Header Ads

Islamic Quotes Urdu Facebook Cover. QuotesGram

জামাতের মত বর্তমানে সুন্নী নামধারী রেজাখানীরাও ছিলো ১৯৭১ এ স্বাধীনতা বিরোধী রাজাকার।

ফিরে দেখা ইতিহাস: ‘৭১ এ মুক্তিযুদ্ধে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে রেজাখানিদের জিহাদের ডাক এবং কথিত তাহের শাহের জঘন্য মিথ্যাচার……


বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের কট্টর বিরোধী ছিলো সুন্নী নামধারী রেজাখানি গোষ্ঠী। ১৯৭১ সালে তারা বাংলাদেশের বিরুদ্ধে যুদ্ধকে জিহাদ বলে ফতওয়া দিয়েছিলো। আমার এখন সেই গুরুত্বপূর্ণ ইতিহাসের দিকে ফিরে তাকাবো :
১) ১৯৭১ সালের ২৫ শে মার্চ ভয়ঙ্কর কালো রাত্রীর আগে ২২ই মার্চ পশ্চিম পাকিস্তান থেকে একটি প্রতিনিধি দল এসেছিলো পূর্ব পাকিস্তানে। প্রতিনিধি দলের অন্যতম সদস্য ছিলো রেজাখানিদের রাজনৈতিক সংগঠন জমিয়তে উলামায়ে পাকিস্তানের শীর্ষ নেতা শাহ আহমদ নূরানী। তাদের উদ্দেশ্য ছিলো, যে কোন্ উপায়ে বঙ্গবন্ধুকে ম্যানেজ করা। কিন্তু বঙ্গবন্ধুকে ম্যানেজ করতে ব্যর্থ হয়ে ফিরে যাওয়ার সময় রেজাখানিদের নেতা শাহ আহমদ নূরানী রাগ করেই বলে বসে: “ইট মে বি আওয়ার লাস্ট মিটিং।” (সূত্র:http://goo.gl/VuamXo)
২) ১৯৭১ সালে রেজাখানি এই নেতা বাংলাদেশের বিরুদ্ধে জিহাদের ডাক দিয়েছিলো। এ সম্পর্কে ‘ঘাতকের দিনলিপি’ নামক বইয়ের ২১ পৃষ্ঠায় বলা হয়:
দেশের সংহতি সংরক্ষণে প্রেসিডেন্ট পূর্ব-পাকিস্তানে যে ব্যবস্থা নেয় তার প্রতি সমর্থন এবং দুষ্কৃতিকারী ও ভারতীয় সাম্রাজ্যবাদের বিরুদ্ধে জিহাদের ডাক দেন জমিয়তে ওলামা-ই পাকিস্তানের পার্লামেন্টারি পার্টির চেয়ারম্যান মাওলানা শাহ আহমদ নূরানী” (ছবিতে দ্রষ্টব্য)
বিষয়টি সত্যতা আরো পাওয়া যায়, পাকিস্তানে ডন পত্রিকার ২০০৩ সালের ১২ ডিসেম্বর সংখ্যায়। সেখানে মাওলানা শাহ আহমদ নূরানী সম্পর্কে বলা হয়: “when he saw the Indian government and Indian troops supporting the Mukti Bahini, he lent his backing to the military government.”
অর্থাৎ: যখন তিনি দেখেলেন ভারত সরকার ভারতীয় সেনাবাহিনী মুক্তিবাহিনীর পক্ষ নিয়েছে, তখন তিনি সামরিক সরকারের পক্ষে তার সমর্থন জানান। (সূত্র: http://goo.gl/pv5TYf)
পাঠক আপনি বলতে পারেন, পাকিস্তানের নাগরিক পাকিস্তানের অখণ্ডতার প্রতি সমর্থন জানাবে এটাই তো স্বাভাবিক। আমিও বলবো ঠিক আছে। কিন্তু সমস্যা হচ্ছে অন্যখানে। এরজন্য আপনাদের দেখতে হবে, রেজাখানিদের ভাড়া করা কথিত পীর তাহের শাহের একটি সাক্ষাতৎকারকে, যে সাক্ষাৎকারটি তাহের শাহ বাংলাদেশে এসে ২০০৭ সালের ৩০ শে মার্চ দৈনিক যুগান্তরের নিকট দিয়েছিলো। আসুন সাক্ষাৎকারটি একটু পড়ি:
দৈনিক যুগান্তর : ২৬ মার্চ ছিল আমাদের স্বাধীনতা দিবস। আজ থেকে ৩৬ বছর আগে এই দিনে পাকিস্তানের সশস্ত্র বাহিনী এদেশের আমজনতার উপর নৃশংস, ন্যাক্কারজনক হামলা চালিয়েছিল। তারপর দীর্ঘ নয়মাসের রক্তক্ষয়ী যুদ্ধশেষে আমারা প্রতিক্ষিত স্বাধীনতা অর্জন করি। আপনি পাকিস্তানের একজন নাগরিক হিসাবে আমাদের স্বাধীনতা যুদ্ধকে কোন দৃষ্টিতে দেখেন?
