Header Ads

Islamic Quotes Urdu Facebook Cover. QuotesGram

নূর বিষয়ক হযরত জাবির রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনার থেকে বর্নিত হাদীসের মান সহীহ। সুবহানাল্লাহ!!!



হাদীছ শরীফ খানা হলঃ
ﺭﻭﻯ ﻋﺒﺪ ﺍﻟﺮﺯﺍﻕ ﺍﺑﻦ ﺍﻟـﻬﻤﺎﻡ ﺍﻟﺼﻨﻌﺎﻧﻰ ﺭﺣﻤﺔ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻠﻴﻪ ﺑﺴﻨﻩ ﻋﻦﻣﻌﻤﺮ ﺭﺣﻤﺔ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻠﻴﻪ ﻋﻦ ﺍﺑﻦ ﺍﻟـﻤﻨﻜﺪﺭ ﺭﺣﻤﺔ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻠﻴﻪ ﺪﻋﻦ ﺣﻀﺮﺕﺟﺎﺑﺮ ﺑﻦ ﻋﺒﺪ ﺍﻟﻠﻪ ﺍﻻﻧﺼﺎﺭﻯ ﺭﺿﻰ ﺍﻟﻠﻪ ﺗﻌﺎﻟﻰ ﻋﻨﻪ ﻗﺎﻝ : ﻗﻠﺖ : ﻳﺎﺭﺳﻮﻝ ﺍﻟﻠﻪ ﺻﻠﻰ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻠﻴﻪ ﻭﺳﻠﻢ ﺑﺎﺑﻰ ﺍﻧﺖ ﻭﺍﻣﻰ ﺍﺧﺒﺮﻧﻰ ﻋﻦ ﺍﻭﻝﺷﻰﺀ ﺧﻠﻘﻪ ﺍﻟﻠﻪ ﻗﺒﻞ ﺍﻻﺷﻴﺎﺀ؟ ﻗﺎﻝ : ﻳﺎ ﺟﺎﺑﺮ ﺭﺿﻰ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻨﻪ ﺍﻥ ﺍﻟﻠﻪﺧﻠﻖ ﻗﺒﻞ ﺍﻻﺷﻴﺎﺀ ﻧﻮﺭ ﻧﺒﻴﻚ ﻣﻦ ﻧﻮﺭﻩ، ﻓﺠﻌﻞ ﺫﻟﻚ ﺍﻟﻨﻮﺭ ﻳﺪﻭﺭﺑﺎﻟﻘﺪﺭﺓ ﺣﻴﺚ ﺷﺎﺀ ﺍﻟﻠﻪ ﺗﻌﺎﻟﻰ، ﻭﻟـﻢ ﻳﻜﻦ ﻓﻰ ﺫﻟﻚ ﺍﻟﻮﻗﺖ ﻟﻮﺡ ﻭﻻ ﻗﻠﻢﻭﻻ ﺟﻨﺔ ﻭﻻ ﻧﺎﺭ ﻭﻻ ﻣﻠﻚ ﻭﻻ ﺳﻤﺎﺀ ﻭﻻ ﺍﺭﺽ ﻭﻻ ﺷﻤﺲ ﻭﻻ ﻗﻤﺮ ﻭﻻﺟﻦ ﻭﻻ ﺍﻧﺲ، ﻓﻠﻤﺎ ﺍﺭﺍﺩ ﺍﻟﻠﻪ ﺍﻥ ﻳﺨﻠﻖ ﺍﻟـﺨﻠﻖ ﻗَﺴّﻢ ﺫﻟﻚ ﺍﻟﻨﻮﺭ ﺍﺭﺑﻌﺔﺍﺟﺰﺍﺀ : ﻓﺨﻠﻖ ﻣﻦ ﺍﻟﺠﺰﺀ ﺍﻻﻭﻝ ﺍﻟﻘﻠﻢ ﻭﻣﻦ ﺍﻟﺜﺎﻧﻲ ﺍﻟﻠﻮﺡ ﻭﻣﻦ ﺍﻟﺜﺎﻟﺚﺍﻟﻌﺮﺵ، ﺛﻢ ﻗﺴﻢ ﺍﻟﺠﺰﺀ ﺍﻟﺮﺍﺑﻊ ﺍﺭﺑﻌﺔ ﺍﺟﺰﺍﺀ : ﻓﺨﻠﻖ ﻣﻦ ﺍﻟﺠﺰﺀ ﺍﻻﻭﻝﺣﻤﻠﺔ ﺍﻟﻌﺮﺵ ﻭﻣﻦ ﺍﻟﺜﺎﻧﻰ ﺍﻟﻜﺮﺳﻰ ﻭﻣﻦ ﺍﻟﺜﺎﻟﺚ ﺑﺎﻗﻰ ﺍﻟـﻤﻼﺋﻜﺔ ﻋﻠﻴﻬﻢﺍﻟﺴﻼﻡ، ﺛﻢ ﻗﺴﻢ ﺍﻟﺠﺰﺀ ﺍﻟﺮﺍﺑﻊ ﺍﺭﺑﻌﺔ ﺍﺟﺰﺍﺀ : ﻓﺨﻠﻖ ﻣﻦ ﺍﻟﺠﺰﺀ ﺍﻻﻭﻝﺍﻟﺴﻤﻮﺍﺕ ﻭﻣﻦ ﺍﻟﺠﺰﺀ ﺍﻟﺜﺎﻧﻰ ﺍﻻﺭﺍﺿﻴﻦ ﻭﻣﻦ ﺍﻟﺜﺎﻟﺚ ﺍﻟﺠﻨﺔ ﻭﺍﻟﻨﺎﺭ، ﺛﻢﻗﺴﻢ ﺍﻟﺠﺰﺀ ﺍﻟﺮﺍﺑﻊ ﺍﻟﻰ ﺍﺭﺑﻌﺔ ﺍﺟﺰﺍﺀ : ﻓﺨﻠﻖ ﻣﻦ ﺍﻟﺠﺰﺀ ﺍﻻﻭﻝ ﻧﻮﺭﺍﺑﺼﺎﺭ ﺍﻟـﻤﺆﻣﻨﻴﻦ ﻭﻣﻦ ﺍﻟﺜﺎﻧﻰ ﻧﻮﺭ ﻗﻠﻮﺑﻬﻢ ﻭﻫﻰ ﺍﻟـﻤﻌﺮﻓﺔ ﺑﺎﻟﻠﻪ ﻭﻣﻦﺍﻟﺜﺎﻟﺚ ﻧﻮﺭ ﺍﻧﺴﻬﻢ ﻭﻫﻮ ﺍﻟﺘﻮﺣﻴﺪ ﻻ ﺍﻟﻪ ﺍﻻ ﺍﻟﻠﻪ ﻣﺤﻤﺪ ﺭﺳﻮﻝ ﺍﻟﻠﻪﺻﻠﻰ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻠﻴﻪ ﻭﺳﻠﻢ. ﺛﻢ ﻧﻈﺮ ﺍﻟﻴﻪ ﻓﺘﺮﺷﺢ ﺍﻟﻨﻮﺭ ﻋﺮﻗﺎً، ﻓﺘﻘﻄﺮﺕﻣﻨﻪ ﻣﺎﺋﺔ ﺍﻟﻒ ﻗﻄﺮﺓ ﻭﻋﺸﺮﻳﻦ ﺍﻟﻔﺎً ﻭﺍﺭﺑﻌﺔ ﺍﻻﻑ ﻗﻄﺮﺓ، ﻓﺨﻠﻖ ﺍﻟﻠﻪﻣﻦ ﻛﻞ ﻗﻄﺮﺓ ﺭﻭﺡ ﻧﺒﻰ ﻭ ﺭﺳﻮﻝ ﻋﻠﻴﻬﻢ ﺍﻟﺴﻼﻡ، ﺛﻢ ﺗﻨﻔﺴﺖ ﺍﺭﻭﺍﺡﺍﻻﻧﺒﻴﺎﺀ ﻋﻠﻴﻬﻢ ﺍﻟﺴﻼﻡ ﻓﺨﻠﻖ ﺍﻟﻠﻪ ﻣﻦ ﺍﻧﻔﺎﺳﻬﻢ ﺍﺭﻭﺍﺡ ﺍﻻﻭﻟﻴﺎﺀﻭﺍﻟﺴﻌﺪﺍﺀ ﻭﺍﻟﺸﻬﺪﺍﺀ ﻭﺍﻟـﻤﻄﻴﻌﻴﻦ ﻣﻦ ﺍﻟـﻤﺆﻣﻨﻴﻦ ﺭﺣﻤﺔ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻠﻴﻬﻢ ﺍﻟﻰﻳﻮﻡ ﺍﻟﻘﻴﺎﻣﺔ، ﻓﺎﻟﻌﺮﺵ ﻭﺍﻟﻜﺮﺳﻰ ﻣﻦ ﻧﻮﺭﻯ، ﻭﺍﻟﻜﺮﻭﺑﻴﻮﻥ ﻣﻦ ﻧﻮﺭﻯ،ﻭﺍﻟﺮﻭﺣﺎﻧﻴﻮﻥ ﻣﻦ ﻧﻮﺭﻯ، ﻭﺍﻟﺠﻨﺔ ﻭﻣﺎ ﻓﻴﻬﺎ ﻣﻦ ﺍﻟﻨﻌﻴﻢ ﻣﻦ ﻧﻮﺭﻯ،ﻭﺍﻟﺸﻤﺲ ﻭﺍﻟﻜﻮﺍﻛﺐ ﻣﻦ ﻧﻮﺭﻯ، ﻭﺍﻟﻌﻘﻞ ﻭﺍﻟﻌﻠﻢ ﻭﺍﻟﺘﻮﻓﻴﻖ ﻣﻦ ﻧﻮﺭﻯ،ﻭﺍﺭﻭﺍﺡ ﺍﻻﻧﺒﻴﺎﺀ ﻭﺍﻟﺮﺳﻞ ﻋﻠﻴﻬﻢ ﺍﻟﺴﻼﻡ ﻣﻦ ﻧﻮﺭﻯ، ﻭﺍﻟﺴﻌﺪﺍﺀﻭﺍﻟﺼﺎﻟﺤﻮﻥ ﻣﻦ ﻧﺘﺎﺋﺞ ﻧﻮﺭﻯ، ﺛﻢ ﺧﻠﻖ ﺍﻟﻠﻪ ﺣﻀﺮﺕ ﺍﺩﻡ ﻋﻠﻴﻪ ﺍﻟﺴﻼﻡﻣﻦ ﺍﻻﺭﺽ ﻭﺭﻛﺐ ﻓﻴﻪ ﺍﻟﻨﻮﺭ ﻭﻫﻮ ﺍﻟﺠﺰﺀ ﺍﻟﺮﺍﺑﻊ، ﺛﻢ ﺍﻧﺘﻘﻞ ﻣﻨﻪ ﺍﻟﻰﺣﻀﺮﺕ ﺷﻴﺚ ﻋﻠﻴﻪ ﺍﻟﺴﻼﻡ ﻭﻛﺎﻥ ﻳﻨﺘﻘﻞ ﻣﻦ ﻃﺎﻫﺮ ﺍﻟﻰ ﻃﻴﺐ ﺍﻟﻰ ﺍﻥﻭﺻﻞ ﺍﻟﻰ ﺻﻠﺐ ﺣﻀﺮﺕ ﻋﺒﺪ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻠﻴﻪ ﺍﻟﺴﻼﻡ ﻭﻣﻨﻪ ﺍﻟﻰ ﻭﺟﻪ ﺍﻣﻰﺣﻀﺮﺕ ﺍﻣﻨﺔ ﻋﻠﻴﻬﺎ ﺍﻟﺴﻼﻡ ﺛﻢ ﺍﺧﺮﺟﻨﻰ ﺍﻟﻰ ﺍﻟﺪﻧﻴﺎ ﻓﺠﻌﻠﻨﻰ ﺳﻴﺪﺍﻟـﻤﺮﺳﻠﻴﻦ ﻭﺧﺎﺗﻢ ﺍﻟﻨﺒﻴﻴﻦ ﻭﻗﺎﺋﺪ ﺍﻟﻐﺮ ﺍﻟـﻤﺤﺠﻠﻴﻦ ﺻﻠﻰ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻠﻴﻪﻭﺳﻠﻢ . ﻫﻜﺬﺍ ﺑﺪﺍ ﺧﻠﻖ ﻧﺒﻴﻚ ﻳﺎ ﺟﺎﺑﺮ ﺭﺿﻰ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻨﻪ. ﺣﺪﻳﺚ ﺻﺤﻴﺢ .
-হযরত ইমাম আব্দুর রজ্জাক রহমুতাল্লাহি আলাইহি তিনি সনদ সহকারে বর্ননা করেন যে, তিনি হযরত মুআম্মার রহমুতাল্লাহি আলাইহি উনার থেকে, তিনি হযরত মুনকাদার রহমুতাল্লাহির উনার থেকে, তিনি হযরত জাবির ইবনে আব্দুল্লাহ আনসারী রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনার থেকে বর্ননা করেছেন হযরত জাবির রদ্বিয়াল্লাহ তায়ালা আনহু তিনি বলেন, আমি আরজ করলাম ইয়া রাসুলুল্লাহ ছল্লল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম! আমার পিতা মাতা আপনার জন্য কুরবান হোক ,আমাকে জানিয়ে দিন যে, মহান আল্লাহপাক তিনি সর্বপ্রথম কোন জিনিস সৃষ্টি করেন?তিনি বললেন , হে জাবির রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু! মহান আল্লাহ পাক তিনি সব কিছুর পূর্বে আপনার যিনি নবী নুরে মুজাস্সাম হাবীবুল্লাহ হুজুর পাক ছল্লল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম উনার নুর মুবারক সৃষ্টি করেনঅর্থাৎ মহান আল্লাহ পাক উনার প্রথম সৃষ্টি হচেছন নুরে হাবীবি ছল্লল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম অত:পর সেই নুর মুবারক আল্লাহপাক উনার কুদরত মুবারকের মধ্যে অবস্থান করছিলেন আর সেই সময় লহ, কলম, বেহেস্ত, দোযখ, ফেরেস্তা, আসমান, যমীন,চন্দ্র, সুর্য, মানুষ ও জ্বিন কিছুই ছিলনা
