হুক্কা খাওয়ার কারনে রেজাখানীরা মানসিক বিকারগ্রস্থ
তাহের খানিরা মনেপ্রাণে বিশ্বাস ও প্রচার করেন, তাদের পীর তাহের শাহ হলেন মুরশিদে বরহক্ক । মানে তিনি এমন হক
যা ইতিহাসে আর কেউ কখন ছিল না । আরেক জন হল পিরে বাঙ্গাল ।
বেশ কয়েক বছর আগের কথা নয় এটি । সবসময় চলে আসছে এই বড় মুরশিদ এবং বাঙ্গালের
পীর প্রতিনিয়ত বাংলাদেশে আসে । কয়েকদিন আগে তারা নিজেদের মধ্যেই লেগে যায় । পরে
গাউসিয়া কমিটি কত্রিক তাদের – অর্থাৎ জয়নুল আবেদিন জুবায়ের কে মুরতাদ ঘোষণা করা
হয় । তো তারা তো হক, তাদের মধ্যে এমন
তা হবার তো কথা নয় । গোপন খবরে প্রকাশ – জুবাইর গ্রুপ জামেয়া সুন্নিয়া মাদ্রাসা
ভাংচুর করতে যায় । ( এলাকাবাসির কথা )
তো এরা নামে সুন্নি । এদের মাথা থেকে পা পর্যন্ত কোনও সুন্নাতের লেশ মাত্র নাই
। ( কারো কারো দাড়ি আছে ) । তাহের শাহ এর একটি লকব হোলও – রহনুমায়ে শরিয়ত ওয়াত
তরিকত । তো নিজেরা নিজেরা মারামারি এটাই শরিয়ত আর তরিকত ।
লেখাটি চার বছরের নিরন্তর অনুসন্ধানের ফল – নয় , মাত্র চার দিনের ও কম অনুসন্ধানের ফল !!!
তাহের শাহ আর তার অনুসারিদের মানসিক সমস্যা আছে । না, ঠাট্টা করে বলছি না। এটা প্রকৃত মূল্যায়্ন ।
তাহলে আসুন নিচে দেখি তাদের মানসিক ভারসাম্যহীনতার কিছু কীর্ত
=====================================================
১__তারা তাদের ভাষার ব্যবহার
জগতে বিখ্যাত নয় । বরং আসম্মানি এবং গালাগালিতে বিশেষ পারদরশি । যেমন তারা সবসময়
হুজুর পাক সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম – এর শানে সঙ্খেপে দুরুদ শরীফ লিখে থাকে
। যেমন দ; সা; sm; নাউজুবিল্লাহ ।।
এ প্রসঙ্গে ফতোয়ার বিখ্যাত কিতাব ” তাতারখানিয়া ” কিতাবে এ ব্যাপারে আরো কঠিন
ফয়সালা বর্ণিত রয়েছে এবং সংক্ষিপ্ত দরুদ শরীফ লিখাকে শানে নবুওয়াত উনাকে খাটো করার
অন্তর্ভুক্ত বলা হয়েছে |
এ প্রসঙ্গে ” তাহতাবী আলা দুররিল মুখতার ” এর ১ম জিলদ , ৬ ষষ্ঠ পৃষ্ঠায় উল্লেখ আছে – ( ص) অক্ষর দ্বারা দরুদ
শরীফ লিখা মাকরুহ , দরুদ শরীফ পূর্ণ
ভাবে লিখবে !”
ফতোয়ার কিতাব ” তাতারখানিয়াতে ” উল্লেখ আছে ,” যে ব্যক্তি হামযা এবং মীম দ্বারা দরুদ শরীফ লিখলো সে কুফরী করলো
| কেননা এটা ইহানত বা অবজ্ঞা
| আর নবী আলাইহিমুস সালাম উনাদের
ইহানত বা অবজ্ঞা করা নিঃসন্দেহে কুফরী !!””