তাহের শাহ: তৎকালীন শাসকগোষ্ঠি পূর্ব পাকিস্তানের মানুষের উপর যে জুলুম চালিয়েছিল তা ইতিহাসের জঘন্যতম বর্বরোচিত ঘটনা হিসাবে স্বীকৃত। স্বাধীনতা যুদ্ধ ছিল ালেম, স্বৈরচারী শাসকশ্রেণীর বিরুদ্ধে মজলুম নিপীড়িত বঞ্ছিত মানুষের জুলুমের শোষণ থেকে মুক্তির পবিত্রতম স্বাধীকার আন্দোলন। আপনাদের এ স্বাধীনতার লড়াই সন্দেহাতীতভাবে মজলুমের আত্ম-অধিকার প্রতিষ্ঠার পবিত্রতম লড়াই।
দৈনিক যুগান্তর: এ যুদ্ধ তো সংঘটিত হয়ে ছিল জালেম ও মজলুমের মধ্যে। তাই আমাদের জানতে ইচ্ছে করে সে সময়কার পাকিস্তানের আলেমদের ভূমিকা কী ছিল?
তাহের শাহ: পাকিস্তানের একজন শীর্ষস্থানীয় আলেম আল্লামা শাহ আহমদ নূরানী। তিনি বলেছেন, বাংলাদেশের মানুষের ওপর যে অবর্ণনীয় জুলুম করা হয়েছে, তা সত্যিই ন্যাক্কারজনক ও ঘৃণ্য। পূর্ব পাকিস্তানের সংখ্যাঘরিষ্ঠ লোক যখন পাকিস্তানের শাসকগোষ্ঠির প্রতি সমর্থন প্রত্যাহার করে নিল, তখন তাদের দাবী মেনে নেয়া উচিত ছিল এবং তাদের প্রতি অন্যায়, জুলুম করে তারা মানব ইতিহাসের একটি অধ্যায়কে কলংকিত করেছে (কত্ত বড় মিথ্যাবাদী !!!)।
দৈনিক যুগান্তর: পাকিস্তানের তখনকার ভূমিকার জন্য আপনি কি ব্যক্তিগতভাবে ক্ষমাপ্রার্থী?
তাহের শাহ: কেন? পাকিস্তান কতৃপক্ষকে ক্ষমা প্রার্থনা করতে বলেন। অন্যায় যে করেছে, সে ক্ষমা প্রার্থী হবে। ক্ষমা পাকিস্তান কতৃপক্ষ চাইবে। জুলুম যে করবে, সে ক্ষমা প্রার্থনা করবে। জুলুম করবে একজন, ক্ষমা প্রার্থনা করবে আরেকজন। এটা তো শরীয়তসম্মত নয়, জায়েজও নয়। আপনারা কি বলেন?
(
সাক্ষাৎকারটি মাসিক ছাত্রবার্তা, মে-২০০৭ সংখ্যার :১১-১২ পৃষ্ঠাতেও আসে)
পাঠক !! আপনাদের বুঝতে আর বাকি নেই রেজাখানিরা যে কত বড় মুনাফিক। তারা ৭১ সালে বাংলাদেশ বিরোধী কর্মকাণ্ড করে এখন কথিত ভাড়া করা পীর তাহের শাহকে দিয়ে মিথ্যা ইতিহাস রচনা করছে।
শুধু এখানেই শেষ নয়, রেজাখানি সাহস কত, মওলানা আহমদ নূরানী নামক রাজাকারকে ২০০২ সালে বাংলাদেশে নিয়ে আসে তারা এবং আন্তর্জাতিক সুন্নী কনফারেন্সের নামক অনুষ্ঠানের প্রধান অতিধি করা হয় তাকে।
ভিডিও লিঙ্ক:
১) https://www.youtube.com/watch?v=fzLbW7UCJ10
পাঠক আমার মনে হয়, এতদিনের লুকায়িত এ ইতিহাস প্রকাশ হওয়ার দরকার ছিলো। কারণ রেজাখানিরা নিজেদের মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তি বলে দাবি করে, রাজাকার জামাতের বিরোধীতা করে মানুষকে দলে ভেড়ায়। কিন্তু প্রকৃতপক্ষে তারাই তো ’৭১ সালে যুদ্ধাপরাধের মূল হোতাদের অন্যতম। এমনকি তাদের সাহস এতটাই বেশি যে, ঐ রাজাকারকে বাংলাদেশে এনে তারা অনুষ্ঠান পর্যন্ত করে থাকে। এবার আপনারাই তাদেরকে হাকীক্বত বিচার করুন।
প্রমান হলো, রেজাখানীরাও ছিলো বাংলাদেশের স্বাধীনতা বিরোধী রাজাকার, এবং বর্তমান সময়ে জামাত শিবিরের মত ছদ্মবেশী মুনাফেক।


No comments

ডাল একটি বরকতময় পবিত্র খাদ্য।

  ডাল একটি বরকতময় পবিত্র খাদ্য। ডাল খাওয়ার ফলে কলব প্রসারিত হয় এবং চোখের দৃষ্টি শক্তি বৃদ্ধি পায়। পূর্ববর্তী হযরত নবী-রসুল আলাইহিমুস সালাম উ...

Powered by Blogger.