Header Ads

Islamic Quotes Urdu Facebook Cover. QuotesGram

সৃষ্টির সূচনা ও সৃষ্টির মূল





মহান আল্লাহ পাক তিনি একক উনার কোন শরীক নেই। তিনি খালিক্ব বা সৃষ্টা হিসেবে একক। মহান আল্লাহ পাক সর্বপ্রথম উনার যিনি হাবীব, সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে সৃষ্টি করেছেন যখন সৃষ্টির কোন কিছুরও অস্তিত্ব ছিলো না। আরশ-কুরসী, লৌহ-ক্বলম, বেহেশত-দোযখ, আসমান-যমীন, জ্বিন-ইনসান এক কথাই কোন কিছুই সৃষ্টি হয়নি। মহান আল্লাহ আল্লাহ পাক উনার মুহব্বত হলো মাখলুকাত সৃষ্টি করার। তখন তিনি সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে সৃষ্টি করেন।

এ প্রসঙ্গে হাদীছে কুদসীতে মহান রব্বুল আলামীন তিনি ইরশাদ করেন, “আমি গুপ্ত ছিলাম। যখন আমার মুহব্বত হলো যে, আমি প্রকাশিত হই। তখনই আমি প্রকাশ হওয়ার জন্য সৃষ্টি করলাম মহানতম সৃষ্টি অর্থাৎ আমার হাবীব হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে।” (দাকায়িকুল আখবার)

আল্লাহ পাক উনার হাবীব নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি হচ্ছেন সৃষ্টির সর্বপ্রথম। উনাকে মহান আল্লাহ পাক সর্বপ্রথম নূর হিসেবে সৃষ্টি করেন। যে সম্পর্কে হাদীছ শরীফ-এ ইরশাদ হয়েছে। সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ করেন মহান আল্লাহ পাক সর্বপ্রথম আমার নূর মুবারক সৃষ্টি করেছেন এবং সেই নূর মুবারক থেকেই সমস্ত কায়িনাত সৃষ্টি করেছেন।” (নূরে মুহম্মদী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, আল ইনসানুল কামিল, হক্বিক্বতে মুহম্মদী ছল্লাল্লাহু আলইহি ওয়া সাল্লাম) অর্থাৎ আল্লাহ পাক উনার হাবীব হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি সর্বপ্রথম সৃষ্টি এবং উনার সেই সৃষ্টি নূর মুবারক থেকে গোটা কায়িনাত তথা গোটা মাখলুকাত সৃষ্টি হয়েছে।

এ প্রসঙ্গে হাদীছ শরীফ-এ ইরশাদ হয়েছে” “হযরত জাবির রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, হে আল্লাহ পাক উনার রসূল, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! আমার পিতা-মাতা আপনার জন্য কুরবান হয়ে যাক, আপনি আমাকে জানিয়ে দিন যে, মহান আল্লাহ পাক সর্বপ্রথম কোন জিনিস সৃষ্টি করেছেন? (আল্লাহ পাক উনার হাবীব হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তিনি বললেন, হে জাবির রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু! নিশ্চয়ই মহান আল্লাহ পাক সব কিছুর পূর্বে আপনার নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার নূর মুবারক সৃষ্টি করেছেন। অর্থাৎ আল্লাহ পাক উনার প্রথম সৃষ্টি হচ্ছেন নূরে হাবীবীছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম। অতঃপর সেই নূর মুবারক আল্লাহ পাক উনার ইচ্ছানুযায়ী কুদরতীভাবে ঘুরছিলো। আর সে সময় লওহ-ক্বলম, বেহেশত-দোযখ, ফেরেশতা আসমান, যমীন, চন্দ্র, সূর্য, মানুষও জ্বিন কিছুই ছিলো না। অতঃপর যখন মহান আল্লাহ পাক তিনি মাখলুক সৃষ্টি করার ইচ্ছা পোষণ করলেন। তখন সেই নূর মুবারক’ (অর্থাৎ নূরে হাবীবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার থেকে একটা অংশ নিয়ে উনাকে) চার ভাগ করলেন। প্রথম ভাগ দ্বারা ক্বলমদ্বিতীয় ভাগ দ্বারা লাওহে মাহফূযতৃতীয় ভাগ দ্বারা আরশে মুয়াল্লাহসৃষ্টি করলেন। চতুর্থ ভাগকে আবার চারভাগ করলেন। প্রথম ভাগ দ্বারা আরশ বহনকারী ফেরেশতাদ্বিতীয় ভাগ দ্বারা কুরসীআর তৃতীয় ভাগ দ্বারা অন্যান্য ফেরেশতাদেরকে সৃষ্টি করেন। অতঃপর চতুর্থ ভাগকে আবার চার ভাগ করলেন। প্রথম ভাগ তারা আসমানদ্বিতীয় ভাগ দ্বারা যমীনআর তৃতীয় ভাগ দ্বারাবেহেশত ও দোযখসৃষ্টি করলেন। নুর মুবারকের অবশিষ্ট চতুর্থ ভাগকে আবার চার ভাগ করলেন। প্রথম ভাগ দ্বারা মুমিন বান্দা উনাদের চোখের জ্যোতি’; দ্বিতীয় ভাগ দ্বারা উনাদের ক্বলবের জ্যোতি আর এটাই মুলত মহান আল্লাহ পাক উনার মারিফাত। আর তৃতীয় ভাগ দ্বারা, মুমিনগণ উনাদের উনসের নূর অর্থাৎ তাওহীদ বা একত্ববাদের নূর তথা কালিমা শরীফ এর নূর সৃষ্টি করলেন। (এমনিভাবে উক্ত নূরে হাবীবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার থেকেই পর্যায়ক্রমে তামাম মাখলুকাত সৃষ্টি করেন।” (মসনদে আব্দুর রাজ্জাক, দালায়িলূন নুবুওওয়াত, তারীখুল খমীস, মাওয়াহিব, শরহে যুরকানী, মাদারিজুন নুবুওওয়াহ, নূরে মুহম্মদী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইত্যাদি)

