দুনিয়াতে আগমনের পূর্বে হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মর্যাদা ময়ুর রূপে নূরে হাবীবী উনার অবস্থান।

=================================================
আল্লাহ পাক উনার হাবীব হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু
আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার নূর মুবারক সৃষ্টি করার পরে সেই নূর মুবারক থেকে একে একে
আরশ-কুরসী, লৌহ-কলম, আসমান-জমিন, বেহেস্ত-দোযখ, ফিরিশতা ইত্যাদি
সৃষ্টি করলেন। অতঃপর প্রিয় হাবীব উনার নূরকে ময়ূর রুপ দান করে তা ‘শাজারাতুল
ইয়াকীন’ নামক বৃক্ষে রেখেছিলেন ৭০ হাজার বছর।
এ প্রসঙ্গে ইমাম আব্দুর রাজ্জাক রহমাতুল্লাহি
আলাইহি উনার “আল মুসান্নাফে” এবং ইমাম গায্যালী রহমাতুল্লাহি আলাইহি উনার “দাকায়েকুল আখবারে” একখানা হাদীছ শরীফ
উল্লেখ করেন।
عَنْ
مَّعْمَرٍ عَنِ الزُّهْرِيْ عَنِ السَّائِبِ بْنِ يَزِيْدَ قَالَ اِنَّ اللهَ
تَعَالي خَلَقَ شَجَرَةً وَّلَهَا اَرْبَعَةُ اَغْصَانٍ فَسَمَّاهَا شَجَرَةَ
الْيَقِيْنِ ثُمَّ خَلَقَ نُوْرَ مُحَمَّدٍ صَلَّي اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي
حِجَابٍ مِّنْ دُرَّةٍ بَيْضَاءَ مِثْلُهُ كَمَثَلِ الطَّوُوسِ وَوَضَعَهُ عَلي
تِلْكَ الشَّجَرَةِ فَسَبَّحَ عَلَيْهَا مِقْدَارَ سَبْعِيْنَ أَلْفَ عَامٍ ثُمَّ
خَلَقَ مِرْاَةُ الْحَيَاءِ وَوَضَعَهَا بِاِسْتِقْبَالِه فَلَمَّا نَظَرَ
الطَّاوُوسُ فِيْهَا رَأَي صُوْرَتَه أَحْسَنُ صُوْرَةٍ وَأَرِيْنَ هَيْئَةٍ
فَاسْتَحِي مِنَ اللهِ فَسَجَدَ خَمْسَ مَرَّاتٍ فَصَارَتُ عَلَيْهَا تِلْكَ
الشَّجَرَاتِ فَرْضًا مُّوَقَّتًا فَاَمَرَ اللهُ تَعَالي بِخَمْسِ صَلَواتِ عَلَي
النَّبِيِّ صَلّي اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَاُمَّتِه ..... (الخ)
অর্থাৎ- “হযরত সায়েব বিন ইয়াজিদ বলেন
নিশ্চয়ই আল্লাহ তায়ালা চার শাখা বিশিষ্ট একটি বৃক্ষ তৈরী করে এর নাম রাখলেন
‘শাজারাতুল ইয়াকীন’। অতঃপর নূরে হাবীবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে
শ্বেত মুতীর পর্দায় ময়ুররুপে গঠন করলেন এবং তা ঐ বৃক্ষে স্থাপন করলেন। অতঃপর
সেখানে ৭০ হাজার বছর পর্যন্ত নূরে হাবীবী ছল্লাল্লাহু
আলাইহি ওয়া সাল্লাম আল্লাহর তাসবীহ পাঠরত ছিলেন। অতঃপর আল্লাহ তায়ালা লজ্জার আয়না
সৃষ্টি করে তার সামনে রাখলেন। আর যখন ঐ আয়নায় ময়ুররুপী নূরে হাবীবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম স্বীয়
আকৃতিকে অত্যধিক সৌন্দর্যমন্ডিত দেখলেন, তখন তিনি আল্লাহর নিকট লজ্জিত হয়ে পাঁচবার সিজদা করলেন। আর এজন্যেই পরবর্তীতে
মেরাজ রজনীতে আল্লাহ তায়ালা নবী করীম ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার উম্মতের
জন্য পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ ফরজ করে দিলেন।”
আল্লাহ তায়ালা নূরে হাবীবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম থেকে সকল
নবী আলাইহিমুস সালাম উনাদের নূর সৃজন করে উনার প্রতি দৃষ্টি নিক্ষেপ করা মাত্র
নবীদের রুহ সৃষ্টি হয়ে সমস্বরে বলে উঠল-
لَا
اِلهَ اِلَّا اللهُ مُحَمَّدُ رَّسُوْلُ الله
লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু মুহাম্মাদুর
রাসুলুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ।
অনন্তর আল্লাহ পাক হুজুর পাক ছল্লাল্লাহু
আলাইহি ওয়া সাল্লামকে নামাযরত অবস্থায় লাল আকীক পাথরের একটি প্রদীপ বা ফানুসের
ভিতর বসিয়ে রাখেন। অতঃপর নবী আলাইহিমুস সালাম গণের রূহসমূহ নূরে হাবীবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে এক
লাখ বছর তাওয়াফ বা প্রদক্ষিণ করে আল্লাহর শুকরিয়া আদায় করেন। (দাকায়েকুল আখবার)
No comments