অত:পর মহান আল্লাহপাক তিনি যখন মাখলুকাত সৃষ্টি করার ইচ্ছা করেন,তখন তিনি সম্মানিত সেই নুর মুবারক উনাকে চার ভাগ করেন উনার প্রথম ভাগ দ্বারা সম্মানিত কলম, দ্বিতীয় ভাগ দ্বারা সম্মানিত লাওহে মাহফুজ, তৃতীয় ভাগ দ্বারা সম্মানিত আরশে মুয়াল্লা সৃষ্টি করেন অত:পর চতুর্থ ভাগ উনাকে আবার চার ভাগ করেন, উনার প্রথম ভাগ দ্বারা সম্মানিত আরশ বহন কারী ফেরেস্তা আলাইহিমুস সালাম, দ্বিতীয় ভাগ দ্বারা সম্মানিত কুদসী, তৃতীয় ভাগ দ্বারা অন্যান্য হযরত ফেরেস্তা আলাইহিমুস সালাম উনাদের সৃষ্টি মুবারক করেন অত:পর চতুর্থ ভাগ উনাকে আবার চার ভাগ করেন উনার প্রথম ভাগ দ্বারা আসমান, দ্বিতীয় ভাগ দ্বারা যমিন, তৃতীয় ভাগ দ্বারা সম্মানিত বেহেস্ত ও দোযখ সৃষ্টি মুবারক করেন অত:পর চতুর্থ ভাগ উনাকে আবার চার ভাগ করেন উনার প্রথম ভাগ দ্বারা মুমিন বান্দাদের চোখের জ্যোতি, দ্বিতীয় ভাগ দ্বারা উনাদের ক্বলবের জ্যোতি, এটি মুলত মহান আল্লাহ পাক উনার মারিফাত, তৃতীয় ভাগ দ্বারা মুমিন উনসের নুর, অর্থাৎ তাওহীদ বা কালিমা শরীফ উনার নুর সৃষ্টি করেন
অত:পর তিনি ( সম্মানিত নুর মুবারক) উনার প্রতি দৃ্ষ্টি মুবারক দিলেন তখন ফোটা ফোটা নুর মুবারক বের হতে লাগল, এবং উনার থেকে এক লক্ষ চব্বিশ হাজার ফোটা বা বিন্দু মুবারক হলো অত:পর মহান আল্লাহ পাক তিনি উক্ত প্রত্যেক সম্মানিত নুর মুবারক উনার ফোটা থেকে হযরত নবী রসুল আলাইহিমুস সালাম উনাদের রূহ মুবারক সৃষ্টি মুবারক করেনঅত:পর হযরত আম্বীয়া আলাইহিমুস সালাম উনাদের সম্মানিত রূহ মুবারক শ্বাস মুবারক গ্রহণ করেন তারপর মহান আল্লাহপাক তিনি হযরত নবী রসুল আলাইহিমুস সালাম উনাদের শ্বাস মুবারক থেকে কিয়ামত পর্যন্ত মুমিনগন উনাদের মধ্যে যারা হযরত আউলিয়া, সৌভাগ্যশীল , শহীদ, এবং আনুগত্যশীল হবেন উনাদের প্রত্যেকের সম্মানিত রূহ মুবারক সৃস্টি করেন অত:পর আমার সম্মানিত নুর মুবারক থেকে সৃষ্টি করেন সম্মানিত আরশ এবং সম্মানিত কুদসী আমার সম্মানিত নুর মুবারক থেকে নৈকট্য প্রাপ্ত গন উনাদের কে ও সৃষ্টি করেন এবং পবিত্র আত্নার অধিকারীগন উনারা ও আমার সম্মানিত নুর মুবারক থেকে সৃষ্টি
