Header Ads

Islamic Quotes Urdu Facebook Cover. QuotesGram

হাবীবুল্লাহ, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম নিজেই নিজের সাইয়্যিদুল আইয়াদ শরীফ/ঈদে মীলাদে হাবীবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম পালন করেছেন



                           Image may contain: flower and text
**************************************************
عَنْ اَبِى قَتَدَةَ الاَنْصاَرِى رَضِى الله عَنهُ اَنَّرَسُولَ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ سءل عَنْ صَوْمِ يَوْمالاِ ثْنَيْنِ قَلَ ذَاكَ يَوْمٌ وُلِدْتُ فِيْهِ بُعِثْتُ اَوْاُنْزِلَعَلَىَّ فِيْهِ
অর্থাৎ হযরত আবু কাতাদা রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু হতে বর্নিত হাবীবুল্লাহ, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার দরবারে আরজ করা হলো তিনি প্রতি সোমবার রোজা রাখেন কেন? উত্তরে হাবীবুল্লাহ, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ করেন, এই দিনে আমি জন্ম গ্রহন করেছি, এই দিনেই আমি প্রেরিত হয়েছি এবং এই দিনেই আমার উপর পবিত্র কুরআন শরীফ  নাযিল হয় ।
সহীহ মুসলিম শরীফ ২য় খন্ড, ৮১৯ পৃষ্ঠা,
বায়হাকী: আহসানুল কুবরা, ৪র্থ খন্ড ২৮৬ পৃ:
মুসনাদে আহমদ ইবনে হাম্বল ৫ম খন্ড ২৯৭ পৃ:
মুসান্নাফে আব্দুর রাজ্জাক ৪র্থ খন্ড ২৯৬পৃ:
হিলইয়াতুল আউলিয়া ৯ম খন্ড ৫২ পৃ:
জন্মদিন পালন করেছেন বলেই রোজা রেখেছেন।যার কারণে শরিয়ত সম্মতভাবে জন্মদিন পালন করা খাছ সুন্নত ও বটে-
হাবীবুল্লাহ, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম মদিনা জীবনে বকরী জবেহ করে ফকির-মিসকিনদের মাঝে তা বন্টন করে দিয়ে নিজের আগমন দিবস পালন করেছেন। ইমাম জালাল উদ্দীন সুয়ূতী রহমাতুল্লাহি আলাইহি উনার ‘আল-হাবী’ নামক কিতাবের মিলাদ অধ্যায়ে এ সম্পর্কিত হাদীস বর্ণনা করেছেন। কেউ কেউ হয়ত মনে করতে পারেন যে, তিনি নিজের আকিকা করেছেন। তাই আল্লামা সুয়ূতী রহমাতুল্লাহি আলাইহি বলেন, ‘আকিকা দু’বার করা হয় না। (উনার আকিকা উনার দাদা আব্দুল মুত্তালিব আলাইহিস সালাম একবার করেছিলেন) সুতরাং উনার বকরী জবেহ করা ছিল এ জন্য যে, আল্লাহ তায়ালা উনাকে সমগ্র জগতের জন্য রহমত করে পাঠিয়েছেন। এর মাধ্যমে তিনি এ কাজকে উনার উম্মতের জন্য শরীয়ত সম্মত করে দিয়েছেন।
দলিল:-
৯ম শতাব্দীর মুজাদ্দিদ ইমাম সুয়ুতী রহমাতুল্লাহি আলাইহি উনার আল হাওয়ীলিল ফতওয়া ১ম খন্ড ১৯৬ পৃষ্ঠা।
ইমাম সুয়ুতী রহমাতুল্লাহি আলাইহি উনার হুসনুল মাকাসিদ ফি আমালিল মওলিদ ৬৫ পৃষ্ঠা
ইমাম নাবহানী রহমাতুল্লাহি আলাইহি উনার হুজ্জাতুল্লাহে আলাল আলামীন ২৩৭
পৃষ্ঠা
পবিত্র হাদীছ শরীফেইরশাদ মুবারক হয়েছে,
عن ابن مسود قال قال رسول الله صلى الله عليه وسلم اولى الناس بى يوم القيامةاكثرهم على صلوات.
অর্থঃ- হযরত ইবনে মাসউদ রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু বর্ণনা করেন, সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, রহমাতুল্লিল আ’লামীন, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ করেন, “ঐ ব্যক্তিই ক্বিয়ামতের দিন আমার সবচেয়ে নিকটে থাকবে, যে ব্যক্তি আমার প্রতি অধিক মাত্রায় ছালাত পাঠ করবে|” (পবিত্র তিরমিযী, মেশকাত শরীফ)
