মুজাদ্দিদে আ’যমে ছানী, আল মানছূর সাইয়্যিদুনা হযরত খলীফাতুল উমাম আলাইহিস সালাম উনার একখানা তাজজীদ মুবারক হচ্ছেন ‘আত ত্বাক্বউমুস শামসি’ বা সৌর ক্যালেণ্ডার

প্রত্যেক মুসলমানের জন্য ফরয হচ্ছে দায়িমীভাবে মহান আল্লাহ পাক এবং উনার মহাসম্মানিত
ও মহাপবিত্র হাবীব নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক
ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাদের দিকে রুজু থাকা। মহান আল্লাহ পাক তিনি পবিত্র
কালামুল্লাহ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক করেন-
وَلِكُلٍّ
وِجْهَةٌ هُوَ مُوَلِّيهَا
অর্থ: আর সবার জন্য রয়েছে নির্দিষ্ট ক্বিবলা। যে দিকে সে মুখ করে, রুজু হয়। (পবিত্র সূরা বাক্বারাহ শরীফ, পবিত্র আয়াত শরীফ-১৪৮)
ঠিক একইভাবে মুসলমানদের দায়িত্ব হচ্ছে, সমস্ত কাফিরদের থেকে ফিরে থাকা, তাদের কোন প্রকার অনুসরণ
না করা, তাদের দিকে রুজু না হওয়া। এ প্রসঙ্গে মহান আল্লাহ পাক তিনি পবিত্র
কালামুল্লাহ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক করেন-
وَلَا تُطِعِ
الْكَافِرِينَ وَالْمُنَافِقِينَ
অর্থ: তোমরা কাফির ও মুনাফিকদেরকে অনুসরণ করোনা। (পবিত্র সূরা আহযাব শরীফ, পবিত্র আয়াত শরীফ-৪৮)
এখন একজন মুসলমানের প্রতিটি ক্ষেত্রেইে দায়িত্ব-কর্তব্য হচ্ছে, মহান আল্লাহ পাক এবং উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাবীব, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাদের দিকে রুজু থাকা, উনাদেরকে অনুসরণ করা। একইভাবে সমস্ত কাফিরদের মুখালিফ থাকা, তাদের কোন প্রকার ইত্তিবা না করা।
দিন-মাস, বছর গণণা করা মুসলমানদের জন্য অত্যন্ত জরুরী একটি বিষয়। কেননা
প্রতিটি দিন, মাস তারিখের সাথে মুসলমানদের বিভিন্ন আক্বীদাহ-আমল সম্পৃক্ত
রয়েছে। এতো জরুরী একটা বিষয় হওয়া সত্বেও আফসোসের বিষয় হচ্ছে, শত শত বছর ধরে মুসলমানরা কাফিরদের রচিত গ্রেগরিয়ান ক্যালে-ার অনুসরন করে আসছে।
নাউযুবিল্লাহ! অথচ সেই ক্যালে-ারের দিন-মাসগুলো তাদের বিভিন্ন দেব-দেবির নামে নামকরণ
করা হয়েছে। নাউযুবিল্লাহ! আর মুসলমানরা শত শত বছর ধরে সেটাই অনুসরণ করে আসছে। ইচ্ছায়-অনিচ্ছায়
মুসলমানরা কাফিরদের দিকে রুজু হয়ে যাচ্ছে। নাউযুবিল্লাহ! মুজাদ্দিদে আ’যমে ছানী, আল মানছূর সাইয়্যিদুনা হযরত খলীফাতুল উমাম আলাইহিস সালাম তিনি মুসলমানদেরকে কাফিরদের
অনুসরন থেকে রক্ষা করার জন্য হাদিয়া মুবারক করেছেন ‘আত ত্বাকঊমুশ শামসি’ তথা সৌর ক্যালে-ার।
সুবহানাল্লাহ! যেটা অনুসরণ করলে ইচ্ছায়-অনিচ্ছায় একজন মুসলমান মহান আল্লাহ পাক এবং
উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাবীব, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু
আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাদের দিকে রুজু হয়ে যাবে। সুবহানাল্লাহ!
কেননা এই সম্মানিত ক্যালে-ার উনার শুরুর সময়কাল ধরা হয়েছে, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম
উনার মহাসম্মানিত বিছালী শান মুবারক প্রকাশের বছর ১১ হিজরী শরীফ এবং সে বছরের পবিত্র
সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আ’দাদ পবিত্র ১২ ই রবীউল আউওয়াল শরীফ। উক্ত মাসের ১ম দিন থেকে
এই ‘আত-ত্বাকউমুশ শামসি’ উনার ০ বছর ১ম মাস ১ম দিন শুরু হয়েছে। সুবহানাল্লাহ! এই সম্মানিত
ক্যালেণ্ডার উনার মাসসমূহ এবং দিনসমূহ উনাদের নামকরণ করা হয়েছে আরবী পদ্ধতিতে। সুবহানাল্লাহ!
কাজেই সমস্ত মুসলমাদের দায়িত্ব হচ্ছে, সম্মানিত ক্যালে-ার ‘আত-ত্বাকউমুশ
শামসি’ এটা ব্যাবহার করা, অনুসরণ করা। এবং সাইয়্যিদুনা হযরত খলীফাতুল উমাম আলাইহিস
সালাম উনার বেশি বেশি শুকরিয়া আদায় করা। মহান আল্লাহ পাক তিনি অমাদেরকে সেই তাওফীক
দান করুন। আমীন!
No comments