সম্মানিত জান্নাত এবং উনার মধ্যে সমস্ত নিয়ামতও আমার সম্মানিত নুর মুবারক থেকে সৃষ্টি সুর্য ও তারকারাজি ও আমার সম্মানিত নুর মুবারক থেকে সৃষ্টি আকল ইলম এবং তৌফিক এসব ও আমার সম্মানিত নুর মুবারক থেকে সৃষ্টি হযরত নবী রসুল আলাইহিমুস সালাম উনাদের সম্মানিত রূহ মুবারক ও আমার সম্মানিত নুর মুবারক থেকে সৃষ্ট সকল সৌভাগ্য শীল ও সৎকর্মশীল উনারা আমার সম্মানিত নুর মুবারক উনার প্রতিফলনঅত:পর মহান আল্লাহপাক তিনি মাটি দ্বারা হযরত আদম আলাইহিস সালাম উনাকে সৃষ্টি করেনএবং উনার মধ্যে ( আমার) সম্মানিত নুর মুবারক সংযোজন করে দেন
আর উক্ত নুর মুবারক ই হচ্ছেন সম্মানিত চতুর্থ ভাগঅত:পর উক্ত সম্মানিত নুর মুবারক হযরত আদম আলাইহিস সালাম উনার থেকে হযরত শীশ আলাইহিস সালাম উনার মধ্যে স্থানান্তরিত হন অত:পর উক্ত সম্মানিত নুর মুবারক পবিত্র ও সম্মানিত ব্যাক্তিত্ব উনাদের মাধ্যমে স্থানান্তরিত হয়ে হযরত আব্দুল্লাহ জবিহুল্লাহ আলাইহিস সালাম উনার মধ্যে স্থানান্তরিত হন, তারপর উনার থেকে আমার সম্মানিতা আম্মাজান আলাইহাস সালাম উনার মধ্যে স্থানান্তরিত হনঅত:পর মহান আল্লাহ পাক আমার সম্মানিতা আম্মাজান আলাইহাস সালাম উনার মাধ্যমে আমাকে যমীনে প্রেরণ করেন অত:পর মহান আল্লাহ পাক তিনি আমাকে ভুষিত করেন সাইয়্যিুদুল মুরসালিন, খতামুন নাবিয়্যীন, এবং অতি উজ্জ্বল ব্যাক্তিত্ব উনাদের ক্বায়িদ হিসেবে এই হচ্ছে আপনার নবী, নুরে মুজাস্সাম হাবীবুল্লাহ হুজুর পাক ছল্লল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম উনার সৃষ্টি মুবারক উনার সুচনা বা উৎ হে জাবির রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু!
( মুসাননেফ ইবনে আব্দুর রজ্জাক, জান্নাতুল খুলদ লি আব্দির রযযাক, খছায়িছুল মুছতফা ছল্লল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বাইনাল গুলুওউই ওয়াল জাফা, তাবরিয়াতুয যিম্মাহ, মাদারিজুন নুবুওওয়াত, আফজালুল কুরা, মাতালিউল মাসাররাত, তারিখূল খামিছ, মাওয়াহিব লাদুন্নিয়া, শরহে যুরকানি আলাল মাওয়াহিব, ফতওয়ায়ে হাদিছিয়াহ, নুরে মুহম্মদী, মাকতুবাত শরীফ)

