Header Ads

Islamic Quotes Urdu Facebook Cover. QuotesGram

সবার ফতোয়া দেয়া বা সবার কাছ থেকে ফতোয়া নেয়াও জায়িয নাই


Image may contain: text
সব প্রশ্নে উত্তর দিতে যাওয়াই আলেম বা জ্ঞানীর বৈশিষ্ট নয়। অনেকে দুই কলম পড়েই নিজের বড়ত্ব প্রকাশ করতে ফতোয়া দিতে শুরু করে।

অথচ আমরা যদি ইসলামের ইতিহাসের দিকে তাকাই তাহলে কিন্তু ভিন্ন চিত্র দেখতে পাই, হযরত সুলাইমান ইবনে ইয়াসার রহমতুল্লাহি আলাইহি বলেন, আমি হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে উমর রদ্বিয়াল্লাহু আনহু এর মজলিসে উপস্থিত হয়েছি। হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে উমর রদ্বিয়াল্লাহু আনহু অধিকাংশ প্রশ্নের উত্তরে বলতেন, আমি এ প্রশ্নের উত্তর জানি না। হযরত সুলাইমান ইবনে ইয়াসার রহমতুল্লাহি আলাইহ বলেন তিনি বললেন ‘বলার মাধ্যমেই যত বিপদ আসে। (তাযকিরাতুল হুফফায ১/৩৩)

আমি এ প্রশ্নের উত্তর জানি না’ বলায় কিন্তু উনি জানেন না এটা প্রমাণ হয় না। বরং সর্বোচ্চ তাকওয়া প্রকাশিত হয়।

হাদীস শাস্ত্রের উচু মর্তবার মুহাদ্দিস ইমাম শা'বী রহমতুল্লাহি আলাইহি অধিকাংশ প্রশ্নের উত্তরে জানি না’ বলতেন। তিনি বলতেন আমি ফকীহ নই। আমি যে হাদীস শুনি তা হুবহু বর্ণনা করে দেই। (তাযকিরাতুল হুফফা ১/৭৪)|

ইমাম মালেক রহমতুল্লাহি আলাইহি উনি ফতোয়া প্রদানেও যথেষ্ট গুরুত্ব প্রদান করতেন। জটিল বিষয়গুলো দীর্ঘ গবেষণার পর ফতোয়া প্রদান করতেন। হযরত ইবনু আব্দুল হাকীম রহমতুল্লাহি আলাইহি বলেন , ‘‘হযরত ইমাম মালিক রহমতুল্লাহি আলাইহিকে কোন বিষয়ে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি প্রশ্নকারীকে বলতেন যাও আমি ওই বিষয়ে চিন্তা–গবেষণা করি।’ হযরত আব্দুর রহমান বিন মাহদী রহমতুল্লাহি আলাইহি বলেন, হযরত ইমাম মালিক রহমতুল্লাহি আলাইহি বলেন, ‘‘কখনও এমন মাসআলা এসেছে যে, চিন্তা–গবেষণা করতে আমার গোটারাত কেটে গেছে।’ (আল ইনতিকা ৩৭–৩৮ পৃষ্ঠা)।

ইমাম মালিক রহমতুল্লাহি আলাইহি কোন বিষয় উত্তর না দেয়া ভাল মনে করলে ‘‘জানি না’’ বলতেও কোন দ্বিধাবোধ করতেন না। (তাযইনুল মামালিক ১৬–১৭ পৃষ্ঠা)।

কারণ তিনি মনে করতেন প্রশ্নের সম্মুখীন হওয়া মানে জান্নাত ও জাহান্নামের সম্মুখীন হওয়া। প্রশ্নের উত্তর দিতে গিয়ে যেন আখিরাতে জবাব দিহিতার সম্মুখীন হতে না হয়। (আল ইনতিকা৩৭ পৃষ্ঠা)।

উনি যখন মুফতীর আসনে বসলেন উনার কাছে ৪০ টি ফতোয়া আসলো। উনি ২২ টি ফতোয়ার ব্যাপারে সরাসরি বলে দিলেন “আমি জানি না” । আর ১৮ টির উত্তর দিলেন। পরে উনার ছাত্ররা বললেন আপনি হাফিজুল হাদীছ, আপনি মুজতাহিদ, মদীনা শরীফের শ্রেষ্ঠ ফকীহ!! ওই ২৮ টা ফতোয়ার উত্তর কি আসলেই আপনার জানা ছিলো না? তিনি বললেন, দেখো! আমার ওগুলোও জানা আছে কিন্তু পরিপূর্ণ তাহকীক নেই। যদি এমন হয় যে আমি ফতোয়া দিয়ে দিলাম আর পরবর্তীতে আমার তাহকীক অন্য রকম হলো তাহলে ওই লোকগুলোকে কোথায় পাবো সংশোধনী জানানোর জন্য?

এগুলোই হলো ইলমি আমানতদারীতা। চট করে কিছু বলে বসাই ইলমি বৈশিষ্ট নয়। আপনার কোন ভুল ফতোয়ায় কেউ যদি পথভ্রষ্ট হয় কাল কিয়ামতের ময়দানে কিন্তু আপনাকে জবাবদিহীতা করতে হবে। যে পথভ্রষ্ট হবে সে আপনাকেই দেখিয়ে দিবে। তাই কোন একটা বইতে কোন একটা রেওয়ায়েত বা ইন্টারনেটে সার্চ করে কিছু পেলেই প্রচার করে দিবেন না। এ ব্যাপারে হক্কানী উলামায়ে কিরামের মতামত নিবেন। আল্লাহ পাক হিফাজতের মালিক।

সবার ফতোয়া দেয়া বা সবার কাছ থেকে ফতোয়া নেয়াও জায়িয নাই।
হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাস রদ্বিয়াল্লাহু আনহু বলেছেন,

إن كل من أفتى الناس في كل ما يسألونه عنه لمجنون

অর্থঃ- “যে ব্যক্তি মানুষের সকল প্রশ্নের উত্তর দেয় এবং সকল বিষয়ে ফতোয়া প্রদান করে সে অবশ্যই পাগল”।

No comments

ডাল একটি বরকতময় পবিত্র খাদ্য।

  ডাল একটি বরকতময় পবিত্র খাদ্য। ডাল খাওয়ার ফলে কলব প্রসারিত হয় এবং চোখের দৃষ্টি শক্তি বৃদ্ধি পায়। পূর্ববর্তী হযরত নবী-রসুল আলাইহিমুস সালাম উ...

Powered by Blogger.