাহলে যেন অন্তরে তা ঘৃণা করে উক্ত অন্যায় বা হারাম কাজ থেকে দূরে সরে থাকে। আর এটা সবচেয়ে দুর্বল ঈমানের পরিচয়।” অন্য বর্ণনায় এসেছে, “এরপর ঈমানের আর সরিষা পরিমাণ অংশও অবশিষ্ট থাকে না।”
No comments