মহান আল্লাহ পাক তিনি সৃষ্টির সূচনা করলেন নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে সৃষ্টির মাধ্যমে। এ প্রসঙ্গে আল্লামা হযরত আবুল হাসান বিন আবদিল্লাহ আল বিকরী রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার আল আনওয়ার ফী মাওলিদিন্ নাবিয়্যিল মুহম্মদ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামনামক কিতাবের ৫ম পৃষ্ঠায় লিখেন হযরত আলী রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু তিনি বলেন, শুধুমাত্র মহান আল্লাহ পাক তিনিই ছিলেন, তখন অন্য কোন অস্তিত্বই উনার সাথে ছিলোনা। অতপর তিনি পানি, আরশ, কুরসী, লৌহ, ক্বলম, জান্নাত, জাহান্নাম ও পর্দাসমূহ ইত্যাদি সৃষ্টি করার পূর্বে উনার হাবীব সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার নূর মুবারক অর্থাৎ উনাকে সৃষ্টি করেন।

এ প্রসঙ্গে ইমামুল মুহাদ্দিসীন আল্লামা হযরত শায়খ আব্দুল হক্ব মুহাদ্দিসে দেহলভী রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার মাদারিজুন নুবুওওয়াত২য় জিলদ ২য় পৃষ্ঠায় লিখেন ছহীহ হাদীছ শরীফ-এ বর্ণিত হয়েছে যে, সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ করেন, “মহান আল্লাহ পাক সর্বপ্রথম আমার নূর মুবারক অর্থাৎ আমাকে সৃষ্টি করেন।

বিশ্ববিখ্যাত তাফসীর গ্রন্থ তাফসীরে রুহুল মায়ানী”-এর লেখক নূরে হাবীবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সর্বপ্রথম সৃষ্টি হওয়া সম্পর্কে তিনি লিখেন, কেননা সকল মাখলুকাতের মধ্যে সর্বপ্রথম সৃষ্টি হলেন নূরে হাবীবীছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম। যেমন-হাদীছ শরীফ-এ বর্ণিত হয়েছে, “মহান আল্লাহ পাক সর্বপ্রথম আপনার নবী যিনি নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহু হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার নূর মুবারক সৃষ্টি করেন অর্থাৎ আল্লাহ পাক উনার হাবীব হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে সৃষ্টি করেন।সুবহানাল্লাহ!

