Header Ads

Islamic Quotes Urdu Facebook Cover. QuotesGram

পবিত্র কুরবানীর টাকা কুরবানী না দিয়ে ‘দান’ করার কথা বলা জিহালতী।



পবিত্র কুরবানী উনার টাকা অন্য কোনো খাতে দেয়া যাবে না। কারণ পবিত্র কুরবানী করার জন্য যে বরাদ্দ করা হয় তা অন্য সব খাতে ব্যয় করার চাইতে মহান আল্লাহ পাক উনার কাছে প্রিয়। এ বিষয়ে পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার বর্ণিত আছে,
عَنْ حَضْرَتْ اِبْنِ عَبَّسٍ رَضِىَ اللهُ تَعَالٰى عَنْهُ قَالَ قَالَ رَسُوْلُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مَااُنْفِقَتِ الْوَرِقُ فِىْ شَىْءٍ اَحَبَّ اِلَى اللهِ مِنْ نَحْرٍ يُنْحَرُ فِىْ يَوْمِ عِيْدٍ.
অর্থ: “হযরত ইবনে আব্বাস রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনার থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, ঈদের দিন কুরবানী করার খাতে যে ব্যয় করা হয়, মহান আল্লাহ পাক উনার নিকট এ অর্থ ব্যয়ের চেয়ে প্রিয় কোনো খাত নেই।” (সুনানে দারু কুতনী ৫/৫০৮ : হাদীছ ৪৭৫২, বায়হাকী কুবরা ১৯৪৮৭, আত্-তারগীব ওয়াত্-তারহীব : ২য় খ- : কিতাবুল ঈদাইনে ওয়াল উদ্বহিয়াহ : হাদীছ শরীফ নং ১৬৬৫; ত্ববারানী মুজামুল কবীর ৯/২৩১: হাদীছ ১০৭৩৫, মাযমাউয যাওয়ায়েদ ওয়া মানবাউল ফাওয়ায়েদ ৫৯৩৮, জামেউল আহাদীছ ১৯৮৭৩, কানযুল উম্মাল ১২১৫৫, জামেউ জাওয়ামে, তাফসীরে ইবনে কাছীর ৫/৪২৬, শুয়াবুল ঈমান লিল বায়হাক্বী ৬৯৫৩)
সুতরাং কুরবানীর জন্য যা বরাদ্দ করা হয়েছে বা নিয়ত করা হয়েছে তা দিয়ে কুরবানীই করতে হবে। যদি বন্যার্ত বা অন্য কোনো অসহায়কে দান করতে হয়, তবে অন্য আরো যে টাকা আছে সেখান থেকে করতে হবে।
অন্য একটি পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে বর্ণিত আছে,
عَنْ حَضْرَتْ مِـخْنَفِ بْنِ سُلَيْمٍ رَضِىَ اللهُ تَعَالٰى عَنْهُ قَالَ كُنَّا وُقْوْفًا مَعَ رَسُوْلِ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِعَرَفَةَ فَسَمِعْتُهُ يَقُوْلُ يَا اَيُّهَا النَّاسُ اِنَّ عَلٰى كُلّ اَهْلِ بَيْتٍ فِىْ كُلّ عَامٍ اُضْحِيَّةُ.
অর্থ: “হযরত মিখনাফ ইবনে সুলাইম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনার থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমরা পবিত্র বিদায় হজ্জ মুবারক-এ সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সাথে পবিত্র আরাফা ময়দানে ছিলাম। এমতাবস্থায় সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে ইরশাদ মুবারক করতে শুনলাম, হে লোক সকল! প্রত্যেক পরিবারের পক্ষে প্রত্যেক বছরই একটি করে পবিত্র কুরবানী রয়েছে।” (তিরমিযী শরীফ ৪/৯৯: হাদীছ শরীফ ১৫১৮, সুনানে ইবনে মাজাহ ৩১২২,  সুনানে কুবরা বায়হাকী ১৯৮২৪, ফতহুল বারী ৯/৫৯৭, মিশকাত শরীফ)
উক্ত পবিত্র হাদীছ শরীফ থেকে প্রমাণ হলো, প্রত্যেক পরিবারের পক্ষে ছহিবে নিছাব বা সচ্ছ্বল কেউ হলেই তাকে কুরবানী করতে হবে। এটাই পবিত্র হাদীছ শরীফ দ্বারা উম্মতের জন্য আদেশ মুবারক। আদেশ মুবারক অনুযায়ী আমল করা ফরয ওয়াজিব উনার অন্তর্ভুক্ত। পক্ষান্তরে আদেশ মুবারকের মধ্যে নিজের মত পেশ করা কুফরী। সূতরাং ওয়াজিব কুরবানীর জন্য বরাদ্দকৃত টাকা কুরবানীতেই ব্যয় করতে হবে। ত্রাণ বা বন্যার্তদের সাহায্যে কুরবানীর টাকা দেয়া যাবে না। বন্যার্তদের যদি সাহায্য করতেই হয়, তবে অন্য যে খাতে সঞ্চিত টাকা আছে সেখান থেকে দিতে হবে।

No comments

ডাল একটি বরকতময় পবিত্র খাদ্য।

  ডাল একটি বরকতময় পবিত্র খাদ্য। ডাল খাওয়ার ফলে কলব প্রসারিত হয় এবং চোখের দৃষ্টি শক্তি বৃদ্ধি পায়। পূর্ববর্তী হযরত নবী-রসুল আলাইহিমুস সালাম উ...

Powered by Blogger.