ওলীআল্লাহগণ উনারা ব্যতীত প্রতিটা মানুষই ইবলিসের ধোঁকার মধ্যেই নিমজ্জিত

➖➖➖➖➖➖➖➖➖➖➖
বর্ণিত রয়েছে, হযরত ইমাম ফখরুদ্দীন রাযী
রহমতুল্লাহি আলাইহি; যিনি উনার যামানার বিখ্যাত
আলিম ও মানতিকের ইমাম ছিলেন। তিনি জানতেন যে,
ইবলিস মানুষের
ইন্তিকালের সময় এসে ধোঁকা দেয় এবং আমার ইন্তিকালের সময়ও সে আসবে ধোঁকা দেয়ার জন্য
এবং আমি যতবড় আলিম হই না কেন, ইবলিসের সাথে বাহাছ (তর্ক)
করে আমি পারবো না, তিনি এটাও ফিকির করলেন।
তারপরও তিনি যেহেতু আলিম সে হিসেবে তিনি একশ থেকে এক হাজার দলীল প্রস্তুত রাখলেন যেন
ইবলিসের সাথে বাহাছ করা যায়। এরই মধ্যে হযরত ফখরুদ্দীন রাযী রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি
একজন হক্কানী-রব্বানী শায়েখ উনার সন্ধান পেলেন তিনি বাইয়াত হলেন।
অবস্থানগত দূরত্ব অনেক বেশি হওয়ায় তিনি একবারে বিদায় নিলেন এবং সম্মানিত শায়েখ
উনার নিকট দোয়া চাইলেন যেন ঈমানের সহিত ইন্তিকাল করতে পারেন। উনার শায়েখ বলে দিলেন, যখন ইন্তিকালের সময় হবে, ইবলিস আসবে ধোঁকা দেয়ার জন্য, তখন আমার কথা স্মরণ করো।
তিনি দোয়া নিয়ে চলে যাওয়ার পর উনার ইন্তিকালের সময় সত্যিই ইবলিস আসলো। এসেই ধোঁকা
দেয়া শুরু করলো। সে বললো, মহান আল্লাহ পাক তিনি
একজন নয়, দুইজন। আমিও আল্লাহ। তিনি বললেন, না মহান আল্লাহ পাক তিনি একক। তিনি দলীল দেয়া শুরু করলেন আর
ইবলিস একটার পর একটা দলীল খন্ডাতে লাগলো। এক পর্যায়ে উনার এক হাজার দলীল প্রায় শেষ; এখন ইবলিসকে খোদা হিসেবে মেনে নেয়ার পালা। এমন সময় উনার মনে
পড়লো শায়েখ উনার নির্দেশ। তিনি শায়েখ উনার কথা স্মরণ করতে লাগলেন। ঐ সময় উনার শায়েখ
ওযূ করতে ছিলেন আর কাশফের মাধ্যমে মুরীদের নিরূপায় অবস্থা দেখতে ছিলেন। মুরীদ ইবলিসের
কাছে তর্কে হেরে যাওয়ার আগেই তিনি ওযূর পানি ছুঁড়ে দিয়ে বললেন, হে ফখরুদ্দীন! তুমি বলে দাও বিনা দলীলে মহান আল্লাহ পাক তিনি
এক।’ সেই পানির ছিটা ও কথা মুবারক পৌঁছার পর ইবলিস ভয়ে পালিয়ে গেল। যাওয়ার সময় বলে
গেলো- হে ফখরুদ্দীন! তোমার মতো অনেক বড় বড় আলিমদেরকে আমি বেঈমান বানিয়ে ছেড়েছি। কিন্তু
আজ তুমি তোমার শায়েখ উনার কারণে বেঁচে গেলে।
No comments