আর অন্য হাদীছ শরীফে ইরশাদ হয়েছে,
عن ابن مسعود قال قال رسول الله صلى اللهعلىه وسلم. ان لله ملنكة سياحين فى الارض يبلفونى من امتى السلام.
অর্থঃ- হযরত ইবনে মাসউদ রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু হতে বর্ণিত- সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, রহমাতুল্লিল আ’লামীন, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, বলেন, “মহান আল্লাহ্ পাক রাব্বুল আ’লামীন উনার কিছু সংখ্যক ফেরেশতা রয়েছেন, যারা পৃথিবীতে ভ্রমণ করে বেড়ান এবং আমার উম্মতের পাঠকৃত সালাম আমার নিকটপৌছিয়ে দেন |” (পবিত্র নাসাঈ, দারেমী, মেশকাত শরীফ)
পবিত্র হাদীছ শরীফে ইরশাদ হয়েছে,
قال النبى صلى الله عليه وسلم-اذاجلس قوميصلون على حفت بهم الملنكة من لدن اقدامهم الىعنان السماءبايديهم قراطيس الفضة واقلام الذهبيكتبون الصلات على النبى صلى الله عليه وسلمويقولونزيدوا زادكم الله.
অর্থঃ- সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, রহমাতুল্লিল আ’লামীন, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন, “যখন কোন সম্প্রদায়একত্রিত হয়ে বসে এবং সম্মিলিতভাবে আমার প্রতি ছালাত পাঠ করে, তখন ফেরেশতাগণ উনাদের পা থেকে আকাশ পর্যন্ত বেষ্টন করে নেন | উনাদের হাতে থাকে
রূপার কাগজ ও সোনার কলম | যার দ্বারা উনারা ছালাতের সাওয়াব লিখতে থাকেন এবং বলেন, তোমরা আরো অধিক মাত্রায় ছালাত পাঠ কর, আল্লাহ্ পাক তোমাদের উন্নত করবেন |” (দুররুল মুনাজ্জাম, কাশফুলগুম্মাহ্)
এ প্রসঙ্গে অন্য পবিত্র হাদীছ শরীফে ইরশাদ মুবারক হয়েছে,
عن ابن عمر رضىالله عنهما. قال النبى صلىالله عليه وسلم زينوا مجالسكم بالصلوة علىفانصلاتكم على نورلكم يوم القيامة ((ديلمى مسند الفردوس.
অর্থঃ- হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে উমর রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু হতে বর্ণিত, সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, রহমাতুল্লিল আ’লামীন, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন, “তোমাদের মজলিসকে আমার প্রতি ছালাত পাঠের দ্বারা সুসজ্জিত কর | কারণ তোমাদের ছালাত পাঠ ক্বিয়ামতের দিন তোমাদের জন্যে নূরে পরিণত হবে |” (পবিত্র দায়লামী শরীফ)
হাদীছ শরীফে উল্লেখ আছে,
عن ابى درداء رضى الله تعالى عنه انه مرمع النبى صلى الله عليه وسلم الى بيت عامر الانصارى وكان يعلم وقائع ولادته صلى الله عليه وسلم لابنائه وعشيرته ويقول هذا اليوم هذا اليوم فقال عليه الصلوة والسلام ان الله فتح لك ابواب الرحمة والملائكة كلهم يستغفرون لك من فعل فعلك نجى نجتك.