এরা মানসিক ভারসাম্যহীন না হলে কি এদের পীর সাহেবের সামনে লাগিয়েছে আ’লা আর হুজুর
পাক সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম – উনাকে সঙ্খেপে দুরুদ লিখে ।।
লিখবে ই না বা কেন – মানসিক রোগিদের দ্বারা সব ই সম্ভব ।
=====================================================
২__ এদের অরিজিনাল পীর সাহেব
– আহমদ রেজা খান ছিলেন হুক্কা প্রেমী ।
” সাক্ষাৎকারীরা তাদের প্রয়োজন উপস্থাপন করতো, আর তাদের প্রয়োজন পূর্ণ করে দেয়া হতো। হুক্কা
ও পান দিয়ে তাদের আপ্যায়ন করা হতো।”
দলীল-
√ হায়াতে আলা হযরত ১/১২৬
আরো বর্নিত আছে-
” আমার পীর ও মুর্শীদ
আলা হযরতের হুক্কা খাওয়ার খুব আগ্রহ ছিল। কোথাও গেলে সাথে হুক্কা নিয়ে যেতেন।”
দলীল-
√ তাযাল্লিয়াতে ইমাম আহমদ রেজা-৭৭
রেজা খা নিজেই বলে-
” হুক্কা খাওয়ার সময়
আমি বিসমিল্লাহ পড়তাম না।”
দলীল-
√মালফুযাত-২/২২১, আহমদ রেজা
শুধু কি তাই ? এরা হুক্কার পানি
দিয়ে ওযু করাও ফযিলতের মনে করে। দেখুন তাদের কিতাবে কি লেখা আছে-
حقه كا پاني پاك پے اگرچه اس كے رنگ وبو مزے مين تغير اجاءے اس سے وضو جاءز پے بقدر كفايت اسكے بوتے بوءے تيمم جاءز نہی
অর্থ : হুক্কার পানি পাক। যদিও তার রং গন্ধ ও স্বাদের মধ্যে পরিবর্তন ঘটে। তথাপি
তার দ্বারা ওযু জায়িয। জরুরত আন্দাজ পানি (হুক্কার পানি) থাকতে তায়াম্মুম জায়িয
নেই।”
দলীল-
√ বাহরে শরীয়ত ২য় খন্ড ৩৮ পৃষ্ঠা।
রেজাখানীদের পত্রিকা “মাসিক তরমুজান” সিগারেট বা ধুমপানের প্রতি এক প্রকারের উৎসাহ দিয়ে বলা হয়েছে-
” সিগারেট বা ধুমপান
করে ভালোভাবে কুলি করে নেবে যাতে মুখের মধ্যে ধুমপানের দুর্গন্ধ না থাকে। কেননা দুর্গন্ধাঅস্থায়
নামাজ মাকরূহ হয়।”
সূত্র : মাসিক তরমুজান, জানুয়ারী ২০০০, ডিসেম্বর ৯৯ সংখ্যা ।
বিস্তারিত এই পোষ্টে পাবেন http://goo.gl/9QM6aP
এরা এসব বলবেই । কারন এরা Nicotine
withdrawal এর রোগী । এরা খুব ভয়ঙ্কর হয় । এদের ব্যাপারে বলা হয়েছে – Nicotine withdrawal is the group of symptoms
that occur upon the abrupt discontinuation or decrease in intake of nicotine.
The effects of nicotine withdrawal can include anxiety, depression, feelings of
restlessness or frustration, headaches, an increase in appetite and difficulty
concentrating.[1] A smoking cessation program may improve one’s chance for
success in quitting nicotine.[2]
=====================================================
৩__ এরা প্রায় সময় মিথ্যা কথা
বলে থাকে । দেখুন এই লিংক http://goo.gl/K9Nl92 ।
চার মাজহাবের সম্মানিত ইমাম গন নাকি ছবি তোলার ব্যাপারে ঐকমত হয়েছে । নাউজুবিল্লাহ
।
যারা কারনে অকারনে মিথ্যা বলে তাদের রোগের নাম হোলও pathological lying…
In psychiatry,
pathological lying (also called compulsive lying, pseudologia fantastica and
mythomania) is a behavior of habitual or compulsive lying.
