প্রাণীর ছবির ক্ষেত্রে শরয়ী ফায়সালা --> পর্ব-৭ (শরীরযুক্ত আর শরীরবিহীন উভয় প্রকার প্রাণীর ছবিই শরীয়তে হারাম)
পবিত্র কুরআন শরীফ, হাদীছ শরীফ, ইজমা ও ক্বিয়াস-এর দৃষ্টিতে প্রাণীর মূর্তি তৈরী
করা, কারানো ও ছবি আঁকা, তোলা,
তোলানো, রাখা,
রাখানো, দেখা,
দেখানো
হারাম নাজায়িয হওয়ার অকাট্য প্রমাণ ও তার সংশ্লিষ্ট বিষয় সম্পর্কে শরয়ী ফায়সালা:
----------- শরীরযুক্ত আর শরীরবিহীন
উভয় প্রকার প্রাণীর ছবিই শরীয়তে হারাম|
-----------
কেউ কেউ বলে থাকে যে, শরীরযুক্ত অর্থাৎ
ছায়াযুক্ত প্রাণীর ছবি হারাম আর শরীরবিহীন অর্থাৎ ছায়াবিহীন প্রাণীর ছবি জায়িয|
মূলতঃ তাদের উক্ত বক্তব্যটি আহলে সুন্নত ওয়াল জামায়াতের আক্বীদার সম্পূর্ণ খিলাফ| আমাদের আহলে সুন্নত ওয়াল জামায়াতের ফতওয়া হচ্ছে
শরীরযুক্ত ও শরীরবিহীন উভয় প্রকার প্রাণীর ছবিই শরীয়তে হারাম|
কারণ কেউ প্রমাণ করতে পারবে না যে,
হাদীছ
শরীফের কোথাও শরীরবিহীন ছবিকে বৈধ বলা হয়েছে|
বরং
সকল হাদীছ শরীফ, হাদীছ শরীফের ব্যাখ্যা
গ্রন্থ ও ফিক্বাহ-ফতওয়ার কিতাবেই বিনা শর্ত শারায়িতে বা আমভাবে সর্বপ্রকার প্রাণীর
ছবিকে নিষিদ্ধ করা হয়েছে| নিম্নোক্ত দলীল আদিল্লাহসমূহ
ভালোভাবে পর্যালোচনা করলেই বিষয়টি সুস্পষ্ট হয়ে যাবে| যেমন-
عن عيسى بن حميد قال سال عقبة الحسن قال ان فى مسجدنا ساحة فيها تصاوير قال انحروها.
অর্থঃ- হযরত ঈসা বিন হুমাইদ রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনার হতে বর্ণিত- তিনি বলেন, হযরত ওকবাতুল হাসান রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু
তিনি বললেন, আমাদের মসজিদে প্রাণীর
ছবিযুক্ত একখানা কাপড় রয়েছে| তখন হযরত ঈসা বিন
হুমাঈদ রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু তিনি বললেন, তুমি (মসজিদ থেকে) ওটা সরিয়ে ফেল|
√ দলীল- মুছান্নাফ ইবনে আবী শায়বা ২য় জিঃ পৃঃ৪৬|
عن جابر رضى الله تعالى عنه قال نهى رسول الله صلى الله عليه وسلم عن الصورة فى البيت ونهى ان يصنع ذلك.
অর্থঃ- হযরত জাবির রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু বলেন, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া
সাল্লাম তিনি ঘরের মধ্যে প্রাণীর ছবি রাখতে নিষেধ করেছেন এবং ওটা তৈরী করতেও নিষেধ
করেছেন|
√ দলীল- তিরমিযি ১ম জিঃ পৃঃ ২০৭|
عن جابر رضى الله تعالى عنه ان النبى صلى الله عليه وسلم امر عمر بن الخطاب زمن الفتح وهو بالبطحاء ان ياتى الكعبة فيمحو كل صورة فيها فلم يدخلها النبى صلى الله عليه وسلم حتى محيت كل صورة فيها.
অর্থঃ- হযরত জাবির রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু তিনি বলেন, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া
সাল্লাম তিনি মক্কা বিজয়ের সময় হযরত উমর রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনাকে হুকুম করলেন-
তিনি যেন পাথর দিয়ে ক্বাবা ঘরের সমস্ত মূর্তি বা চিত্রগুলি ধ্বংস করে দেন|
হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক সাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ক্বাবা ঘরের মুর্তি
বা চিত্রগুলো ধ্বংস না করা পর্যন্ত ক্বাবা ঘরে প্রবেশ করলেন না|
√ দলীল- আবু দাউদ শরীফ ২য় জিঃ পৃঃ ২১৯|
عن ابى عثمان قال حدثنى لبابة عن امها وكانت تخدم عثمان بن عفان ان عثمان ابن عفان كان يصلى الى تابوت فيه تماثيل فامر به فحك.
