ভার্সিটির মাল আমির হামজার সূরা আরাফের ৩নং আয়াত শরীফের অপব্যাখ্যার জবাব

বর্তমান জামানা ফিতনা-ফাসাদের
জামান। এই জামান আপনারা এমন কিছু চমকপ্রদ
বক্তা বের হবে তারা অনেক ভেলকিবাজিতে মানুষকে গোমরাহ করবে। যেমন বর্তমান সময়ে
অনেক ফিতনাবাজদের মধ্যে অন্যতম ফিতনাবাজ হলো আমির হামজা তথা জামাতী চামচা বক্তা।সে কুরআন শরীফের
আয়াত সমূহের ভূল ভাল ব্যাখ্যা দিচ্ছে। কিন্তু সাধারণ মানুষ তা বুঝতে পারছে না ।কারণ সাধারণ
মানুষকে সে কুরআন শরীফ উনার আয়াত নং ,পারা নং ,পৃষ্ঠা নং ,রুকু নং, তাফসীরের
কিতাবের নাম খণ্ড পৃষ্ঠা বলে দিচ্ছে। মানুষ ভাবছে সে সত্যি বলছে। কিন্তু হায় আফসুস!
সে ভূল মনগড়া ব্যাখ্যা করছে। নাউজুবিল্লাহ!
ভার্সিটির মাল আমির হামজার সূরা
আরাফের ৩নং আয়াত শরীফের অপব্যাখ্যার জবাব
================================
ভার্সিটির মাল খ্যাত আমির হামযা সূরা আরাফের ৩নং আয়াতে কারীমার ভুল অর্থ করে মানুষকে বিভ্রান্ত
করছে। সে এর অর্থ করছে,
اتَّبِعُوا
مَا أُنْزِلَ إِلَيْكُمْ مِنْ رَبِّكُمْ وَلَا تَتَّبِعُوا مِنْ دُونِهِ
أَوْلِيَاءَ قَلِيلًا مَا تَذَكَّرُونَ
ভূল অর্থঃ “তোমাদের পালনকর্তার তরফ
থেকে তোমাদের কাছে যা নাযিল হয়েছে – তার অনুসরণ করো এবং তাঁকে ছাড়া কোন ওলি
বা পীরের অনুসরণ করো না।”
#আসলে এই আয়াতে কারীমার প্রকৃত তরজমা হবে,
اتَّبِعُوا
مَا أُنْزِلَ إِلَيْكُمْ مِنْ رَبِّكُمْ وَلَا تَتَّبِعُوا مِنْ دُونِهِ
أَوْلِيَاءَ قَلِيلًا مَا تَذَكَّرُونَ
#সহীহ অর্থঃ “তোমাদের পালনকর্তার তরফ থেকে তোমাদের কাছে যা নাযিল হয়েছে
– তার অনুসরণ করো এবং তাঁকে ছাড়া ওলীদের (নফসের পূজারী দুনিয়াদার অলিউশ শয়তান) অনুসরণ
করো না। তোমরা কমই খেয়াল
করে থাকো।”
প্রথমত, তাফসীরে ইবনে আব্বাসে এ আয়াতে কারীমার তাফসীরে হুবহু যা লেখা
আছে – তার অনুবাদ হচ্ছে,
{اتبعُوا
مَآ أُنزِلَ إِلَيْكُمْ مِّن رَّبِّكُمْ} يَعْنِي الْقُرْآن أحلُّوا حَلَاله
وحرموا حرَامه {وَلاَ تَتَّبِعُواْ مِن دُونِهِ} لَا تعبدوا من دون الله
{أَوْلِيَآءَ} أَرْبَابًا من الْأَصْنَام {قَلِيلاً مَّا تَذَكَّرُونَ} مَا تتعظون
بِقَلِيل وَلَا بِكَثِير