এখন হাদীছ শরীফের দুটি অংশ থাকে  যথাঃ মতন ও সনদ

আমরা সনদ সহ হাদীছ এবং সনদ ছাড়া মতন দুটোই সহীহ সেটা প্রমাণ করবো ইনশাআল্লাহ!

ক) সনদ ছাড়া মতন সহীহ তার প্রমাণঃ
হাদীছ শরীফ খানার মতন অর্থাৎ মূল হাদিছখানা নিয়ে কোন গ্রহণযোগ্য  মুহাক্ক্বিক মুদাক্ক্বিক  ইমাম-মুজতাহিদ কোন কথা বলেন নি। যদি হাদীছ খানা জাল হত, বানোয়াট হত উনারা উনাদের কিতাবে সেটা কেন বললেন না? আর জাল হলে কেনই বা নিলেন উনাদের কিতাবে দলিল হিসেবে? আর যদি নিয়ে থাকেন তাহলে নেয়ার পর কেন মতন নিয়ে কোন কথা তুল্লেন না?আর জাল হলে কি কোন ইমাম মুজতাহিদ দলিল হিসেবে নিতেন?

আসুন আমরা দেখি কোন কোন ইমাম –মুজতাহিদ রহমাতুল্লাহি আলাইহিম উনারা নিজেদের কিতাবে হাদীছখানা নিয়েছেন দলিল হিসেবে।

১।ইমাম আব্দুর রাযযাক রহমাতুল্লাহি আলাইহি উনার মুসনাদে আব্দুর রাযযাক কিতাবের ১/১৮ পৃঃ
২।ইমাম কাসতালানী রহমাতুল্লাহি আলাইহি উনার মাওয়াহিবুল লাদুন্নিয়া কিতাবের ১/৭১ পৃষ্ঠায়
৩।ইমাম জালালুদ্দীন আস সুয়ুতী রহমাতুল্লাহি আলাইহি উনার খছায়িছুল কুবরা কিতাবে
৪।আব্দুল হক্ব মুহাদ্দিস দেহলভী রহমাতুল্লাহি আলাইহি উনার মাদারিজুন নুবুয়াত কিতাবে , ২/২ তে
৫।ইমাম ইসমাইল ইবনে মুহম্মদ আজলুনি রহমাতুল্লাহি আলাইহি উনার কাশফুল খিফা কিতাবের ১/৩১১, ৮২৭ নং হাদিছে
৬।ইমাম হালাবী রহমাতুল্লাহি আলাইহি উনার সিরাতুল হালবিয়া কিতাবের ১/৫০ এ
৭।ইমাম নাবাহানী রহমাতুল্লাহি আলাইহি উনার জাওয়াহিরুল বিহার কিতাবের ৩/৩৫৪ তে
৮।ইমাম বায়হাক্বী রহমাতুল্লাহি আলাইহি উনার দালালিয়ুন নবুয়াত কিতাবের ১৩/৬৩ তে
৯। ইবনে হাজার হায়ছামী রহমাতুল্লাহি আলাইহি উনার আন নিয়ামাতুল কুবরা কিতাবের  ২ পৃঃ
১০।ইমাম মুজাদ্দিদে আলফে সানী রহমাতুল্লাহি আলাইহি উনার মাক্তুবাত শরীফে ৩ খন্ড ১০০নং মকতুবে
১১।মাওলানা কারামত আলী জৈনপুরী রহমাতুল্লাহি আলাইহি উনার নূরে মুহম্মদী ৪৭ পৃঃ তে
১২। ইমাম সাইয়্যিদ মাহমুদ আলুসী রহমাতুল্লাহি আলাইহি উনার তাফসীরে রুহুল মায়ানী ১৭/১০৫ পৃঃ
আরো কিতাবের দলিলঃ
১৩। হাদ্বীকায়ে নদীয়া /৩৭৫ , ১৪। দাইলামী শরীফ /১৯১ , ১৫। যুরকানী /৪৬ , ১৬মাতালেউল মাসাররাত ২৬৫ পৃ , ১৭ফতোয়ায়ে হাদীসিয়া ১৮৯ পৃ, ১৮ ইনছানুল উয়ুন /২৯ , ১৯। আল আনোয়ার ফি মাওলিদিন নবী পৃ ,  ২০ আফদ্বালুল ক্বোরা , ২১।তারীখুল খমীস /২০ , ২২।নুজহাতুল মাজালিস খন্ড  , ২৪। দুররুল মুনাজ্জাম ৩২ পৃ  , ২৫। তারিখ আননূর /৮ , ২৬।আনোয়ারে মুহম্মদীয়া /৭৮ ,২৭।আল মাওয়ারিদে রাবী ফী মাওলীদিন নবী ৪০ পৃষ্ঠা , ২৮। তাওয়ারীখে মুহম্মদ , ২৯ মজমুয়ায়ে ফতোয়া /২৬০ ৩০। আপকা মাসায়েল আওর উনকা হাল /৮৩  ৩১। শিহাবুছ ছাকিব ৫০ , ৩২। মুনছিবে ইছমত ১৬ পৃ , ৩৩ রেসালায়ে নূর পৃ ,৩৪ আনফাসে রহীমিয়া ,৩৫। মা' য়ারিফে মুহম্মদী, ৩৬। হাদীয়াতুল মাহদী ৫৬পৃ ,  ৩৭ মওজুয়াতুল কবীর ৮৩ পৃ