অন্য হাদীছ শরীফ-এ এসেছে সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ করেন, “মহান আল্লাহ পাক সর্বপ্রথম আমার নূর মুবারক তথা আমাকে সৃষ্টি করেন এবং আমার নূর মুবারক থেকে সব কিছুই সৃষ্টি করেন।” (মাতালিউল মাসাররাত, পৃষ্ঠা ২৬৫)

উপরোক্ত দলীল ভিত্তিক আলোচনা থেকে সুস্পষ্টভাবে প্রতিভাত হলো যে, সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি গোটা কায়িনাতের মধ্যে সর্বপ্রথম সৃষ্টি। উনার মুবারক নূরে হাবীবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম থেকে আরশ-কুরসী, লৌহ-ক্বলম, জান্নাত-জাহান্নাম, জ্বিন-ইনসান, মাটি-পানি, আসমান-যমীন তথা গোটা কায়িনাতকে সৃষ্টি করা হয়। আর তিনি হচ্ছেন সৃষ্টির মূল। মহান আল্লাহ পাক তিনি উনার হাবীব হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে সর্বপ্রথম মুবারক নূরহিসেবে সৃষ্টি করে নিজেকে প্রকাশ করেন। সেটাই হাদীছে কুদসী শরীফ-এ এসেছে মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ করেন আমি গুপ্ত ভা-ার ছিলাম। যখন আমার মুহব্বত হলো যে, আমি প্রকাশিত হই, তখনই আমি প্রকাশ হওয়ার জন্য সৃষ্টি করলাম মহানতম সৃষ্টি অর্থাৎ আমার হাবীব হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে।” (দাকায়িকুল আখবার)

অন্য হাদীছ শরীফ-এ এসেছে- হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে উমর রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনার থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খাতামুন নাবিইয়ীন হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ করেন, আল্লাহ পাক প্রথমে কলম সৃষ্টি করেছেন একখানা নূর মুবারক হতে। (ইবনে আবি হাতিম ১/৪৯, আহমদ ৫/২১৭১, আত্তায়ালিসি ৫৭৭, তিরমিযী ২/২৩, দায়লামী ২)

উপরোক্ত হাদীছ শরীফ-এ
نور واحد একখানা নূর মুবারকই হচ্ছেন স্বয়ং সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খাতামুন নাবিইয়ীন হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি। উনাকে আসমান-যমীন, চন্দ্র-সূর্য, গ্রহ-নক্ষত্র, লৌহ-কলম, জান্নাত-জাহান্নাম এবং কলম এক কথায় সমস্ত কায়িনাত সৃষ্টির পূর্বেই মহান আল্লাহ পাক সৃষ্টি করেছেন। আর তিনিই হচ্ছেন সকল সৃষ্টির মূল বা উৎস।

উনার নূর মুবারকই সর্বপ্রথমে আল্লাহ পাক তিনি তৈরি করে স্বীয় আরশে আযীমে ময়ূর বানিয়ে রেখেছিলেন। সেই নূরে হাবীবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকেই ফেরেশতা উনাদের রসূল হযরত জিবরীল আলাইহিস সালাম চতুর্থ আকাশে তারকারূপে দেখেছিলেন। সত্তর হাজার বছর পর উদিত হতো এবং সত্তর হাজার বছর অস্তমিত থাকতো এভাবে বাহাত্তর হাজার বার দেখেছেন। সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খাতামুন নাবিইয়ীন হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার নাম মুবারকই প্রথম মানব, প্রথম নবী ও প্রথম রসূল হযরত আদম আলাইহিস সালাম তিনি আরশে আযীমে মহান আল্লাহ পাক উনার নাম মুবারকের সাথে লিখা দেখেছিলেন। আর সেই নাম মুবারকের ওসীলা দিয়েই হযরত আদম আলাইহিস সালাম তিনি মহান আল্লাহ পাক উনার নিকট দোয়া করেছিলেন।

এ সম্পর্কে হাদীছ শরীফ-এ উল্লেখ করা হয়েছে, মহান আল্লাহ পাক তিনি যখন প্রথম মানব, প্রথম নবী, প্রথম রসূল হিসেবে হযরত আদম আলাইহিস সালাম উনাকে যমীনে প্রেরণ করেন, তখন তিনি দুইশ থেকে তিনশ বছর যাবৎ কান্নাকাটি করার পরে বলেছেন, “আয় আল্লাহ পাক! আপনার হাবীব মুহম্মদুর রসূলুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার ওসীলায় আমার দোয়া কবুল করুন। তখন মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ করেন, হে হযরত আদম আলাইহিস সালাম! আপনি কিভাবে আমার হাবীব মুহম্মদুর রসূলুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে চিনেছেন? উত্তরে হযরত আদম আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, হে আল্লাহ পাক! আপনি যখন আমাকে কুদরতী হাত মুবারকে তৈরি করে আমার মধ্যে রূহ মুবারক ফুঁকে দিলেন, তখন আমি মাথা মুবারক উত্তোলন করে আরশে মুয়াল্লায় লিখিত দেখেছিলাম,

لا اله الا الله محمد رسول الله.