=====================================================
৪__ এরা মুনাফিক । কারন নামে
সুন্নি হলে ও এদের শরীরে সুন্নাতের আমল একেবারেই কম । নাই বললেই চলে । হয়ত কারো মুখে
দাড়ি আছে, কিন্তু বেশির ভাগ
ই অল্প বা ক্লিন ।
এ প্রসঙ্গে বলা হয় – হযরত আয়েশা আলাইহিস সালাম বলেন, রাসূল হুজুর পাক সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম
ইরশাদ করেছেন, দশটি বিষয় সকল নবী
রাসূলগণের সুন্নাত। তন্মধ্যে গোঁফ ছোট করা এবং দাঁড়ি লম্বা করা অন্যতম।(মুসলিম শরীফ,১/১২৯)
ইমাম আহমদ ইবনে হাম্বল রহমতুল্লাহি নিজ রচিত “কিতাবুজ্জুহুদে” আকীল ইবনে মোদরেক
সালামী হতে উদ্ধৃতি করেন যে, আল্লাহ জাল্লা শানুহু
– বনী ইস্রাইলের এক নবীর নিকট এই অহী প্রেরন করেন যে, তিনি যেন নিজ কওম বনী ইস্রাইলকে এ কথা জানিয়ে
দেন যে, তারা যেন আল্লাহ তা’য়ালার
দুশমনদের বিশেষ খাদ্য শুকরের গোশত না খায় এবং তাদের বিশেষ পানীয় অর্থাৎ শরাব(মদ)
পান না করে এবং তাদের শিক্ল ছুরত (আকৃতি) না বানায়। যদি তারা এমন করে অর্থাৎ শুকরের
গোশত খায়, বা মদ পান করে, অথবা দাড়ি মুন্ডায় বা ছোট করে অথবা বড় বড়
মোচ রাখে, তা’হলে তারাও আমার দুশমন
হবে, যেমন তারা আমার দুশমন। (দালায়েলুল
আসর)
কারন এরা হোলও – মানসিক রোগী । মানসিক রোগী ই স্পষ্ট জিনিস থাকা সত্তেও অস্বীকার
করে । এদের বলা হয় Generalized
Anxiety Disorder (GAD) ।
এরা সবসময় ভারসাম্য হিনতায় ভুগে,
কি
বলবে কি বলবে না, এরা বুঝে না ।
এদের পীর সাহেব সাবির শাহ, তো খুব সুন্দর দাড়ি
রেখেছে ।। (জামাতে ইসলামের মত)
=====================================================
৫__ এরা নাজায়েজ হরতাল করে ।
তারা বলে হরতাল প্রতিবাদের ভাষা । তো ওরা বলে থাকে গত শতকের মুজাদ্দিদ জামান আবু বক্কর
সিদ্দিকি রহমতুল্লাহি তাদের পীর আহমদ রেজা খানের প্রসংসা করেছেন এবং ইসলামি ছাত্র সেনা
আবার আবু বক্কর সিদ্দিকি রহমতুল্লাহি – উনার সিলসিলার। এবার দেখুন হরতাল সম্পরকে উনি
কি বলেছেন
“”আঞ্জুমানে ওয়ায়েজীনে’র
মুখপত্র ‘ইসলাম দর্শন’ পত্রিকার ১৩২৭ সালের আষাঢ় সংখ্যার ১৪৩ পৃষ্ঠায় মাসয়ালা তলব
করা হয়েছে‘মুসলমানদের পক্ষে ‘হরতাল ’করা ‘বন্দেমাতরম’ বলা জায়েজ কি না’? উত্তর: শ্রাবণ সংখ্যায় উত্তর লিখিত হয়েছে‘হরতাল
করার কোন বিধানই ইসলামী শরীয়তে নাই। তা অমুসলিম মি: গান্ধী প্রবর্তিত একটি অনুষ্ঠান
মাত্র। হরতালে গরীবদের উপর ভীষণ জুলুম হয় এবং দুষ্ট লোকেরা নানা প্রকার অন্যায় অত্যাচার
করার সুযোগ পায় সুতরাং উহা অবৈধ ও পাপ কার্য। ‘বন্দেমাতরম’ হিন্দুদের একটি জাতীয়
স্তোত্র। কোন মুসলমান বিধর্মীদের কোন আচার ব্যবহার পোষাক-পরিচ্ছদ বা ধর্মানুষ্ঠান অবলম্বলন
বা অনুকরণ করলে হাদীসের আদেশ মতে সে তাদেরই দলভূক্ত হবে। সুতরাং তা হারাম ও কুফরী কার্য
।’
তো এরা বিধর্মীদের রিতি নীতি অনুসরন করে । এরা কি মানসিক রোগী না !!
=====================================================
৬__এদের সব চেয়ে বড় ফিতনা
হল – এরা সকলেই ছবি তোলে এবং বলে থাকে এটা ইজমায়ে উম্মত । নাউজুবিল্লাহ ।
হারাম কি করে হালাল হয় ? যা হারাম করা আছে
তার ব্যাপারে ইজমা-কিয়াস কেন হবে ?