অর্থঃ- হযরত আবু উসমান রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনার হতে বর্ণিত- তিনি বলেন, লোবাবাহ উনার মাতা হতে আমার নিকট বর্ণনা করেন
যে, উনার মাতা হযরত ওসমান রদ্বিয়াল্লাহু
তায়ালা আনহু উনার খেদমতে ছিলেন, আর হযরত উসমান রদ্বিয়াল্লাহু
তায়ালা আনহু তিনি প্রাণীর ছবিযুক্ত একটি সিন্দুকের দিকে নামায পড়ছিলেন| অতঃপর হযরত উসমান রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু
উনার আদেশে ওটা নিঃচিহ্ন করে ফেলা হলো|
√ দলীল- মুছান্নাফ ইবনে আবী শায়বা ২য় জিঃ পৃঃ৪৬|
عن عائشة عليها السلام حدثته ان النبى صلى الله عليه وسلم لم يكن يترك فى بيته شيئا فيه تصاليب الا نقضه.
অর্থঃ- উম্মুল মুমিনীন হযরত আয়িশা ছিদ্দীকা আলাইহাস সালাম তিনি বর্ণনা করেন যে, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া
সাল্লাম ঘরে প্রাণীর ছবি বা ছবিযুক্ত সকল জিনিস (থাকলে) ধ্বংস করে ফেলতেন|
√ দলীল-বুখারী শরীফ ২য় জিঃ পৃঃ৮৮০,
√ মিশকাত পৃঃ ৩৮৫|
عن ابى حجيفة رضى الله تعالى عنه عن ابيه ان النبى صلى الله عليه وسلم نهى عن ثمن الدم وثمن الكلب وكسب البغى ولعن اكل الربى وموكله والواشمة والمستوشمة والمصور.
অর্থঃ- হযরত আবু হুজায়ফা রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনার পিতা হতে বর্ণনা করেন, “খতামুন্নাবিয়্যীন হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি
ওয়া সাল্লাম তিনি রক্তের দাম, ও কুকুরের দাম নিতে
এবং যেনাকারীনীর উপার্জন নিষেধ করেছেন,
এবং
যে ঘুষ খায়, যে ঘুষ দেয়, যে অঙ্গে উলকি আঁকে এবং যে আঁকায়, আর যে ছবি অংকন করে, এদের সবার ওপর হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু
আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি লা’নত দিয়েছেন|”
√ দলীল- বুখারী শরীফ ২য় জিঃ পৃঃ ৮৮১|
অনুরূপ পবিত্র হাদীছ শরীফের ব্যাখ্যাগ্রন্থ ও ফিক্বাহের কিতাবসমূহেও ‘ছবি’র ক্ষেত্রে
تصوىر –তাছবীর, صورة -ছূরত ইত্যাদি শব্দাবলী ব্যবহৃত হয়েছে| নিম্নে তার কিছু প্রমাণ তুলে ধরা হলো-
‘তাওজীহ্’ নামক কিতাবে
উল্লেখ আছে যে, জীব জন্তুর ছবি বা
প্রতিমূর্তি নির্মাণ করা নিষেধ, বরং কঠোর নিষিদ্ধ
কাজ (অর্থাৎ) এটা কবীরাহ্ গুনাহ্|
চাই
ওটাকে যত্ন বা সম্মান প্রদর্শন করুক কিংবা অন্য যে কোন উদ্দেশ্যেই বানায়ে থাকুক| এরূপ কাজে আল্লাহর সৃষ্টির অনুকরণ করা হয়| ওটা বস্ত্রে, বিছানায়, মোহরে, মুদ্রায়, পয়সায়, পাত্রে কিংবা প্রাচীন
গাত্রে যে কোন স্থানে আঁকা বা নির্মাণ করা হারাম|”
√ দলীল- উমদাতুল ক্বারী,
√ ফতওয়ায়ে ছিদ্দীকিয়া, পৃঃ৩৭৮,