অর্থঃ “হযরত আবু দারদা রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু হতে বর্ণিত আছে যে, একদা তিনি রসূলে পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সালাম উনা সাথে হযরত আবু আমের আনছারী রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনার গৃহে উপস্থিত হয়ে দেখতে পেলেন যে, তিনি উনার সন্তানাদি এবং আত্মীয় স্বজন, জ্ঞাতী-গোষ্ঠী, পাড়া-প্রতিবেশীদেরকে রসূলে পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সালাম উনার বিলাদত শরীফের ঘটনাসমূহ শুনাচ্ছেন এবং বলছেন, এই দিবস এই দিবস (অর্থাৎ এই দিবসে রসূলুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সালাম যমীনে তাশরীফ এনেছেন)।
এতদ্বশ্রবণে রসূলুল্লাহ ছল্লাল্লাহু ওয়া সালাম বললেন, “নিশ্চয়ই আল্লাহ তায়ালা উনার রহমতের দরজা তোমার জন্য উন্মুক্ত করেছেন এবং সমস্ত ফেরেশতাগণ তোমার জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করছেন এবং যে কেউ তোমার মত এরূপ কাজ করবে, তোমার মত সেও নাযাত (ফযীলত) লাভ করবে।”
(কিতাবুত তানবীর ফী মাওলিদিল বাশীর ওয়ান্ নাযীর, ছুবুলুল হুদা ফী মাওলিদে মুস্তফা ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, হাক্বীক্বতে মুহম্মদী ও মীলাদে আহ্মদী পৃষ্ঠা ৩৫৫)
এ সম্পর্কে হাদীছ শরীফে আরো ইরশাদ হয়েছে,
عن ابن عباس رضى الله تعالى عنهما انه كان يحدث ذات يوم فى بيته وقائع ولادته صلى الله عليه وسلم لقوم فيستبشرون ويحمدون الله ويصلون عليه صلى الله عليه وسلم فاذا جاء النبى صلى الله عليه وسلم قال حلت لكم شفاعتى.
অর্থঃ- “হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাস রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু হতে বর্ণিত আছে যে, তিনি একদা উনার নিজগৃহে সমবেত ছাহাবীগণকে আল্লাহ পাক উনার হাবীব হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার বিলাদত শরীফ উনার ঘটনাসমূহ শুনাচ্ছিলেন। এতে শ্রবণকারীগণ আনন্দ ও খুশী প্রকাশ করছিলেন এবং আল্লাহ পাক উনার প্রশংসা তথা তাছবীহ্-তাহ্লীল পাঠক করছিলেন এবং আল্লাহ্ পাক উনার হাবীব হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার উপর (ছলাত-সালাম) দুরূদ শরীফ পাঠ করছিলেন। এমন সময় রসূলে পাক ছল্লাল্লাহু ওয়া সাল্লাম তথায় উপস্থিত হলেন এবং (মীলাদ শরীফ পাঠের অনুষ্ঠান দেখে)  তাদেরকে উদ্দেশ্য করে বললেন, حلت لكم شفاعتى. অর্থাৎ তোমাদের জন্য আমার শাফায়াত ওয়াজিব।” (কিতাবুত তানবীর ফী মাওলিদিল বাশীর ওয়ান্ নাযীর, ছুবুলুল হুদা ফী মাওলিদে মুস্তফা ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম,হাক্বীক্বতে মুহম্মদী ও মীলাদে আহমদী পৃষ্ঠা ৩৫৫ )
উপরিউক্ত দলিলভিত্তিক আলোচনা থেকে প্রমাণিত হলো যে- হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম নিজেই নিজের সাইয়্যিদুল আইয়াদ শরীফ/ঈদে মীলাদে হাবীবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম পালন করেছেনসুবহানাল্লাহ!
আল্লাহ পাক আমদেরকে বেশি বেশি হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার ছানা-ছিফত করার তোফিক দান করুন। আমীন।


No comments

ডাল একটি বরকতময় পবিত্র খাদ্য।

  ডাল একটি বরকতময় পবিত্র খাদ্য। ডাল খাওয়ার ফলে কলব প্রসারিত হয় এবং চোখের দৃষ্টি শক্তি বৃদ্ধি পায়। পূর্ববর্তী হযরত নবী-রসুল আলাইহিমুস সালাম উ...

Powered by Blogger.