অর্থঃ “তোমাদের পালনকর্তার তরফ থেকে
তোমাদের কাছে না নাযিল
হয়েছে – তার অনুসরণ করো”, এর মানে হচ্ছে, কুরআনে নিদের্শিত হালালকে হালাল এবং হারামকে হারাম জানো।
আর “তাঁকে ছাড়া ওলীদের (আওলিয়ার)
অনুসরণ করো না”, এর মানে হলো, আল্লাহতা’লা ছাড়া মূর্তিদের প্রভু হিসেবে গ্রহণ করে তাদের ইবাদত করবে
না। আর “তোমরা কমই খেয়াল করে থাকো”, এর মানে হচ্ছে, তোমরা অল্প বা বেশি কোনো উপদেশই গ্রহণ করো না।”
সুতরাং রইসুল মুফাসসিরীন হযরত আব্দুল্লাহ
ইবনে আব্বাস রাদ্বিআল্লাহু তা'লা ’আনহুমা এ তাফসীরের মোকাবেলায় এই আয়াতে কারীমার অন্য কোনো
মনগড়া তাফসীর আমাদের কাছে গ্রহণযোগ্য নয়।
#দ্বিতীয়ত,
ওলী বা আওলিয়া শব্দকে কোনো আয়াতে
আল্লাহতা’লা টার্গেট করলে – কেউ ভয় পাবেন না। জেনে রাখুন,ওলী (বহুবচনে আওলিয়া) শব্দটিকে আল্লাহতা’লা
আল- কুরআনে উনার নিজের এবং শয়তান – উভয়ের ক্ষেত্রে ব্যবহার করেছেন। যেমন-
اللَّهُ وَلِيُّ الَّذِينَ آمَنُوا
يُخْرِجُهُمْ مِنَ الظُّلُمَاتِ إِلَى النُّورِ وَالَّذِينَ كَفَرُوا
أَوْلِيَاؤُهُمُ الطَّاغُوتُ يُخْرِجُونَهُمْ مِنَ النُّورِ إِلَى الظُّلُمَاتِ
أُولَئِكَ أَصْحَابُ النَّارِ هُمْ فِيهَا خَالِدُونَ
অর্থঃ যারা ঈমান এনেছে – তাদের ওলী
হচ্ছেন, আল্লাহ; তিনি তাদের আঁধার রাশি থেকে নূরের
দিকে বের করে আনেন; আর যারা কুফরি করেছে – তাদের আওলিয়া হচ্ছে, তাগুতরা (শয়তানরা); ওরা ওদের নূর থেকে আঁধার রাশির
দিকে নিয়ে যায়। ওরাই দোযখবাসী (আসহাবুন নার) – সেখানে ওরা চিরকাল থাকবে (সূরা আল-বাকারাহ:
২৫৭)
কাজেই, “ওলী” শব্দটি আল-কুরআনে ভালো-মন্দ
সবার ক্ষেত্রে কম-বেশি ব্যবহৃত হয়েছে। উল্লিখিত আয়াতে কারীমায় (সূরা আরাফ:৩) মন্দের
ক্ষেত্রে ব্যবহৃত হয়েছে। আবার ওলীআল্লাহদের ক্ষেত্রেও বলা হয়েছে,
أَلَا
إِنَّ أَوْلِيَاءَ اللَّهِ لَا خَوْفٌ عَلَيْهِمْ وَلَا هُمْ يَحْزَنُونَ
আল্লাহ পাক উনার ওলীদের (আওলিয়াআল্লাহ)
কোনো ভয় নেই এবং তারা দুঃখিতও হবে না। (সূরা ইউনুস:৬২)
সুতরাং ওলী শব্দ নিয়ে বিভ্রান্তির
কোনোই অবকাশ নেই।
#তৃতীয়ত, আল্লাহতা’লা পরিষ্কার করেই বলেছেন:
يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا أَطِيعُوا
اللَّهَ وَأَطِيعُوا الرَّسُولَ وَأُولِي الْأَمْرِ مِنْكُمْ فَإِنْ تَنَازَعْتُمْ
فِي شَيْءٍ فَرُدُّوهُ إِلَى اللَّهِ وَالرَّسُولِ إِنْ كُنْتُمْ تُؤْمِنُونَ
بِاللَّهِ وَالْيَوْمِ الْآخِرِ ذَلِكَ خَيْرٌ وَأَحْسَنُ تَأْوِيلًا
অর্থঃ “হে ঈমানদারগণ! তোমরা আল্লাহর
তাবেদারী করো এবং রাসূল ও তোমাদের হুকুমদাতাদের তাবেদারী করো। তবে কোন ব্যাপারে তোমাদের
মাঝে মতবিরোধ হলে – তোমরা যদি আল্লাহ্ ও আখেরাতে বিশ্বাসী হও – তাহলে তা (মতবিরোধের
বিষয়টি) আল্লাহ ও রাসূলের সমীপে পেশ করো। ওটাই কল্যাণকর এবং এর ফলাফল খুবই ফলপ্রসূ।” (সূরা নিসা
শরীফঃ আয়াত শরীফ ৫৯)
এ আয়াতে কারীমায় ৩টি আনুগত্য বা
তাবেদারীর কথা পরিষ্কার করেই বলা আছে। কাজেই, আল-কুরআনে ওলী শব্দের
নেতিবাচক প্রয়োগের উদাহরণ টেনে বিভ্রান্তি
সৃষ্টির কোনোই সুযোগ নেই। যারা করবে তারা বাতিল
৭২ফিরকার অন্তর্ভুক্ত বলে গণ্য হবে ।
#ওলীআল্লাহ কারা?
يَا
أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا اتَّقُوا اللَّهَ وَابْتَغُوا إِلَيْهِ الْوَسِيلَةَ
অর্থঃ হে মুমিনগণ! তোমরা
আল্লাহ্ পাক উনাকে ভয় কর এবং উনার নৈকট্য
লাভের উপায় বা ওসিলা তালাশ কর। [সুরা মায়েদা:
৩৫]
এ আয়াতে কারীমায় সুষ্পষ্টভাবে
আল্লাহ পাক উনার হেদায়াতপ্রাপ্ত বুযুর্গদের সাহচর্যে থাকার নির্দেশ দেয়া হয়েছে:-
اهْدِنَا
الصِّرَاطَ الْمُسْتَقِيمَ صِرَاطَ الَّذِينَ أَنْعَمْتَ عَلَيْهِمْ
অনুবাদ- আমাদের সরল সঠিক পথ [সীরাতে মুস্তাকিম] দেখান। আপনার নিয়ামতপ্রাপ্ত বান্দাদের পথ।{সূরা ফাতিহা-৬,৭}
#আর উনার নিয়ামত প্রাপ্ত বান্দা হলেন –
الَّذِينَ
أَنْعَمَ اللَّهُ عَلَيْهِمْ مِنَ النَّبِيِّينَ وَالصِّدِّيقِينَ وَالشُّهَدَاءِ
وَالصَّالِحِينَ
অনুবাদ-যাদের উপর আল্লাহ তাআলা নিয়ামত দিয়েছেন, উনারা হল নবীগণ, সিদ্দীকগণ, শহীদগণ, ও নেককার বান্দাগণ।{সূরা নিসা-৬৯}
إِنَّ
رَحْمَتَ اللّهِ قَرِيبٌ مِّنَ الْمُحْسِنِينَ
অর্থঃনিশ্চয়ই আল্লাহ্ পাক উনার রহমত (মুহসিনিন) আউলিয়া কিরামগনের
নিকটবর্তী । [সুরা ৭ আরাফ:
৫৬]
يَا
