Header Ads

Islamic Quotes Urdu Facebook Cover. QuotesGram

হযরত সাইয়্যিদুনা আহমদ শহীদ বেরেলভী রহমাতুল্লাহি আলাইহি উনার ফযীলত সম্পর্কে বিভিন্ন ইসলামী চিন্তাবিদগনের উক্তি


ব্রিটিশ বেনিয়াদের দ্বারা প্রভাবিত একশ্রেণীর স্বার্থান্বেষী মহল শহীদে আযম, আমীরুল মু'মিনিন, সুলত্বানুল আরেফীন, আওলাদে রসূল সাইয়্যিদুনা হযরত আহমদ শহীদ বেরেলবী রহমাতুল্লাহি আলাইহি উনার নামে মিথ্যা প্রোপাগান্ডা করে থাকে। ব্রিটিশ প্রভুদের খুশি করতে ইসলামের মধ্যে বিভেদ সৃষ্টি করতে তারা এহেন কুকর্ম করে থাকে। প্রকৃত ইতিহাসকে গোপন রেখে, ইতিহাসকে বিকৃত করে এই দালালরা হযরত আহমদ শহীদ বেরেলবী রহমাতুল্লাহি আলাইহি উনার বিরোধিতা করে। অথচ পৃথিবীর কোন ইতিহাসে এই ইংরেজদের খুদকুড়া খাদক দলটি ছাড়া শহীদ আযম হযরত আহমদ শহীদ বেরেলবী রহমাতুল্লাহি আলাইহি উনার বিরোধিতা করে নাই।
আসুন আমরা হযরত আহমদ শহীদ বেরেলবী রহমাতুল্লাহি আলাইহি উনার সম্পর্কে প্রসংসাকারী হাজার হাজার দলীল থেকে কতিপয় দলীল পেশ করি-
মাওলানা হায়দার আলী রামপুরী লিখেন-
" হযরত আহমদ শহীদ বেরেলবী রহমাতুল্লাহি আলাইহি উনার হেদায়েতের নূর অত্যুজ্জ্বল জ্যোতিষ্কের ন্যায় দেশ দেশান্তরের মানুষের হৃদয় রাজ্যে উদ্ভাসিত করে তুলেছে।"
দলীল-
সিয়ানাতুন্নস ৫-৬ পৃষ্ঠা।
হযরত মাওলানা বেলায়েত আলী আযিমাবাদী রহমাতুল্লাহি আলাইহি উনার কিতাবে লেখেন-
" হযরত সাইয়্যিদ আহমদ শহীদ বেরেলবী রহমাতুল্লাহি আলাইহি এর ব্যক্তিত্ব খোদায়ী সাহায্যে পুষ্ট ছিলো এবং তিনি আল্লাহ পাক এর নিকট অত্যন্ত মকবুল ছিলেন। অনিচ্ছা সত্ত্বেও মানুষের অন্তর তাঁর প্রতি আকৃষ্ট হতো, ফলে তাঁর মুরীদ হতে বাধ্য হতো।"
দলীল-
রিসালত দাওয়াত ৬৫ পৃষ্ঠা
আল্লামা জাফর থানেশ্বরী রহমাতুল্লাহি আলাইহি উনার কিতাবে আমীরুল মু'মিনিন হযরত সাইয়্যিদ আহমদ শহীদ বেরেলভী রহমাতুল্লাহি আলাইহি সম্পর্কে লিখেন-
" তিনি জাগ্রত অবস্থায় হযরত নবী করীম ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর সাক্ষাত লাভ করতে পারতেন। এবং কাশফের শক্তি বলে হযরত ইমাম আবু হানীফা রহমাতুল্লাহি আলাইহি এর সাথে সাক্ষাত করতেন। এতে শরীয়তের জটিল মাসায়ালা অবগত হওয়া তাঁর নিকট সহজ ছিলো।"
দলীল-
তাওয়ারিখে আযীবা ৪০-৪১ পৃষ্ঠা।
বিখ্যাত আলেম, হাফিজে হাদীস, মুফতিয়ে আযম, পীরে কামেল হযরত রহুল আমীন বশীরহাটি রহমাতুল্লাহি আলাইহি বলেন-
" হযরত সাইয়্যিদ আহমদ শহীদ বেরেলভী রহমাতুল্লাহি আলাইহি হানাফী ছিলেন ও তাঁর ত্রিশ লক্ষ মুরীদ ছিল। তিনি তরীক্বতে হযরত নবী করিম ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর কদম মোবারকের উপর ছিলেন। এজন্য নিজ তরীক্বাকে মুহম্মদীয়া তরীক্বা বলতেন। এটা কাদেরীয়া, চিশতিয়া, নকশবন্দীয়া, সোহরাওয়ার্দীয়া ইত্যাদি তরীক্বার গুলোর অন্তর্ভুক্ত।"
দলীল-
বিজ্ঞাপন রদ
হযরত মাওলানা ওয়াজীর উদ দৌলা লিখেন-
" হযরত সাইয়্যিদ আহমদ শহীদ বেরেলভী রহমাতুল্লাহি আলাইহি এর তিনটি বৈশিষ্ট্য। (১) বিনয় নম্রতা নিয়ে নামায আদায় করা। (২) কুরআনের ইলিম ও তৎপতি আমল। এবং () মকবুল দোয়া।"
দলীল-
ওয়াসীলে ওয়াজীর।
মাওলানা আব্দুল মওদুদ ছাহেব লিখেন-
" বালাকোটের বিপর্যয় আকস্মিক নয়, অভাবনীয় নয়। সম্প্রতিকালের যেসব প্রমান্য ঐতিহাসিক তথ্য প্রকাশিত হয়েছে, সেসব থেকে নিঃসন্দেহে প্রমানিত হয় যে, ১৮৩১ সালের ৬ই মে (২৪ জিলকদ, ১২৪৬ হিজরী) তারিখে বালাকোটে হযরত আহমদ শহীদ বেরেলভী রহমাতুল্লাহি আলাইহি ও হযরত শাহ ইসমাঈল শহীদ রহমাতুল্লাহি আলাইহি কয়েকশত মুজাহিদ নিয়ে যে মৃত্যু যজ্ঞের সম্মুখীন হয়েছিলেন , তা ছিলো কারবালার মর্মন্তুদ ঘটনার মতোই পূর্বনির্দষ্ট অবশ্যম্ভাবী ঘটনা।"