√ আয্ জাওয়াজির ২য় জিঃ, পৃঃ৩৩|
“উক্ত হাদীছসমূহে
প্রাণীর ছবি তৈরী করা বা মূর্তি নির্মাণ করা হারাম হওয়া সম্বন্ধে প্রকাশ্যেই বলা হয়েছে| এটা তৈরী বা নির্মাণ করা জঘন্যতম পাপের কাজ ও
হারামও বটে| উক্ত কিতাবে আরও
আছে, যদি কেউ মূর্তি বা প্রাণীর
ছবি পূজা বা সৃষ্টির অনুকরণের জন্য নাও বানায়ে থাকে তবুও সে ফাসেক হবে এবং কবীরাহ্
গুনাহে গুনাহগার হবে|”
√ দলীল- শরহে মুসলিম,
√ নববী,
√ ফতওয়ায়ে ছিদ্দিকিয়াহ্, পৃঃ৩৭৮|
“আমাদের মাশায়েখগণ
ও উলামাগণ বলেছেন যে, প্রাণীর ছবি তৈরী
করা হারাম, এমনকি গুরুতর হারাম| এটা কবীরাহ্ গুনাহ্| কেননা এরূপ কাজের জন্য বিশেষ ভীতিপ্রদ অবস্থা
হাদীছ শরীফে উল্লেখ করা হয়েছে| ওটা কাপড়ে, বিছানায়, মোহরে, কি টাকা-পয়সায় কিংবা
যে কোনও স্থানে আঁকা থাকনা কেন তা সমান কথা|”
√ দলীল- মিরকাত শরহে মিশকাত,
√ ফতওয়ায়ে ছিদ্দিকিয়াহ্ পৃঃ৩৭৯,
√ নাইলুল আওতার ২য় জিঃ, পৃঃ১০৫|
“ছহীহ্ হাদীছ শরীফ
সমূহে প্রাণীর ছবি বা মূর্তি তৈরী করা সম্বন্ধে প্রকাশ্যেই নিষেধ করা হয়েছে| ওটা মানুষের হোক বা জানোয়ারের কি পাখীর হোক সমান
কথা অর্থাৎ হারাম|”
√ দলীল- ফিকহুস সুন্নাহ্ ৩য় জিঃ, পৃঃ৪৯৮|
“প্রাণীর ছবি তৈরী
করা হারাম, যদি তা পূর্ণ দেহ
বিশিষ্ট হয়|”
√ দলীল- কিতাবুল ফিকহ আলা মাযাহিবিল আরবায়াহ ২য়
জিঃ, পৃঃ৪১|
উপরোক্ত আলোচনা দ্বারা প্রমাণিত হলো যে,
সকল
পবিত্র হাদীছ শরীফ, হাদীছ শরীফের ব্যাখ্যাগ্রন্থ
ও ফিক্বাহ ফতওয়ার কিতাবেই বিনা শর্ত শারায়িতে বা আমভাবে সর্বপ্রকার প্রাণীর ছবিকে নিষিদ্ধ
করা হয়েছে|
তবে বাতিল ফিরক্বার কেউ কেউ বলে থাকে যে,
শরীরযুক্ত
ছবি হারাম আর শরীরবিহীন ছবি জায়িয|
নাউযুবিল্লাহ্| আমাদের আহলে সুন্নত ওয়াল জামায়াতের নিকট এ মত
গ্রহণযোগ্য নয়| যেমন এ প্রসঙ্গে-
√ ফতহুল বারীতে উল্লেখ আছে,
“আল্লামা ইমাম নববী
রহমতুল্লাহি আলাইহি বলেন, পূর্ববর্তী কারো
কারো অভিমত এই যে, যেসব ছবির ছায়া রয়েছে
তা ঘরে রাখা নিষেধ| আর যেসব ছবির ছায়া
নেই সাধারণভাবে সেসব ছবি ঘরে রাখাতে কোন দোষ নেই| এটা বাতিল মাযহাবের মত|
সুতরাং ছহীহ্ ও গ্রহণযোগ্য ফতওয়া হলো,
“ছায়াযুক্ত”
হোক অথবা “ছায়াহীন” হোক উভয় প্রকার ছবির একই হুকুম| অর্থাৎ উক্ত উভয় প্রকার ছবিই তৈরী যেরূপ হারাম তদ্রুপ ঘরে রাখাও
হারাম|
√ যেমন এ প্রসঙ্গে “ফতহুল বারী” কিতাবের ১০ খন্ডের
৩৮৮ পৃষ্ঠায় উল্লেখ আছে যে,
“ছায়াযুক্ত ও ছায়াহীন
ছবির মধ্যে কোনই পার্থক্য নেই| যদি (উক্ত উভয় প্রকার
ছবিই) দেয়ালে টাঙ্গানো থাকে অথবা পরিধেয় বস্ত্রে থাকে অথবা পাগড়ীতে থাকে অথবা অনুরূপ