أَيُّهَا الَّذِينَ آَمَنُوا أَطِيعُوا اللَّهَ وَأَطِيعُوا الرَّسُولَ وَأُولِي
الْأَمْرِ مِنْكُمْ فَإِنْ تَنَازَعْتُمْ فِي شَيْءٍ فَرُدُّوهُ إِلَى اللَّهِ
وَالرَّسُولِ إِنْ كُنْتُمْ تُؤْمِنُونَ بِاللَّهِ وَالْيَوْمِ الْآَخِرِ ذَلِكَ
خَيْرٌ وَأَحْسَنُ تَأْوِيلًا
হে মুমিনগণ! তোমরা অনুসরণ কর, আল্লাহ্ পাক উনার
ও উনার রাসুল ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম
এর এবং তোমাদের মধ্যে যারা উলিল আমর (ন্যায় বিচারক) রয়েছে তাদের। [সুরা
৪ নিসা: ৫৯]
كُونُواْ
رَبَّانِيِّينَ
আল্লাহ পাক বলেন, “তোমরা সব আল্লাহওয়ালা
হয়ে যাও”। (সূরা ইমরান-৭৯)
পবিত্র কুরআনে আল্লাহ তা’য়ালা
আরো বলেন,
إِنَّمَا وَلِيُّكُمُ
اللّهُ وَرَسُولُهُ وَالَّذِينَ آمَنُواْ الَّذِينَ يُقِيمُونَ الصَّلاَةَ
وَيُؤْتُونَ الزَّكَاةَ وَهُمْ رَاكِعُونَ
'' নিশ্চয়ই তোমাদের ওলি (বন্ধু) হলেন আল্লাহ পাক এবং উনার রসুল
ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আর ঈমানদার লোকেরা- যারা সালাত কায়েম করে, যাকাত দিয়ে দেয়, এবং আল্লাহ পাক
উনার প্রতি অনুগত বাধ্যগত থাকে।
وَمَن
يَتَوَلَّ اللّهَ وَرَسُولَهُ وَالَّذِينَ آمَنُواْ فَإِنَّ حِزْبَ اللّهِ هُمُ
الْغَالِبُونَ
আর যারা ওলি (বন্ধু) মানে আল্লাহ
পাক এবং উনার রসুল ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আর ঈমানদার লোকদেরকে, তারাই আল্লাহ পাক
উনার দল এবং আল্লাহ পাক উনার দলই থাকবে বিজয়ী ''
( সূরা আল মায়িদা,আয়াত-৫৫-৫৬)
আল্লাহ পাক ইরশাদ করেন,
أَلا
إِنَّ أَوْلِيَاء اللّهِ لاَ خَوْفٌ عَلَيْهِمْ وَلاَ هُمْ يَحْزَنُونَ
মনে রেখো যারা আল্লাহ পাক উনার
(ওলি) বন্ধু, তাদের না কোন ভয় ভীতি আছে, না তারা চিন্তান্বিত হবে।
الَّذِينَ
آمَنُواْ وَكَانُواْ يَتَّقُونَ
যারা আল্লাহ পাক উনার প্রতি
ঈমান এনেছে এবং ভয় করতে রয়েছে।
لَهُمُ
الْبُشْرَى فِي الْحَياةِ الدُّنْيَا وَفِي الآخِرَةِ لاَ تَبْدِيلَ لِكَلِمَاتِ
اللّهِ ذَلِكَ هُوَ الْفَوْزُ الْعَظِيمُ
তাদের জন্য সুসংবাদ পার্থিব
জীবনে ও পরকালীন জীবনে। আল্লাহ পাক উনার কথার কখনো হের-ফের হয় না। এটাই হল মহা সফলতা।(সুরা
ইউনুছ আয়াত :৬২-৬৪)