দলীল-
ওহাবী আন্দোলন ১৪৯ পৃষ্ঠা ।
হাদীয়ে বাঙ্গাল, মুহিউস সুন্নাহ হযরত কারামত আলী জৈনপুরী রহমাতুল্লাহি আলাইহি বলেন-
" খোদা তায়ালার অনকম্পা প্রাপ্ত এই উম্মতের ভিতর কুতুবুল আকতাব, আমীরুল মু'মিনিন রহমাতুল্লাহি আলাইহি ত্রয়োদশ শতাব্দীর মুজাহিদ রূপে আবির্ভূত হয়েছেন।"
দলীল-
মুকাশিফাতে রহমত ১৫ পৃষ্ঠা।
মাওলানা আব্দুল আহাদ রহমাতুল্লাহি আলাইহি বলেন-
" হিন্দুসহ অন্যান্য ধর্মাবলম্বী চল্লিশ হাজার মুশরিক হযরত আহমদ শহীদ বেরলভী রহমাতুল্লাহি আলাইহি এর নিকট এসে ইসলাম গ্রহন করে ও ত্রিশ লক্ষ মুসলমান তার নিকট বাইয়াত হয়।"
দলীল-
সিয়ানাতুন্নস
মাওলানা হযরত সিদ্দীক আহমদ রহমাতুল্লাহি আলাইহি বলেন-
" বিদয়াত ধ্বংসকারী, গোমরাহী মিটানেওয়ালা, হযরত সাইয়্যিদ আহমদ শহীদ বেরেলভী রহমাতুল্লাহি আলাইহি একজন আলিম, কাশফ শক্তি সম্পন্ন উচ্চ দরজার ওলী ছিলেন।"
দলীল-
কারামতে আহম্মদী।
আল্লামা গোলাম রসূল মিহির তার বিখ্যাত কিতাবে লিখেন-
" হযরত শাহ আব্দুল আযীয মুহাদ্দিস দেহলবী রহমাতুল্লাহি আলাইহি বলেন, আমার নিকট বার বৎসরে যা লাভ হবে, হযরত সাইয়্যিদ আহমদ শহীদ বেরেলভী রহমাতুল্লাহি আলাইহি উনার নিকট তা বার দিনে হবে।"
দলীল-
সৈয়দ আহমদ শহীদ ৯২ পৃষ্ঠা।
বাংলা একাডেমী থেকে প্রনীত "মুসলিম সংস্কারক ও সাধক" পুস্তকে হুমায়ুন আব্দুল হাই লিখেন-
" সৈয়দ আহমদ শহীদ বেরেলভী রহমাতুল্লাহি আলাইহি ১৭৮৬ খ্রিস্টাব্দে ( ১২০১ হিজরী) ভারতের অন্তর্গত উত্তর প্রদেশের রায় বেরেলীতে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর পিতার নাম ছিলো সৈয়দ মোহাম্মদ নূর তিনি যে বংশে জন্মগ্রহণ করেন তা বিখ্যাত হাসানী সৈয়দ বংশ নামে খ্যাত এবং তিনি ছিলেন এ বংশের পয়ত্রিশতম পুরুষ। এসময় সৈয়দ আহমদ শহীদ বেরেলভী রহমাতুল্লাহি আলাইহি এর বিদ্যা ও পান্ডিত্যে মগ্ধ হয়ে শাহ আব্দুল আযীয রহমাতুল্লাহি আলাইহি ও জামাতা শাহ আব্দুল হাই রহমাতুল্লাহি আলাইহি তাঁর শিষ্যত্ব গ্রহন করেন। ক্রমান্বয়ে ধর্মীয় নেতা ও সমাজ সংস্কারক হিসেবে তাঁর সুনাম দিল্লী ও ভারতের বিভিন্ন অঞ্চলে ছড়িয়ে পড়ে। ফলে দেশ দেশান্তর থেকে তাঁর ডাক আসতে থাকে।
দলীল-
মুসলিম সংস্কার ও সাধক।
এ প্রসঙ্গে ডঃ সৈয়দ মাহমুদুল হাসান লিখেন-
" হযরত সাইয়্যিদ আহমদ শহীদ বেরেলভী রহমাতুল্লাহি আলাইহিকে ওহাবী আন্দোলনের প্রবক্তা হিসাবে চিহ্নিত করা হয়েছে কিন্তু প্রকৃতপক্ষে তিনি ওহাবী ছিলেন না। কারন তার মতবাদ বহুলাংশে আব্দুল ওহাবের চিন্তাধারা হতে পৃথক ছিলো।
প্রথমতঃ তিনি আব্দুল ওহাব অথবা তার শিষ্যের সংস্পর্শে আসেননি। কারন আব্দুল ওহাব পূর্বেই মৃত্যুবরণ করে এবং তার শিষ্যরা হেজাজ হতে বিতাড়িত হয়।
দ্বিতীয়তঃ আব্দুল ওহাব গোঁড়াপন্থী মুসলমান ছিল এবং কুরআন হাদীস (গোঁড়ামীভাবে) অনুসরণ করতো। অপরদিকে হযরত সাইয়্যিদ আহমদ শহীদ বেরেলভী রহমাতুল্লাহি আলাইহি আব্দুল ওহাব নয় বরং হযরত শাহ ওয়ালীউল্লাহ মুহাদ্দিস দেহলবী রহমাতুল্লাহি আলাইহি এর পুত্র হযরত শাহ আব্দুল আযীয মুহাদ্দিস দেহলবী রহমাতুল্লাহি আলাইহি এর শিষ্য ছিলেন এবং তার মতবাদে প্রভাবান্বিত হন। "
দলীল-
ভারত বর্ষের ইতিহাস ৫৭২-৫৭৩ পৃষ্ঠা।
প্রকাশনা- গ্লোব লাইব্রেরী ।
অধ্যাপক এম.এ খান বলেন-
" Muslim of Bengal played a pioneering role in this revolution just keeping with the dedicated part in the famous zihad movement of syed Ahmad shahid."

