উম্মুল মু’মিনীন সাইয়্যিদাতুনা হযরত আল ‘আশিরহ্ আলাইহাস সালাম তিনি সমস্ত উত্তম ছিফত মুবারক উনাদের মালিকাহ
হযরত ইমাম ইবনে আব্দুল বার রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি বলেন,
كَانَتْ
صَفِيَّةُ حَلِيمَةً عاقلة فاضلة.
অর্থ: “উম্মুল মু’মিনীন সাইয়্যিদাতুনা হযরত আল ‘আশিরহ্ আলাইহাস সালাম তিনি ছিলেন
অত্যন্ত ধৈর্যশীলা, অত্যাধিক বুদ্ধিমতী এবং
বেমেছাল মর্যাদাবান।” সুবহানাল্লাহ! (আল ইছাবাহ, ইস্তী‘য়াব)
কিতাবে আরো বর্ণিত রয়েছে,
وكانت صفيَّةُ
ذاتَ حِلمٍ ووَقارٍ.
অর্থ: “উম্মুল মু‘মিনীন সাইয়্যিদাতুনা হযরত আল ‘আশিরাহ্ আলাইহাস সালাম তিনি অত্যন্ত
ধৈর্যশীলা এবং বেমেছাল গাম্ভির্যপূর্ণ,
মর্যদা সম্পন্না, সম্মানিতা ও সহনশীলতার অধিকারিনী ছিলেন। সুবহানাল্লাহ! (ফাদ্বলু
আহলিল বাইত)
কিতাবে আরো বর্ণিত রয়েছে,
وكانت شريفةً
عاقلةً ذاتَ حَسَبٍ وجمال ودِينٍ
অর্থ: “উম্মুল মু‘মিনীন সাইয়্যিদাতুনা হযরত আল ‘আশিরাহ্ আলাইহাস সালাম তিনি অত্যন্ত
সম্মানিত শরফত মুবারক উনার অধিকারিণী ছিলেন,
বেমেছাল
‘আক্বলমান্দ ছিলেন, সম্মানিত বংশ মর্যাদা
সম্পন্না ছিলেন, অত্যন্ত সম্মানিত সৌন্দর্য
মুবারক উনার অধিকারিণী ছিলেন এবং সম্মানিত দ্বীনদারী, পরহেযগারীতায় তিনি ছিলেন অনন্যা। সুবহানাল্লাহ! (ফাদ্বলু আহলিল
বাইত)
কিতাবে আরো বর্ণিত রয়েছে,
كانت من سيدات
النساء عبادة وورعاً وزهادة وبراً وصدقة.
অর্থ: “উম্মুল মু‘মিনী সাইয়্যিদাতুনা হযরত আল ‘আশিরাহ্ আলাইহাস সালাম তিনি সম্মানিত
ইবাদত-বন্দেগী মুবারক উনার দিক থেকে, সম্মানিত তাক্বওয়া-পরহেযগারীর
দিক থেকে, দুনিয়া থেকে বিমূখ হওয়ার দিক থেকে, সততা ও ইনসাফগারীতার দিক থেকে এবং দান খায়রাত করার বিষয়ে সমস্ত
মহিলাদের থেকে সর্বশ্রেষ্ঠা ছিলেন।” সুবহানাল্লাহ!
কিতাবে বর্ণিত রয়েছে,
ان جَارِيَةً
لَهَا أَتَتْ عُمَرَ بْنَ الْخَطَّابِ فَقَالَتْ إِنَّ صَفِيَّةَ تُحِبُّ
السَّبْتَ وَتَصِلُ الْيَهُودَ فَبَعَثَ إِلَيْهَا عُمَرُ فَسَأَلَهَا فَقَالَتْ
أَمَّا السَّبْتُ فَإِنِّي لَمْ أُحِبَّهُ مُنْذُ أَبْدَلَنِي اللَّهُ بِهِ يَوْمَ
الْجُمُعَةِ وَأَمَّا الْيَهُودُ فَإِنّ لِي فِيهِمْ رَحِمًا وَأَنَا أَصِلُهَا
ثُمَّ قَالَتْ لِلْجَارِيَةِ مَا حَمَلَكِ عَلَى مَا صَنَعْتِ قَالَتِ
الشَّيْطَانُ قَالَتِ اذْهَبِي فَأَنْتِ حُرَّةٌ.
অর্থ: “উম্মুল মু’মিনীন সাইয়্যিদাতুনা হযরত আল ‘আশিরহ্ আলাইহাস সালাম উনার একটা
দাসী ছিলো। সে একবার আমীরুল মু’মিনীন সাইয়্যিদুনা হযরত ফারূক্বে আ’যম আলাইহিস সালাম
উনার নিকট এসে উম্মুল মু’মিনীন সাইয়্যিদাতুনা হযরত আল ‘আশিরহ্ আলাইহাস সালাম উনার ব্যাপারে
বললো যে, নিশ্চয়ই উম্মুল মু’মিনীন সাইয়্যিদাতুনা
হযরত আল ‘আশিরহ্ আলাইহাস সালাম তিনি সাবত তথা শনিবারকে মুহব্বত করেন এবং ইহুদীদের সাথে
সম্পর্ক রাখেন। না‘ঊযুবিল্লাহ! না‘ঊযুবিল্লাহ! না‘ঊযুবিল্লাহ! সাইয়্যিদুনা হযরত ফারূক্বে
আ’যম আলাইহিস সালাম তিনি এই বিষয়ে লোক মারফত উনার কাছ থেকে জানতে চাইলেন। তখন উম্মুল
মু’মিনীন সাইয়্যিদাতুনা হযরত আল ‘আশিরহ্ আলাইহাস সালাম তিনি বললেন, যেদিন থেকে মহান আল্লাহ পাক তিনি আমাকে সম্মানিত ও পবিত্র জুমু‘য়াহ
শরীফ উনার দ্বারা সাব্ত তথা শনিবারকে পরিবর্তন করে দিয়েছেন তথা যেদিন থেকে আমি সম্মানিত
ও পবিত্র দ্বীন ইসলাম গ্রহণ করেছি, সেদিন থেকে আমি সাবত তথা
শনিবারকে মুহব্বত করি না। আর ইহুদীদের সঙ্গে যেহেতু আমার আত্মীয়তার সম্পর্ক ছিলো, তাই তাদেরকে হিদায়াত দানের লক্ষ্যে আমি তাদের খোজ-খবর নিয়ে থাকি।
তারপর তিনি দাসীকে জিজ্ঞেস করেন, কে তোমাকে এ ব্যাপারে
উদ্বুদ্ধ করেছে? সে বললো, শয়তান। এটা শুনে উম্মুল মু’মিনীন সাইয়্যিদাতুনা হযরত আল ‘আশিরহ্
আলাইহাস সালাম তিনি উনার দাসীকে বললেন,
তুমি চলে
যাও। তুমি মুক্ত। (আমি তোমাকে আযাদ করে দিলাম।)” সুবহানাল্লাহ! (আল ইছাবাহ, ইস্তী‘য়াব)
No comments