এমনকি দেওবন্দীদের মুরব্বীদের কিতাবেও আছে-
১। আশরাফ আলী থানবীর নশরুত তীব কিতাবের ১/১৩
২। আযীযুল হক্ব দেওবন্দীর অনুবাদকৃত বুখারী শরীফ ৫/৩

অনেক বাত্বিল ফির্কার লোকেরা দাবী করে থাকে যে হাদীছ শরীফখানার সনদ নাকি নাই নাউযুবিল্লাহ। ত‌র্কের খা‌তি‌রে য‌দি ধ‌রেও নেই উক্ত প‌বিত্র হাদীছ শরীফ উনার সনদ ছহীহ নয় , তারপরও উছুল অনুযায়ী প‌বিত্র হাদীছ শরীফখানা ছহীহ। কারণ কো‌ন প‌বিত্র হাদীছ য‌দি সনদগতভা‌বে ছহীহ নাও হয় , কিন্তু উলামা‌য়ে কিরামগন য‌দি গ্রহন ক‌রেন ত‌বে ছহীহ ব‌লে সাব্যস্ত হ‌বে এ বিষ‌য়ে আ‌লোচনা কর‌তে গি‌য়ে বিখ্যাত আ‌লি‌মে দ্বীন হযরত খতীব বাগদাদী রহমতুল্লাহি আলাই‌হি ক‌য়েকটা প‌বিত্র হাদীস শরীফ উ‌ল্লেখ ক‌রেন যা সনদগতভা‌বে দুর্বল কিন্তু সকল আ‌লিম এই পবিত্র হাদীস শরীফ গুলো আমল ক‌রে আস‌ছেন আর তি‌নি তাই ব‌লেন , , , ,
لما احتجوا به جميعا غنوا عن صلب الا سناد له

অর্থঃ আম‌লের মাধ্য‌মে যুগযুগ ধ‌রে এগু‌লো ছহীহ হিসে‌বে অনুসরণ ক‌রে একথার প্রমাণ ক‌রে‌ছেন যে , এগু‌লোর সনদ তালাশ করার প্র‌য়োজন নেই (আল ফক্বীহ ওয়াল মুতাফাক‌কিহ ১\৪৭১, ইবনুল কাই‌য়্যিম এর ই'লামু মুওয়াকুকঈন ১\৪৭১)

বিখ্যাত মুহা‌দ্দিছ হযরত জালালুদ্দীন সূয়ূ‌তি রহমতুল্লা‌হি আলাই‌হি এ বিষ‌য়ে ব‌লেন –
حيكم للحديث با لصحة اذا تلقاه الناس با لقبو ل وان لم يكن له اسناد صحيح

অর্থঃ কোন হাদীছ শরীফ উনার প‌বিত্র ছহীহ সনদ না পাওয়া গে‌লেও য‌দি সক‌লের আম‌লের মাধ্য‌মে হাদীছ শরীফ উনারে বক্তব্য অনুসৃত হয় তাহ‌লে সে হাদীছ শরীফখানা সহীহ ব‌লে গন্য হ‌বে। (তাদরীবুর রাবী ১/৬৬)