তখন আমি বুঝতে পারলাম যে, আপনার নাম মুবারকের সাথে যে সম্মানিত নাম মুবারক লিখা রয়েছে, তিনিই আপনার সবচেয়ে বেশি খাছ ও প্রিয় বান্দা হবেন। তাই আমি উনার ওসীলা দিয়ে আপনার নিকট দোয়া চেয়েছি।

তখন আল্লাহ পাক তিনি হযরত আদম আলাইহিস সালাম উনাকে লক্ষ্য করে বলেন, “আপনি সত্যই বলেছেন। আমি যদি মুহম্মদুর রসূলুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে সৃষ্টি না করতাম, তবে আপনাকেও সৃষ্টি করতাম না।” (মুস্তাদরিকে হাকিম)

অন্য হাদীছ শরীফ-এ ইরশাদ হয়েছে, হযরত মাইসারাতুল ফাজর রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনার থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খাতামুন নাবিইয়ীন, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ করেন, “আমি তখনো নবী ছিলাম, যখন হযরত আদম আলাইহিস্ সালাম রূহ মুবারক ও শরীর মুবারকে ছিলেন।” (আহমদ, তারীখে বুখারী, আলহাবী, ইত্তেহাফুচ্ছাদাত, তাযকিরাতুল মাউজুয়াত, কানযুল উম্মাল, দায়লামী, ত্ববরানী, আবূ নঈম, মিশকাত)

অর্থাৎ প্রথম মানব, প্রথম নবী ও প্রথম রসূল হযরত আদম আলাইহিস সালাম উনার যখন অজুদ মুবারক ছিল না, তখনো সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খাতামুন নাবিয়্যীন হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি নবীই ছিলেন।

অন্য হাদীছ শরীফ-এ বর্ণিত হয়েছে, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ করেন, “আমি তখনো নবী ছিলাম, যখন হযরত আদম আলাইহিস সালাম পানি ও মাটিতে ছিলেন।” (মিরকাত শরীফ ১১/৫৮)

অন্যত্র ইরশাদ হয়েছে, আমি তখনো নবী, যখন হযরত আদম আলাইহিস সালাম তিনি রূহ মুবারক ও মাটিতে ছিলেন। (ইবনে সা, কানযুল উম্মাল ৩২১১২)

অন্য হাদীছ শরীফ-এ আরো ইরশাদ হয়েছে, “আমি তখনো নবী ছিলাম, যখন পানিও ছিল না, মাটিও ছিল না।” (মিরকাত শরীফ ১১/৫৮)

অর্থাৎ সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খাতামুন নাবিয়্যীন হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি তখনো নবী ছিলেন, যখন পানি-মাটি, আসমান-যমীন, জান্নাত-জাহান্নাম, গ্রহ-নক্ষত্র, আরশ-কুরসী, লৌহ-কলম, জামাদাত, শাজারাত, হাজারাত ইত্যাদি কোন কিছুরই অস্তিত্ব ছিল না। সে জন্যই তিনি সমস্ত নবী আলাইহিমুস সালাম উনাদের নবী, রসূল আলাইহিমুস সালাম উনাদের রসূল। এমনকি জীন-ইনসান, তরুলতা, গাছপালা, পশু-পাখি, জামাদাত, শাজারাত, হাজারাত তথা সমস্ত কায়িনাতেরও নবী ও রসূল। তাই অন্য হাদীছ শরীফ-এ ইরশাদ করা হয়েছে, “আমি সমস্ত কায়িনাতের জন্যই রসূল হিসেবে প্রেরিত হয়েছি। (মুসলিম, তিরমীযী, আহমদ, বায়হাক্বী, দায়লামী, কানযুল উম্মাল, আবূ ইয়ালা, মিশকাত, শরহুস সুন্নাহ)

No comments

ডাল একটি বরকতময় পবিত্র খাদ্য।

  ডাল একটি বরকতময় পবিত্র খাদ্য। ডাল খাওয়ার ফলে কলব প্রসারিত হয় এবং চোখের দৃষ্টি শক্তি বৃদ্ধি পায়। পূর্ববর্তী হযরত নবী-রসুল আলাইহিমুস সালাম উ...

Powered by Blogger.