إِنَّ
اللّهَ يُحِبُّ الْمُحْسِنِينَ
নিশ্চয় আল্লাহ্ পাক মুহসিন/ওলিদের
ভালবাসেন।’’ (সূরা আল-বাকারা:১৯৫)
আল্লাহ পাক বলেন,
إِنَّ
اللَّهَ يُحِبُّ التَّوَّابِينَ وَيُحِبُّ الْمُتَطَهِّرِينَ
‘‘নিশ্চয়ই আল্লাহ্ পাক তাওবাকারী
ও পবিত্রতা অবলম্বনকারীদেরকে ভালবাসেন ।’’(সূরা আল-বাকারা:২২২)
তাকওয়া সকল কল্যাণের মূল।
তাই আল্লাহ পাক মুত্তাকীদেরকে খুবই ভালবাসেন। তিনি বলেন,
فَإِنَّ
اللَّهَ يُحِبُّ الْمُتَّقِين
‘‘আর নিশ্চয় আল্লাহ পাক মুত্তাকীদেরকে
ভালবাসেন।’’(সূরা আল ইমরান:৭৬)
আল্লাহ তায়ালা পবিত্র কুরআনে
আরো বলেন,
وَاللَّهُ
وَلِيُّ الْمُتَّقِينَ
অর্থ - আর আল্লাহ্ পাক মুত্তাকীদের
(পরহেজগারদের) ওলী/বন্ধু।(সূরা জাসিয়া ৪৫:১৯)
আল্লাহ তায়ালা আরও বলেন ,
إِنَّ أَكْرَمَكُمْ عِنْدَ اللَّهِ أَتْقَاكُمْ
" তোমাদের মধ্যে আল্লাহপাক উনার নিকট সেই ব্যক্তিই অধিক মর্যাদা
সম্পন্ন যে তোমাদের মধ্যে অধিক মুত্তাকী।'' ( সূরা হুজুরাত /১৩ )
اللّهُ
وَلِيُّ الَّذِينَ آمَنُو
যারা (প্রকৃত ভাবে) ঈমান এনেছে, আল্লাহ পাক তাদের
ওলী/অভিভাবক। (সূরা বাকারা/২৫৭)
আল্লাহ তায়ালা কুরআনে বলেছেন-
وَاللّهُ وَلِيُّ الْمُؤْمِنِينَ
অর্থ - আর আল্লাহ পাক মুমিনদের
ওলী/বন্ধু (অভিভাবক)।( সূরা আলে ইমরান/৬৮ )
আল্লাহ পাক এজন্য জানায়ে
দিলেন এরকম শয়তানের উত্তরসূরি ভার্সিটির মালেরা হক্বানী আলিম ওলীদের গোমরাহ করতে
পারবে না।
শয়তান আল্লাহ পাক উনাকে বলতেছে,
قَالَ رَبِّ بِمَا أَغْوَيْتَنِي لَأُزَيِّنَنَّ لَهُمْ فِي
الْأَرْضِ وَلَأُغْوِيَنَّهُمْ أَجْمَعِينَ
إِلَّا عِبَادَكَ مِنْهُمُ الْمُخْلَصِينَ
"...সকল মানুষকে আমি পথভ্রষ্ঠ করব,কিন্তু আপনার সে
বান্দাদের ব্যতীত যারা তার মধ্যে বিশিষ্ট।”(সূরা হিজর/৩৯-৪০)
আল্লাহ পাক এবার নিজেই বলছেন,
إِنَّ عِبَادِي لَيْسَ لَكَ عَلَيْهِمْ سُلْطَانٌ
“বাস্তবিক আমার সে
বান্দাদের উপর তোমার কতৃর্ত চলবে না।”(সূরা হিজর-৪৩)
আল্লাহ পাক আমাদের কে হক্কানী
অলীআল্লাহ উনাদের ছোহবত ইখতিয়ার করার তৌফিক দান করুন।আর ভার্সিটির মাল আমির হামজার
মত সে সকল ভন্ড অলী/ওলিউশ শয়তান থেকে
হিফাজত করুন। আমীন।
No comments