হাফীজুল হাদীছ,বুখারী শরীফ উনার অন্যতম ব্যাখাকারক হযরত ইব‌নে হাযার আসক্বালানী রহমতুল্লা‌হি আলাই‌হি তি‌নি ব‌লেন , "‌যে বৈ‌শিষ্ট্যের কার‌ণে হাদীছ শরীফ গ্রহন‌যোগ্য ব‌লে বি‌বে‌চিত হয় তার ম‌ধ্যে এক‌টি হ‌লো কোন হাদীছ শরী‌ফেরে বক্তব্য অনুযায়ী আমল করার ব্যাপা‌রে সকল আ‌লিম। ঐকবদ্ধ হওয়া। তাহ‌লে সে হাদীছ শরীফ‌টি গ্রহন‌যোগ্য ও তার বক্তব্য অনুযায়ী আমল করা আবশ্যক হ‌য়ে প‌ড়ে উছূ‌লে হাদীছ শরীফ উনার অ‌নেক ইমাম এই নীতি সুস্পষ্ট বণর্না ক‌রেন এর এক‌টি উদাহারণ হ‌চ্ছে হযরেত ইমাম শা‌য়িয়ী রহমতুল্লা‌হি আলাইহি উনার বক্তব্য , "‌কোন পা‌নির য‌দি স্বাদ ,গন্ধ, রং প‌রিবর্তন হ‌য়ে যায় তাহ‌লে তা ব্যবহার যোগ্য নয়। '' এ প‌বিত্র হাদীছ শরীফখানা উনার সনদ কে য‌দিও হাদীছ,শরীফ বিশারদগন ছহীহ ম‌নে ক‌রেন না , তথা‌পি এটাই সক‌লের বক্তব্য ,এ ব্যাপা‌রে কা‌রো দ্বিমত নেই। "ওয়া‌রিছ‌দের জন্য অ‌ছিয়ত প্র‌যোজ্য নয় " এ প‌বিত্র হাদীছ শরীফ খানাও উলামা‌য়ে কিরামগন (সনদগতভা‌বে) প্রমা‌ণিত ম‌নে ক‌রেন না , কিন্তু সক‌লের আম‌লের মাধ্য‌মে এ‌টি অনুসৃত হয়ে‌ছে (তাউযীহুল আফকার ১/২৫৭, সহীহ ইব‌নে খুযায়মা :হাদীছ শরীফ ১৬৪৩)

সুতরাং বা‌হ্যিকভা‌বে য‌দিও কোন হাদীছ শরীফ উনার সনদ ছহীহ ব‌লে ম‌নে না হলেও য‌দি সে হাদীছ শরীফখানা উলামা‌য়ে কিরামগন গ্রহন ক‌রেন ,তাহ‌লে উক্ত হাদীছ শরীফখানা ছহীহ হ‌য়ে যায় হযরত জাবির রদ্বিয়াল্লাহু আনহু  উনার হাদীছ শরীফখানাও তেম‌নি এক‌টি হাদীছ শরীফ। উক্ত হাদীছ শরীফখানা সকল মুহা‌দ্দিছগন গ্রহন ক‌রে‌ছেন এবং স্ব স্ব কিতা‌বে বর্ণনা ক‌রে‌ছেন।

এখা‌নে মূল বিষয় হ‌চ্ছে কোন ইমাম হাদীছ শরীফ উনার সনদ নি‌য়ে কথা বল‌ছেন কিন্তু মতন নি‌য়ে কা‌রো কোন আপ‌ত্তি নাই এই হাদীছ শরীফ উনার মতন নি‌য়ে কেউ আপ‌ত্তি কর‌ছেন এমন দলীল কেউ কেয়ামত পর্যন্ত দেখা‌তে পার‌বেন না আর উক্ত হাদীছ শরীফ উনার ব্যাপা‌রে‌ কেউ কোন বিরুপ মন্তব্যও ক‌রেন নি
সুতরাং উসুলের ভিত্তিতে প্রমাণ হল যে হাদীছ খানা সহীহ। এখন কেও যদি জাল প্রমাণ করতে চায় তাহলে তাকে আমার দেয়া ইমাম মুজাতাহিদের উনাদের চেয়ে শক্তিশালী ও  গ্রহণযোগ্য দলিল পেশ করে আমার দেয়া দলিল খন্ডাতে হবে।

কোন বিতর্কিত লোক দলিল না। যেমন, আল্বানী , ইবনে তাইমিয়া , ইবনুল কায়্যিম , ইবনে গুমারী , বায এসকল সৌদি ওহাবীরা দলিল নয়।

খ) সনদ সহ হাদীস সহীহ তার প্রমাণ/ রাবী ছিকাহ তার প্রমাণঃ
হাদীসের সনদটি নিম্নরূপ :

হুজুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম
 
জাবির বিন আব্দুল্লাহ রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু
মুহম্মদ বিন মুঙ্কদার রাহমাতুল্লাহি আলাইহি
মা'মার বিন রাশীদ রহমাতুল্লাহি আলাইহি
আব্দুর রাজ্জাক রাহমাতুল্লাহি আলাইহি। সুবহানাল্লাহ্ !!!  

এবার দেখা যাক বর্নিত হাদীস শরীফ উনার রাবীদের সম্পর্কে মুহাদ্দীগণের মন্তব্য : 

হাফিজে হাদীস,তাবে তাবেয়ীন ইমাম আব্দুর রাজ্জাক রহমাতুল্লাহি আলাইহি :

 
আহমাদ ইবন সালীহ রহমাতুল্লাহি আলাইহি বলেন, "আমি একবার আহমাদ বিন হাম্বল রহমাতুল্লাহি আলাইহি উনকে জিজ্ঞাসা করলাম, আপনি হাদীস শাস্ত্রে আব্দুর রাজ্জাক রহমতুল্লাহি আলাইহি থেকে নির্ভরযোগ্য আর কাউকে পেয়েছেন? আহমাদ বিন হাম্বল রহমাতুল্লাহি আলাইহি বলেন, না"
দলীল-
তাহজিবুত তাহজিব লি হাফিয ইবনে হাজর আসক্বলানী ২/৩৩১