সম্মানিত কোন স্থানে বা বস্তুতে থাকে তবে তা হারাম|”
উক্ত কিতাবে আরো উল্লেখ আছে,
√ “নিশ্চয়ই নবী করীম ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম
ছবিযুক্ত যে পর্দাটি অপছন্দ করেছেন নিঃসন্দেহে তার ছবিটিও ছায়াহীন ছিলো তা সত্ত্বেও
তিনি তা সরিয়ে ফেলার নির্দেশ দিয়েছেন|”
√ ‘বুখারী শরীফের’ বিখ্যাত ব্যাখ্যাগ্রন্থ “উমদাতুল
ক্বারী”- কিতাবের ২২তম জিঃ ৭০ পৃষ্ঠায় উল্লেখ আছে,
“প্রাণীর ছবি তৈরী
করা বা করানো শক্ত হারাম ও কবীরা গুনাহ|
…….. তবে প্রাণহীন বস্তুর ছবি যেমন,
গাছপালা
ইত্যাদি হারাম নয়| আর এ ব্যাপারে ‘ছায়াহীন
ও ছায়াযুক্ত’ ছবির একই হুকুম| অর্থাৎ উভয়টাই হারাম|”
√ “উমদাতুল ক্বারী” কিতাবের ২২তম জিঃ ৭৩ পৃষ্ঠায়
আরো উল্লেখ আছে,
“প্রাণীর ছবি হারাম
হওয়ার ব্যাপারে ‘ছবিযুক্ত বা ছায়াহীন’ হওয়ার মধ্যে কোনই পার্থক্য নেই| অর্থাৎ উভয়টার একই হুকুম|”
√ ইমাম নববী রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার বিখ্যাত
“মুসলিম শরীফের” ব্যাখ্যাগ্রন্থ “শরহুল মুসলিম” কিতাবের ৭ম খন্ডের ৮১ পৃষ্ঠায় লিখেছেন,
“প্রাণীর ছবি হারাম
হওয়ার ব্যাপারে “ছায়াযুক্ত বা ছায়াহীন” হওয়ার মধ্যে কোনই পার্থক্য নেই| …….. সলফগণের কেউ কেউ বলেন, ছায়াযুক্ত ছবি নিষেধ| আর ছায়াহীন ছবি নিষেধ নয়| তবে এমতটি সম্পূর্ণই বাতিল| কেননা,
নিশ্চয়ই
নবী করীম ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ছবিযুক্ত যে পর্দাটি অপছন্দ করেছেণ| এতে কারো সন্দেহ নেই যে, এটা গুণাহর কারণ| অথচ উক্ত ছবিটিও ছায়াযুক্ত ছিলোনা|”
অনুরূপ “শরহুল উবাই, মিরকাত ও শরহুত ত্বীবীতেও
উল্লেখ আছে|”
√ যেমন,
“রেজভীয়া”
কিতাবের ১০ম খন্ডের ৭১ পৃষ্ঠায় উল্লেখ আছে,
“সাধারণভাবে প্রাণীর
ছবি তৈরী করা হারাম ‘ছায়াযুক্ত’ হোক অথবা ‘ছায়াহীন’, হাতে হোক অথবা ক্যামেরায়| সাইয়্যিদুল ইনস ওয়াল জিন হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর
বরকতময় যামানায় ছায়াযুক্ত অর্থাৎ মুজাসসাম এবং ছায়াহীন অর্থাৎ গায়রে মুজাসসাম উভয় প্রকার
ছবিরই প্রচলন ছিল| আর হাদীছ শরীফে আমভাবে
(সকল প্রকার) ছবির ব্যাপারেই নিষেধাজ্ঞা এসেছে এবং তা তৈরী করার কারণে কঠিন শাস্তির
কথা বর্ণিত হয়েছে| সুতরাং সকল প্রকার
ছবিই নিষেধের আওতায় আসবে| রাফিযী বা শিয়াদের
কোন একটি দয় ‘ছায়াহীন’ বা ‘শরীরবিহীন’ ছবিকে জায়িয বলে থাকে| নাউযুবিল্লাহ্|”
অতএব, প্রমাণিত হলো যে, ছায়াযুক্ত হোক বা ছায়াহীন হোক কোন প্রকার ছবিই
তৈরী করা জায়িয নেই বরং উভয় প্রকার প্রাণীর ছবিই তোলা, আঁকা,
রাখা, দেখা হারাম|
No comments