দলীল-
The Great Revolt of 1857.
এছাড়া wahabism in India, encyclopedia of Islam , history of nationalism in east, what actually wahabism, civil disturbance during the British rule in India , a fascinating chapter of the history of Islam in east Pakistan ...প্রভৃতি গ্রন্থে হযরত আহমদ শহীদ বেরেলবী রহমাতুল্লাহি আলাইহি ও তাঁর মুজাহিদ বাহীনির আন্দোলনকে জিহাদী আন্দোলন হিসাবে চিহ্নিত করা হয়েছে এবং তার সংস্কার আন্দোলনকে যারা ইংরেজদের সহিত সম্পর্ক যুক্ত করে এবং আরবের ইবনে আব্দুল ওহাব নজদীর সাথে একত্রিত করেছে তাদের দাঁতভাঙ্গা জবাব দেয়া হয়েছে।
এছাড়া ইসলামী ফাউন্ডেশন থেকে প্রকাশিত " ইসলামী বিশ্বকোষ" কিতাবে উনার বিস্তারিত জীবনি এবং বালাকোটের যুদ্ধে বর্ননা দেয়া আছে।
এরকম পৃথিবীর সকল নির্ভরযোগ্য কিতাবে এবং গবেষনামূলক গন্থসমূহে শহীদে আযম, আওলাদে রসূল, আমীরুল মু'মিনিন হযরত সাইয়্যিদুনা আহমদ শহীদ বেরেলভী রহমাতুল্লাহি আলাইহি উনাকে মুজাদ্দিদ, মুজাহিদ, হাদী, সুন্নত জিন্দাকারী, লক্ষ্যস্থল ওলী আল্লাহ ইত্যাদি মহান খেতাবে ভূষিত করেন। অথচ কোথাকার কোন হুক্কাখোর, গাঁজাখোর মৌলবী উনার বিরোধিতা করলো না কি করলো কার দেখার সময় আছে ? কারন এসকল মুনাফিক মার্কা হুক্কা মৌলবী পৃথিবীর সব যুগেই ছিলো এখনো আছে সব সময়ই থাকবে। এদের বিরোধিতায় ওলী আল্লাহ উনাদের শান মোটেও কমে না...!! বরং ওলী আল্লাহ উনাদের বিরোধিতা করে জাহান্নামের কিছু লোক বৃদ্ধি পায়।


No comments

ডাল একটি বরকতময় পবিত্র খাদ্য।

  ডাল একটি বরকতময় পবিত্র খাদ্য। ডাল খাওয়ার ফলে কলব প্রসারিত হয় এবং চোখের দৃষ্টি শক্তি বৃদ্ধি পায়। পূর্ববর্তী হযরত নবী-রসুল আলাইহিমুস সালাম উ...

Powered by Blogger.