ইয়াহিয়াহ বিন মাইন রহমাতুল্লাহি আলাইহি বলেন,যদি ইমাম আব্দুর রাযযাক রহমাতুল্লাহি আলাইহি মুরতাদ ও হন(মাআজাল্লাহ) তবুও উনার থেকে হাদীস নেয়া বাদ দেওয়া যাবে না (মানে নিতেই হবে)
তাহজিবুত তাহজিব ৬/৩১৪
মিজানুল ইতিদাল ২/৬১২
তাহজিবুত তাহজিব লি হাফিয ইবনে হাজর আসক্বলানী,৩৫৪


ইমাম আবু যারদাহ রহমাতুল্লাহি আলাইহি বলেন,ইমাম আব্দুর রাযযাক রহ্মাতুল্লাহি আলাইহি নির্ভরযোগ্য।
তাহজিবুত তাহজিব লি হাফিয ইবনে হাজর আসক্বলানী,৬/৩১১    

২।হাদীস শরীফ উনার অপর রাবী মা'মার বিন রাশীদ রহমাতুল্লাহি আলাইহি :  

উনার সম্পর্কে আহমাদ বিন হাম্বল রহমতুল্লাহি আলাইহি বলেন, আমি বসরার সকল হাদীস শাস্ত্রের বিশেষজ্ঞের থেকে মুসান্নাফ আব্দুর রাজ্জাকে মা'মার বিন রাশীদ এর সূত্রে পাওয়া হাদীসগুলো পছন্দ করি। ইবন হাজর আসকলানী রহমাতুল্লাহি আলাইহি উনাকে প্রখর স্বরনশক্তি সম্পন্নএবং নির্ভরযোগ্য বলেন।
দলীল-
তাহজিবুত তাহজিব ১/৫০৫
আসমাউর রেজাল।  
উক্ত মা'মার বিন রাশীদ রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার সূত্রে বর্ণিত বুখারী শারীফের হাদীস সংখ্যা প্রায় ২২৫ এবং মুসলিম শারীফে বর্ণিত হাদীস সংখ্যা প্রায় ৩০০ টি।সুবহানাল্লাহ্ ! 


 ইমাম ইবনে সাদ বলেছেন, মা'মার বিন রাশীদ রহমতুল্লাহি আলাইহি ইমাম হাসান বসরী রহমাতুল্লাহি আলাইহি উনার জানাজায় সামিল ছিলেন।আর উনার সম্মপর্কে ইমাম আব্দুল্লাহ বিন মুবারক ও ইমাম আব্দুর রাযযাক রহমাতুল্লাহি আলাইহিম বলেন,তিনি ফক্বীহ,মুত্তাকি ও হাফিয ছিলেন।   (থিক্বাত, ৭ম খন্ড,রাবী নাং ১১০৭০)


৩।মুহম্মদ বিন মুঙ্কাদার রহমাতুল্লাহি আলাইহিঃ 

ইমাম হুমায়দি রহমতুল্লাহি আলাইহি বলেন, মুনকদার রহমতুল্লাহি আলাইহি একজন হাফিজ,ইমাম জারাহ তাদীলের ইমাম ইবন মা'ঈন রহমাতুল্লাহি আলাইহি বলেন, উনি নির্ভরযোগ্য।


দলীল-
তাহজিবুত তাহজিব ০৯/১১০৪৮
আসমাউর রেজাল   
হযরত মুনকদার রহমাতুল্লাহি আলাইহি থেকে বর্ণিত হাদীসের সংখ্যা বুখারী শারীফে ৩০টি এবং মুসলিম শারীফে ২২টি।সুবহানাল্লাহ্ !!    

আর মূল বর্ননাকারী হলেন হযরত জাবির রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু একজন সুপ্রসিদ্ধ সাহাবী। বুখারী ও মুসলিম শারীফের উনার থেকে বর্ণিত অনেক হাদীস আছে। সুতরাং বুঝা গেল। হাদীসটির সকল রাবীই নির্ভরযোগ্য এবং উনাদের সূত্রে বুখারী ও মুসলিম শারীফেও হাদীস বর্ণিত আছে। সুতরাং বলা যায়, ইমাম বুখারী ও মুসলিম রহমাতুল্লাহি আলাইহিম উভয়ের হাদীস শর্তানুসারে হাদীসটি সহীহ।সুবহানাল্লাহ্ !!
যাইহোক, উপরোক্ত আলোচনা থেকে দিবালোকের মত প্রমান হলো,আল্লাহ পাক সর্বপ্রথম হুজুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার নূর মুবারক সৃষ্টি করেছেন। এবং সেই নূর মুবারক থেকে সবকিছু সৃষ্টি করেন।
এটাই হলো আহলে সুন্নত ওয়াল জামায়াতের আক্বীদা, এবং এর বিপরীতআক্বীদা পোষন করা কুফরী।
আল্লাহ পাক আমাদের সত্য বোঝার তৌফিক দান করুন। আমীন !!

No comments

ডাল একটি বরকতময় পবিত্র খাদ্য।

  ডাল একটি বরকতময় পবিত্র খাদ্য। ডাল খাওয়ার ফলে কলব প্রসারিত হয় এবং চোখের দৃষ্টি শক্তি বৃদ্ধি পায়। পূর্ববর্তী হযরত নবী-রসুল আলাইহিমুস সালাম উ...

Powered by Blogger.