তবে
জরুরতের কারনে মুবাহ নামে একটি বিষয় আছে । কিন্তু তা তো শুধু মাত্র জরুরতের কারনে
।। কিন্তু এদের কে দেখলে মনে হয় যে এরা ছবি তোলায় ডিগ্রি নিয়েছে ।। একেক জনের একেক
রকম “চেল্পি” । এদের পীর সাহেব তাহের-সাবির শাহ তো সেই রকম ফটো সেশন করে ।
কোনও ছবি দেয়া লাগবে না, ইন্টারনেট এ গেলেই
বড়ো হুজুর, ছোট হুজুর যত হুজুর
আছে প্রত্যেকের অসংখ্য ছবি আছে ।।
এদের বলা হয় Body
Dysmorphic Disorder রোগী। বিস্তারিত http://goo.gl/4FUSLk
=====================================================
৭__ এদের কাছে মেয়েদের পর্দা
মানে মুখ না ঢাকা । সাবির শাহ এক্ষেত্রে সচল উদাহরন ।
অথচ বলা হয়েছে –
يَا أَيُّهَا النَّبِيُّ قُل لِّأَزْوَاجِكَ وَبَنَاتِكَ وَنِسَاء الْمُؤْمِنِينَ يُدْنِينَ عَلَيْهِنَّ مِن جَلَابِيبِهِنَّ ذَلِكَ أَدْنَى أَن يُعْرَفْنَ فَلَا يُؤْذَيْنَ وَكَانَ اللَّهُ غَفُورًا رَّحِيمًا
হে নবী! আপনি আপনার পত্নীগণকে ও কন্যাগণকে এবং মুমিনদের স্ত্রীগণকে বলুন, তারা যেন তাদের চাদরের কিয়দংশ নিজেদের উপর টেনে
নেয়। এতে তাদেরকে চেনা সহজ হবে। ফলে তাদেরকে উত্যক্ত করা হবে না। আল্লাহ ক্ষমাশীল
পরম দয়ালু। (সুরাহ আহযাব : ৫৯ )
হযরত ইবনে আব্বাস (রা:) এই আয়াতের ব্যাখ্যা করতে গিয়ে বলেন “আল্লাহ তাআলা মুমিন
নারীদেরকে চাদর দ্বারা মস্তক ও চেহারা আবৃত করার নির্দেশ দিয়েছেন ” । (তফসীরে ইবনে
কাসীর ৩/২৭৪)
একমাত্র মানসিক রোগী দের দারাই কোরআন শরীফ এর অবজ্ঞা হয়।
=====================================================
৮__ এদের জামেয়া আহমদিয়া সুন্নিয়া
আলিয়া মাদ্রাশায় সকালে জাতীয় সংগীত গাওয়া হয় ।
হায় হায় বলেন কি (নিচের ছবি গুলা দেখেন মিয়া ভাই)…
অথচ আল্লাহ তাআলা সূরা লুকমানে আখেরাত-প্রত্যাশী মুমিনদের প্রশংসা করার পর দুনিয়া-প্রত্যাশীদের
ব্যাপারে বলছেন,
((وَمِنَ النَّاسِ مَنْ يَشْتَرِي لَهْوَ الْحَدِيثِ لِيُضِلَّ عَنْ سَبِيلِ اللَّهِ بِغَيْرِ عِلْمٍ وَيَتَّخِذَهَا هُزُوًا أُولَئِكَ لَهُمْ عَذَابٌ مُهِينٌ))
““মানুষের মধ্যে এমন
ব্যক্তিও আছে যে অর্থহীন ও বেহুদা গল্প কাহিনী খরিদ করে, যাতে করে সে (মানুষদের নিতান্ত) অজ্ঞতার ভিত্তিতে
আল্লাহ তাআলার পথ থেকে দূরে সরিয়ে রাখতে পারে, সে একে হাসি,
বিদ্রুপ, তামাশা হিসেবেই গ্রহণ করে; তাদের জন্য অপমানকর শাস্তির ব্যবস্থা রয়েছে”
(সূরা লোকমান : ০৬)
হযরত আবদুল্লাহ ইবনে মাসউদ রাদিয়াল্লাহু কে উক্ত আয়াতের ‘লাহওয়াল হাদীস’-এর
ব্যাখ্যা জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি বলেন,
‘তা
হল গান।’ আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস রাদিয়াল্লাহু., আবদুল্লাহ ইবনে উমর রাদিয়াল্লাহু. একই কথা বলেন। তাবেয়ী সায়ীদ
ইবনে যুবাইর থেকেও অনুরূপ মত বর্ণিত হয়েছে। বিখ্যাত তাবেয়ী হাসান বসরী রহমতুল্লাহি.
বলেন, উক্ত আয়াত গান ও বাদ্যযন্ত্রের
ব্যাপারে নাযিল হয়েছে, যা বান্দাকে কুরআন
থেকে গাফেল করে দেয়।
– (তাফসীরে ইবনে কাসীর
৩/৪৪১. তাফসিরে তাবারী)
এবার বলেন এরা কোন ধরনের মানসিক রোগী ………… এরা কোরআন শরীফ, হাদিস শরীফ মানে না …………… আর এরাই আহলে সুন্নাত
ওয়াল জামায়াত।।
=====================================================
এদের আঞ্জুমানের শেছাসেবক দের কখনও দেখি নি টাকনু গিরার উপর প্যান্ট পরতে ।। এই
সম্পরকে শরিয়তের ফয়সালা কি আশা করি সবাই জানেন ………………।।
No comments