“আহমদ রেযা খাঁ-যার সম্মান গাঁথা-ওহাবী দুনিয়াদার দ্বারা”
~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
উম্মুল মু’মিনীন হযরত আয়েশা ছিদ্দীকা আলাইহাস সালাম সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খতামুন্ নাবিয়্যিন, নূরে মুজাসসাম, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর সাথে এক বাহনে চড়ে ছফর করছিলেন। এক পর্যায়ে বাহনের কোন এক ক্রটির কথা তিনি ব্যক্ত করলেন। আদর্শের পূর্ণতাদানকারী হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সাথে সাথে নেমে গেলেন। বললেন, যার ক্রটি উল্লেখ করা হবে তারই উপর আবার চড়া হবে এটা আদর্শ প্রসূত নয়।
অর্থাৎ কি-না যার বদনাম করা হবে বা অপছন্দনীয় বলে ঘোষণা করা হবে তার থেকেই আবার খিদমত নেয়া হবে বা কোন কিছু গ্রহণ করা হবে এটা নীতি প্রসূত নয়। মহান আল্লাহ পাক-এর আদতেও একই কথা।
পবিত্র হাদীছ শরীফ-এ এসেছে, মহান আল্লাহ পাক বলেন, “কোন কাফির যখন আমার কাছে দোয়া করে তখন আমি তাড়াতাড়ি তার দোয়া কবুল করি। (কাফিরকে আল্লাহ পাক নাপাক, অপছন্দনীয় ঘোষণা করেছেন তাই) কারণ তার ডাক আমার কাছে পছন্দনীয় নয়। তাই আমি চাইনা সে আমাকে বেশীক্ষণ ডাকুক। পক্ষান্তরে কোন মু’মিন যদি আমাকে ডাকে তখন আমি বিলম্বে তার দোয়া কবুল করি। কারণ তার ডাক আমার কাছে পছন্দনীয়। আমি চাই যে সে আমাকে বেশী বেশী ডাকুক।
মূলতঃ এ সূক্ষবিষয়টি কেবল যারা হক্কানী-রব্বানী ওলী আল্লাহ তাঁদের পক্ষেই বোঝা সম্ভব। বোঝা সম্ভব নয় কেবল ওলী আল্লাহ নামধারী মোটা বুদ্ধির অধিকারী রেযা খাঁনী গং দের।
তারা আশরাফ আলী থানভী, রশীদ আহমদ গাঙ্গুহী মওদুদী ইত্যাদি ব্যক্তিবর্গকে কাফির ফতওয়া দিয়ে আবার তাদের কথিত সেই কাফিরের সনদই তাদের রেযা খাঁর মর্যাদা বুলন্দ প্রকাশে জাহির করে। এ ছাড়া রেযা খাঁর বড়ত্ব জাহির করতে তারা আরো যেসব ব্যক্তিবর্গের ফিরিস্তি প্রকাশ করে তাদের অধিকাংশই ইদানিংকালের দাড়ি চাঁছা, ফাসিক-ফুজ্জার, দুনিয়াদার। সুতরাং এহেন ব্যক্তিবর্গ দ্বারা সে রেযা খাঁরই বুলন্দি প্রকাশ পেতে পারে যে রেযা খাঁ মূলতঃ তার কথিত কাফির বা দুনিয়াদারদের মত একই তবকায় সমাসীন
No comments